৪৮ ঘণ্টা না পেরোতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বেলা ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। ছাত্রদল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। ছাত্রদল নেতাকর্মীরা প্রথমে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দেয়। এরপর হাইকোর্টের সামনে থাকা ছাত্রদল নেতাকর্মীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হলে দুইপক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া করতে দেখা যায়। দুই দলের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠি, হকিস্টিক, রডও দেখা গেছে। এ সময় গুলির আওয়াজও শোনা যায়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারও (২৪ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। ঐ ঘটনায় ছাত্রদলের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হন বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার ছাত্রদল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার এক পর্যায়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কেউ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন। কেউ ঢুকে পড়েন হাইকোর্টের ভেতরে। অনেকে গুলিস্তানসহ যেদিকে পেরেছেন সরে গেছেন। ধাওয়া দেয়ার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একটি অংশকে লাঠিসোঁটা নিয়ে হাইকোর্টের ভেতর ঢুকতে দেখা যায়। তারা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের খোঁজ করছিলেন। এ সময় হাইকোর্টের ভেতরেও ছাত্রলীগের কর্মীদের শোডাউন করতে দেখা যায়। হাইকোর্টের ভেতরে খুঁজে খুঁজে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় ছাত্রদলের কর্মীদের। ভাঙচুর চালানো হয় আইনজীবীদের কয়েকটি গাড়িতে।
সংঘর্ষের সময় এক সাংবাদিককে পিটিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় ওই সাংবাদিককে তারা বেধড়ক মারধর করে। আহত সাংবাদিকের নাম আবির আহমেদ (২৭)। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের নিজস্ব প্রতিবেদক (মাল্টিমিডিয়া)। সংঘর্ষ চলাকালীন তিনি লাইভে ছিলেন। ওই সাংবাদিককে ছাত্রদলের তকমা দিয়ে পেটান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ক্যাম্পাসের দিকে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা গোলাগুলি করেছে এবং আমাদের নেতাকর্মীদের কুপিয়েছে। আমাদের প্রায় ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে আছেন। তাদের অনেকেরই অবস্থা গুরুতর, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী মনোভাব নিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে এসেছে। আগের বার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসলেও আজকে তারা রিভলবার, গুলি নিয়ে এসেছে। আমরা দেখেছি সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দমন করতে সতঃস্ফূর্তভাবে ঐকবদ্ধ হয়েছে। বিভিন্ন হল থেকে ক্লাস থেকে অনেক শিক্ষার্থী একসঙ্গে তাদের প্রতিরোধ করেছে।’
এদিকে ক্যাম্পাসে বার বার সংঘর্ষে আতঙ্কিত বোধ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরপর দুই দিন ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ চললেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে নির্বাক। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এটা একটা শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ হতে পারে না। প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দেয়া হচ্ছে। এরা কোন সময় কার ওপর হামলা করে তার কোন ইয়ত্তা নেই। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। আমাদের অনেকেরই ক্লাস-ফাইনাল পরীক্ষা চলমান। কিন্তু আমরা ক্যাম্পাসে নির্বিঘেœ চলাফেরা করতে পারছি না। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের অভিভাবকরাও আমাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন।
ক্যাম্পাসকে যারা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, এ হুঁশিয়ারির একদিন না পেরোতেই আবারো ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা সতর্ক আছি এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আকতার হোসেন। তিনি বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে গেলে ছাত্রলীগ পেছন থেকে আমাদের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রদলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ছাত্রলীগের এ হামলার প্রতিবাদে আগামী ২৮ মে সারাদেশে জেলা ও মহানগর এবং ২৯ মে সারাদেশের উপজেলা ও পৌর এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ৮টি বাম ছাত্র সংগঠন। বৃহস্পতিবার ৮ ছাত্র সংগঠনের নেতা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন সময় ছাত্র সংগঠনগুলো ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের হামলা তাদের বারবার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রমাণ করেছে। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর তাদের নির্মম হামলা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য এক ভীতিকর ও অনিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্রলীগের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলমান থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুতুল প্রশাসনের ভূমিকা পালন করছে। অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পরিবেশ পরিষদের সভা আহ্বান করে ক্যাম্পাসে একটি নিরাপদ ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
