উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
৪৮ ঘন্টা না পেরোতেই ফের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের উপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ছাত্রদলের প্রায় ৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্কিত বোধ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরপর দুইদিন ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ চললেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে নির্বিকার। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, “এটা একটা শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ হতে পারে না। প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দেওয়া হচ্ছে। এরা কোন সময় কার উপর হামলা করে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। আমাদের অনেকেরই ক্লাস-ফাইনাল পরীক্ষা চলমান। কিন্তু আমরা ক্যাম্পাসে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারছি না। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের অভিভাবকরাও আমাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন।”
ক্যাম্পাসকে যারা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এ হুঁশিয়ারির একদিন না পেরোতেই আবারো ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, “বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আজও ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা সতর্ক আছি এবং প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
দু’দিনের মাথায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফের সংর্ঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা। হাইকোর্টের সামনে থেকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া করতে দেখা যায়। দুই দলের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠি, হকিস্টিক, রডও দেখা গেছে। এ সময় গুলির আওয়াজও শোনা যায়।
বেলা ১২ টার দিকে ছাত্রদল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকার চেষ্টা করলে দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। ছাত্রদল প্রথমে ছাত্রলীগকে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া দিয়ে ছাত্রদল কিছু দূর অগ্রসর হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দেন। ছাত্রলীগের পাল্টা ধাওয়ায় ছাত্রদল পিছু হটে।
ছত্রভঙ্গ হয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের কেউ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন। কেউ-বা ঢুকে পড়েন হাইকোর্টের ভেতরে। অনেকে গুলিস্তানসহ যেদিকে পেরেছেন সরে গেছেন। ধাওয়া দেওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একটি অংশকে লাঠিসোঁটা নিয়ে হাইকোর্টের ভেতর ঢুকতে দেখা যায়। তাঁরা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের খোঁজ করছিলেন। এসময় হাইকোর্টের ভেতরেও ছাত্রলীগের কর্মীদের শোডাউন দিতে দেখা যায়। হাইকোর্টের ভেতরে খুঁজে-খুঁজে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় ছাত্রদলের কর্মীদেরকে। ভাঙ্গচুর চালানো হয় আইনজীবীদের কয়েকটি গাড়িও।
সংঘর্ষের সময় এক সাংবাদিককে পিটিয়ে মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় ওই সাংবাদিককে তারা বেধড়ক মারধর করে। আহত সাংবাদিকের নাম আবির আহমেদ (২৭)। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের নিজস্ব প্রতিবেদক (মাল্টিমিডিয়া)। সংঘর্ষ চলাকালীন তিনি লাইভে ছিলেন। ওই সাংবাদিককে ছাত্রদলের তকমা দিয়ে পেটান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ক্যাম্পাসের দিকে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কীত হামলা করে। তারা গোলাগুলি করেছে এবং আমাদের নেতাকর্মীদের কুপিয়েছে। আমাদের প্রায় ৩০/৪০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে আছেন। তাদের অনেকেরই অবস্থা গুরুতর, জীবন-মৃত্যু অনিশ্চিত।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ‘অতীতের ন্যায় আজকেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী মনোভাব নিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে এসেছে। আগের বার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসলেও আজকে তারা রিভলবার, গুলি নিয়ে এসেছে। আমরা দেখেছি সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজকে তাদের দমন করতে সতঃস্ফুর্তভাবে ঐকবদ্ধ হয়েছে। বিভিন্ন হল থেকে, ক্লাস থেকে অনেক শিক্ষার্থী একসাথে হয়ে তাদের প্রতিরোধ করেছে।’
নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। আজ সন্ধ্যায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আকতার হোসেন। তিনি বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে গেলে ছাত্রলীগ পেছন থেকে আমাদের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ছাত্রদলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ছাত্রলীগের এ হামলার প্রতিবাদে আগামী ২৮শে মে শনিবার সারাদেশে জেলা ও মহানগর এবং ২৯শে মে সারাদেশের উপজেলা ও পৌর এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের উপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আটটি বাম ছাত্র সংগঠন। গতকাল আট ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বিভিন্ন সময় ছাত্র সংগঠনগুলো ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের হামলা তাদেরকে বারবার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রমাণ করেছে। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের উপর তাদের নির্মম হামলা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য এক ভীতিকর ও অনিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে ছাত্রলীগের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলমান থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের পুতুল প্রশাসনের ভূমিকা পালন করছে। অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পরিবেশ পরিষদের সভা আহবান করে ক্যাম্পাসে একটি নিরাপদ ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।”
উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
৪৮ ঘন্টা না পেরোতেই ফের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের উপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ছাত্রদলের প্রায় ৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্কিত বোধ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরপর দুইদিন ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ চললেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে নির্বিকার। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, “এটা একটা শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ হতে পারে না। প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দেওয়া হচ্ছে। এরা কোন সময় কার উপর হামলা করে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। আমাদের অনেকেরই ক্লাস-ফাইনাল পরীক্ষা চলমান। কিন্তু আমরা ক্যাম্পাসে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারছি না। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের অভিভাবকরাও আমাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন।”
ক্যাম্পাসকে যারা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এ হুঁশিয়ারির একদিন না পেরোতেই আবারো ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, “বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আজও ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা সতর্ক আছি এবং প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
দু’দিনের মাথায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফের সংর্ঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা। হাইকোর্টের সামনে থেকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া করতে দেখা যায়। দুই দলের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠি, হকিস্টিক, রডও দেখা গেছে। এ সময় গুলির আওয়াজও শোনা যায়।
বেলা ১২ টার দিকে ছাত্রদল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকার চেষ্টা করলে দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। ছাত্রদল প্রথমে ছাত্রলীগকে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া দিয়ে ছাত্রদল কিছু দূর অগ্রসর হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দেন। ছাত্রলীগের পাল্টা ধাওয়ায় ছাত্রদল পিছু হটে।
ছত্রভঙ্গ হয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের কেউ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন। কেউ-বা ঢুকে পড়েন হাইকোর্টের ভেতরে। অনেকে গুলিস্তানসহ যেদিকে পেরেছেন সরে গেছেন। ধাওয়া দেওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একটি অংশকে লাঠিসোঁটা নিয়ে হাইকোর্টের ভেতর ঢুকতে দেখা যায়। তাঁরা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের খোঁজ করছিলেন। এসময় হাইকোর্টের ভেতরেও ছাত্রলীগের কর্মীদের শোডাউন দিতে দেখা যায়। হাইকোর্টের ভেতরে খুঁজে-খুঁজে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় ছাত্রদলের কর্মীদেরকে। ভাঙ্গচুর চালানো হয় আইনজীবীদের কয়েকটি গাড়িও।
সংঘর্ষের সময় এক সাংবাদিককে পিটিয়ে মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় ওই সাংবাদিককে তারা বেধড়ক মারধর করে। আহত সাংবাদিকের নাম আবির আহমেদ (২৭)। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের নিজস্ব প্রতিবেদক (মাল্টিমিডিয়া)। সংঘর্ষ চলাকালীন তিনি লাইভে ছিলেন। ওই সাংবাদিককে ছাত্রদলের তকমা দিয়ে পেটান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ক্যাম্পাসের দিকে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কীত হামলা করে। তারা গোলাগুলি করেছে এবং আমাদের নেতাকর্মীদের কুপিয়েছে। আমাদের প্রায় ৩০/৪০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে আছেন। তাদের অনেকেরই অবস্থা গুরুতর, জীবন-মৃত্যু অনিশ্চিত।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ‘অতীতের ন্যায় আজকেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী মনোভাব নিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে এসেছে। আগের বার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসলেও আজকে তারা রিভলবার, গুলি নিয়ে এসেছে। আমরা দেখেছি সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজকে তাদের দমন করতে সতঃস্ফুর্তভাবে ঐকবদ্ধ হয়েছে। বিভিন্ন হল থেকে, ক্লাস থেকে অনেক শিক্ষার্থী একসাথে হয়ে তাদের প্রতিরোধ করেছে।’
নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। আজ সন্ধ্যায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আকতার হোসেন। তিনি বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে গেলে ছাত্রলীগ পেছন থেকে আমাদের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ছাত্রদলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ছাত্রলীগের এ হামলার প্রতিবাদে আগামী ২৮শে মে শনিবার সারাদেশে জেলা ও মহানগর এবং ২৯শে মে সারাদেশের উপজেলা ও পৌর এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের উপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আটটি বাম ছাত্র সংগঠন। গতকাল আট ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বিভিন্ন সময় ছাত্র সংগঠনগুলো ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের হামলা তাদেরকে বারবার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রমাণ করেছে। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের উপর তাদের নির্মম হামলা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য এক ভীতিকর ও অনিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে ছাত্রলীগের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলমান থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের পুতুল প্রশাসনের ভূমিকা পালন করছে। অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পরিবেশ পরিষদের সভা আহবান করে ক্যাম্পাসে একটি নিরাপদ ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।”