উচ্চশিক্ষা মানেই উচ্চ পর্যায়ের চাকরি এরকম মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ‘বাজেট ২০২২-২৩: শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি মন্তব্য করেন।
রোববার (২৬ জুন) দুপুর দুইটায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসির আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো মানে এই নয় যে আমাদের শিক্ষার মান বাড়ছে বা দক্ষতা বাড়ছে। এজন্য ব্যক্তিপর্যায়ে আপনাদের সকলকে অংশগ্রহণ করতে হবে। উচ্চশিক্ষা মানেই উচ্চ পর্যায়ের চাকরি এরকম মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নানা দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নানান ভাষা শিখতে হবে। ভবিষ্যতে অনেক চাকরির সুযোগ তৈরি হবে এবং সে চাকরিতে যোগ্য প্রার্থী হতে হলে সেভাবে দক্ষ করতে হবে নিজেকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিক্ষার মাধ্যমে একটি কল্যাণকর ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’ সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য তিনি শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসির পরিচালক ড. এম আবু ইউসুফ এবং প্রবন্ধের উপর মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মোকাদ্দেম আকাশ এবং অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। স্বাগত বক্তব্য দেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম।
মূল আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মোকাদ্দেম আকাশ বলেন, ‘শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বাজেটে কয়েকটা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। একটি হলো ঝড়ে পড়া। করোনার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পরেছে। তাদের আবার শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনতে হবে। দ্বিতীয়টি হলো ডিজিটাল ডিভাইড। ডিজিটাল শিক্ষা দিতে গেলে দেখা যাবে গ্রামের শিক্ষার্থীরা তা পাবে না। এর প্রভাবে একপ্রকার ডিজিটাল ডিভাইড তৈরি হবে। তৃতীয়টি হলো মানসম্পন্ন শিক্ষা। আমরা সবদিকে শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে পারলেও মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারছি না। চতুর্থত আমাদের শিক্ষা কারিকুলামে ধর্মীয় সম্প্রীতি থাকতে হবে। সবশেষে হলো সাপ্লাই এন্ড ডিমান্ড মিসম্যাচ দূর করতে হবে।’
রোববার, ২৬ জুন ২০২২
উচ্চশিক্ষা মানেই উচ্চ পর্যায়ের চাকরি এরকম মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ‘বাজেট ২০২২-২৩: শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি মন্তব্য করেন।
রোববার (২৬ জুন) দুপুর দুইটায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসির আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো মানে এই নয় যে আমাদের শিক্ষার মান বাড়ছে বা দক্ষতা বাড়ছে। এজন্য ব্যক্তিপর্যায়ে আপনাদের সকলকে অংশগ্রহণ করতে হবে। উচ্চশিক্ষা মানেই উচ্চ পর্যায়ের চাকরি এরকম মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নানা দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নানান ভাষা শিখতে হবে। ভবিষ্যতে অনেক চাকরির সুযোগ তৈরি হবে এবং সে চাকরিতে যোগ্য প্রার্থী হতে হলে সেভাবে দক্ষ করতে হবে নিজেকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিক্ষার মাধ্যমে একটি কল্যাণকর ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’ সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য তিনি শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসির পরিচালক ড. এম আবু ইউসুফ এবং প্রবন্ধের উপর মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মোকাদ্দেম আকাশ এবং অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। স্বাগত বক্তব্য দেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম।
মূল আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মোকাদ্দেম আকাশ বলেন, ‘শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বাজেটে কয়েকটা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। একটি হলো ঝড়ে পড়া। করোনার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পরেছে। তাদের আবার শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনতে হবে। দ্বিতীয়টি হলো ডিজিটাল ডিভাইড। ডিজিটাল শিক্ষা দিতে গেলে দেখা যাবে গ্রামের শিক্ষার্থীরা তা পাবে না। এর প্রভাবে একপ্রকার ডিজিটাল ডিভাইড তৈরি হবে। তৃতীয়টি হলো মানসম্পন্ন শিক্ষা। আমরা সবদিকে শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে পারলেও মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারছি না। চতুর্থত আমাদের শিক্ষা কারিকুলামে ধর্মীয় সম্প্রীতি থাকতে হবে। সবশেষে হলো সাপ্লাই এন্ড ডিমান্ড মিসম্যাচ দূর করতে হবে।’