৪৮ ঘণ্টা না পেরোতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বেলা ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। ছাত্রদল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। ছাত্রদল নেতাকর্মীরা প্রথমে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দেয়। এরপর হাইকোর্টের সামনে থাকা ছাত্রদল নেতাকর্মীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হলে দুইপক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া করতে দেখা যায়। দুই দলের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠি, হকিস্টিক, রডও দেখা গেছে। এ সময় গুলির আওয়াজও শোনা যায়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারও (২৪ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। ঐ ঘটনায় ছাত্রদলের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হন বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার ছাত্রদল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার এক পর্যায়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কেউ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন। কেউ ঢুকে পড়েন হাইকোর্টের ভেতরে। অনেকে গুলিস্তানসহ যেদিকে পেরেছেন সরে গেছেন। ধাওয়া দেয়ার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একটি অংশকে লাঠিসোঁটা নিয়ে হাইকোর্টের ভেতর ঢুকতে দেখা যায়। তারা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের খোঁজ করছিলেন। এ সময় হাইকোর্টের ভেতরেও ছাত্রলীগের কর্মীদের শোডাউন করতে দেখা যায়। হাইকোর্টের ভেতরে খুঁজে খুঁজে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় ছাত্রদলের কর্মীদের। ভাঙচুর চালানো হয় আইনজীবীদের কয়েকটি গাড়িতে।
সংঘর্ষের সময় এক সাংবাদিককে পিটিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় ওই সাংবাদিককে তারা বেধড়ক মারধর করে। আহত সাংবাদিকের নাম আবির আহমেদ (২৭)। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের নিজস্ব প্রতিবেদক (মাল্টিমিডিয়া)। সংঘর্ষ চলাকালীন তিনি লাইভে ছিলেন। ওই সাংবাদিককে ছাত্রদলের তকমা দিয়ে পেটান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ক্যাম্পাসের দিকে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা গোলাগুলি করেছে এবং আমাদের নেতাকর্মীদের কুপিয়েছে। আমাদের প্রায় ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে আছেন। তাদের অনেকেরই অবস্থা গুরুতর, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী মনোভাব নিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে এসেছে। আগের বার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসলেও আজকে তারা রিভলবার, গুলি নিয়ে এসেছে। আমরা দেখেছি সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দমন করতে সতঃস্ফূর্তভাবে ঐকবদ্ধ হয়েছে। বিভিন্ন হল থেকে ক্লাস থেকে অনেক শিক্ষার্থী একসঙ্গে তাদের প্রতিরোধ করেছে।’
এদিকে ক্যাম্পাসে বার বার সংঘর্ষে আতঙ্কিত বোধ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরপর দুই দিন ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ চললেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে নির্বাক। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এটা একটা শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ হতে পারে না। প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দেয়া হচ্ছে। এরা কোন সময় কার ওপর হামলা করে তার কোন ইয়ত্তা নেই। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। আমাদের অনেকেরই ক্লাস-ফাইনাল পরীক্ষা চলমান। কিন্তু আমরা ক্যাম্পাসে নির্বিঘেœ চলাফেরা করতে পারছি না। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের অভিভাবকরাও আমাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন।
ক্যাম্পাসকে যারা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, এ হুঁশিয়ারির একদিন না পেরোতেই আবারো ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা সতর্ক আছি এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আকতার হোসেন। তিনি বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে গেলে ছাত্রলীগ পেছন থেকে আমাদের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রদলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ছাত্রলীগের এ হামলার প্রতিবাদে আগামী ২৮ মে সারাদেশে জেলা ও মহানগর এবং ২৯ মে সারাদেশের উপজেলা ও পৌর এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ৮টি বাম ছাত্র সংগঠন। বৃহস্পতিবার ৮ ছাত্র সংগঠনের নেতা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন সময় ছাত্র সংগঠনগুলো ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের হামলা তাদের বারবার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রমাণ করেছে। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর তাদের নির্মম হামলা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য এক ভীতিকর ও অনিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্রলীগের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলমান থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুতুল প্রশাসনের ভূমিকা পালন করছে। অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পরিবেশ পরিষদের সভা আহ্বান করে ক্যাম্পাসে একটি নিরাপদ ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।