নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করায় বিপাকে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
রেজাল্ট দেরিতে হওয়া, অনলাইন ফরম ফিল-আপ করতে গিয়ে সার্ভার বন্ধ থাকা, রোজায় অনেকে অসুস্থ থাকার কারণে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি দাবি শিক্ষার্থীদের।
বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, তৃতীয় বর্ষ (২০১৮-১৯ সেশন) ৫ম সেমিস্টারের ৩০১ নং কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ২০ এপ্রিল। পরীক্ষা শুরুর মাত্র একদিন আগে ৪র্থ সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।
এই একদিনের মধ্য বিভাগ থেকে অনলাইনে পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করতে বলা হয়। কিন্তু সেদিন অনলাইনে ফর্ম পূরণের সার্ভার বন্ধ ছিল, যার কারণে শিক্ষার্থীরা ৫ম সেমিস্টার পরীক্ষার ফরম ও অনলাইনে ভর্তি হতে পারেনি। ফলে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রোল আসে নি। রোল ছাড়া পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীরা অনাগ্রহী ছিল।
পরীক্ষায় জন্য ফর্ম ফিলাপ করতে না পারা এবং প্রবেশপত্র, পরীক্ষার রোল না আসা এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির অভাব এই মর্মে আবেদন নিয়ে শ্রেণি প্রতিনিধি এবং প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিভাগের চেয়ারম্যানের নিকট জমা দেয়।
তখন চেয়ারম্যান পরীক্ষা পেছানো যাবে না বলে জানিয়ে দেন। রোল ও প্রবেশপত্র ছাড়া পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীরা আপত্তি জানালে তিনি পূর্ববর্তী পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রোল দিয়ে পরীক্ষা দিতে বলেন, কিন্তু শিক্ষার্থীরা পূর্ববর্তী পরীক্ষার রোল দিয়ে পরীক্ষা দিতে আপত্তি জানানোয় তিনি অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন।
তারপর শিক্ষার্থীরা সাবেক চেয়ারম্যান, কোর্স কোর্স- কোঅর্ডিনেটর, ছাত্র উপদেষ্টা, কোর্স শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানান। শিক্ষকরা চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন। অনেকে ঈদ করতে বাড়িতে চলে যায়। এই পরীক্ষাটি না হলেও অন্য পরীক্ষাগুলো রুটিন অনুযায়ী হয়।
এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ওই কোর্সের পরীক্ষাটি নেওয়া হয়নি। যদিও ষষ্ঠ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা পরীক্ষাটি নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান, প্রো-ভিসি স্যারের কাছে আবেদন দিই। কিন্তু তারপরেও পরীক্ষা হচ্ছে না। আমাদের রেজাল্টও হচ্ছে না। আজকে ১ সেপ্টেম্বর আমাদের সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে উপাচার্য বরাবর। আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমরা দ্রুত পরীক্ষা দিতে চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি এটিএম সামছুজ্জোহা বলেন, বিষয়টি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। প্রো-ভিসি(শিক্ষা) স্যারের সাথে আমাদের এ বিষয়ে কথা হয়েছে। উনি বিভাগের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে কতগুলো নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছি। দেখা যাক কি হয়।
এ বিষয়ে কোর্স শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং বিভাগের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়াকে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
এদিকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী মিটিংয়ে আছেন বলে মোবাইল রেখে দেন।
বৃহস্পতিবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২
নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করায় বিপাকে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
রেজাল্ট দেরিতে হওয়া, অনলাইন ফরম ফিল-আপ করতে গিয়ে সার্ভার বন্ধ থাকা, রোজায় অনেকে অসুস্থ থাকার কারণে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি দাবি শিক্ষার্থীদের।
বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, তৃতীয় বর্ষ (২০১৮-১৯ সেশন) ৫ম সেমিস্টারের ৩০১ নং কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ২০ এপ্রিল। পরীক্ষা শুরুর মাত্র একদিন আগে ৪র্থ সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।
এই একদিনের মধ্য বিভাগ থেকে অনলাইনে পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করতে বলা হয়। কিন্তু সেদিন অনলাইনে ফর্ম পূরণের সার্ভার বন্ধ ছিল, যার কারণে শিক্ষার্থীরা ৫ম সেমিস্টার পরীক্ষার ফরম ও অনলাইনে ভর্তি হতে পারেনি। ফলে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রোল আসে নি। রোল ছাড়া পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীরা অনাগ্রহী ছিল।
পরীক্ষায় জন্য ফর্ম ফিলাপ করতে না পারা এবং প্রবেশপত্র, পরীক্ষার রোল না আসা এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির অভাব এই মর্মে আবেদন নিয়ে শ্রেণি প্রতিনিধি এবং প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিভাগের চেয়ারম্যানের নিকট জমা দেয়।
তখন চেয়ারম্যান পরীক্ষা পেছানো যাবে না বলে জানিয়ে দেন। রোল ও প্রবেশপত্র ছাড়া পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীরা আপত্তি জানালে তিনি পূর্ববর্তী পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রোল দিয়ে পরীক্ষা দিতে বলেন, কিন্তু শিক্ষার্থীরা পূর্ববর্তী পরীক্ষার রোল দিয়ে পরীক্ষা দিতে আপত্তি জানানোয় তিনি অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন।
তারপর শিক্ষার্থীরা সাবেক চেয়ারম্যান, কোর্স কোর্স- কোঅর্ডিনেটর, ছাত্র উপদেষ্টা, কোর্স শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানান। শিক্ষকরা চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন। অনেকে ঈদ করতে বাড়িতে চলে যায়। এই পরীক্ষাটি না হলেও অন্য পরীক্ষাগুলো রুটিন অনুযায়ী হয়।
এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ওই কোর্সের পরীক্ষাটি নেওয়া হয়নি। যদিও ষষ্ঠ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা পরীক্ষাটি নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান, প্রো-ভিসি স্যারের কাছে আবেদন দিই। কিন্তু তারপরেও পরীক্ষা হচ্ছে না। আমাদের রেজাল্টও হচ্ছে না। আজকে ১ সেপ্টেম্বর আমাদের সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে উপাচার্য বরাবর। আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমরা দ্রুত পরীক্ষা দিতে চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি এটিএম সামছুজ্জোহা বলেন, বিষয়টি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। প্রো-ভিসি(শিক্ষা) স্যারের সাথে আমাদের এ বিষয়ে কথা হয়েছে। উনি বিভাগের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে কতগুলো নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছি। দেখা যাক কি হয়।
এ বিষয়ে কোর্স শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং বিভাগের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়াকে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
এদিকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী মিটিংয়ে আছেন বলে মোবাইল রেখে দেন।