ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মত শুরু হয়েছে গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে একাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রকাশনা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে দুদিনব্যাপী আয়োজিত এই মেলা আজ ২২ অক্টোবর শুরু হয়ে আগামীকাল ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ/ইনস্টিটিউট/ গবেষণা সেন্টারের উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনাসমূহ তুলে ধরা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, চতুর্থ বিপ্লব মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেজন্য আমাদের সুদক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে হবে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ই এ কাজ একা পারবে না। এজন্য সরকারের সকল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাইদের এগিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে আমার শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
সম্মাননীয় অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, অবকাঠামোগত মাস্টারপ্ল্যান হওয়ার আগে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান হওয়া জরুরি। সেই সংক্রান্ত বাজেট অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে আমরা ব্যবস্থা করবো। গবেষণা উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট কোয়ালিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পড়াশোনা করে বাইরে ডলারে বেতন পাচ্ছেন, তাদেরকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মূলত শিক্ষাকে বানিজ্যিকিকরণ করে। তারা স্টুডেন্টদের কাছ থেকে মোটা অংকের ফি নেয়। আমাদের পক্ষে সেটি সম্ভব না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জাতি গঠনে কাজ করা এবং কর্ম উপযোগী গ্রাজুয়েট তৈরি করা। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া রিলেশন এবং কমিউনিটি এঙ্গেইজমেন্ট এর সংস্কৃতি আমাদের দেশে এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা সেটা অনুধাবন করতে পেরেছি। নিড বেইজড রিসার্চ এন্ড এডুকেশন খুবই জরুরি। সে অনুযায়ী কারিকুলাম গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে বিদেশী শিক্ষার্থী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্যারামিটার। কিন্তু বিদেশি শিক্ষার্থী আমাদের দেশে আসার প্রক্রিয়া খুবই জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তাই তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এসকল জটিলতা দূরীকরণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে আমরা শীঘ্রই অনুরোধপত্র পাঠাবো।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, দেশে যেসব বড় বড় প্রকল্প চলমান, সেগুলোর সাথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সংযুক্ত করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিদেশিদের দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের পর সেগুলোর ব্যবস্থাপনায় সমস্যা দেখা দেয়। ফলে, অনেক অর্থ খরচ করেও আমরা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাইনা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য আর্থিক ও পরিচালনাগত স্বায়ত্তশাসন এবং ফ্রিডম অব থট প্রয়োজন।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ বলেন, মানব সমাজের উন্নয়নের জন্য যা প্রয়োজন, বিজ্ঞানী-জ্ঞানী-গুনী-প্রকাশকরা আমাদের সামনে তাই উপস্থাপন করেন। গবেষণার জন্য অত্যন্ত কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়। ব্যক্তি নিজের ইচ্ছায় গবেষণা করবে। বর্তমানে গবেষণার জন্য অর্থের অভাব পৃথিবীতে নেই।
উল্লেখ্য, এ মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত প্রকাশনাসহ উল্লেখযোগ্য প্রকাশনাসমূহ (যেমন: গ্রন্থ জার্নালের বিশেষ সংখ্যা, গবেষণা প্রকল্প, পোস্টার, ফায়ার, ব্রশিয়ার) প্রদর্শন ও উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া ৫৫টি গ্রন্থ, ২৬টি বিশেষ জার্নাল, ২১৬টি গবেষণা প্রজেক্ট, ৬২৪টি পোস্টার এবং ৮৬টি ফ্লাইয়ার/প্রুশিয়ার মেলায় স্থান পেয়েছে।
শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মত শুরু হয়েছে গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে একাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রকাশনা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে দুদিনব্যাপী আয়োজিত এই মেলা আজ ২২ অক্টোবর শুরু হয়ে আগামীকাল ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ/ইনস্টিটিউট/ গবেষণা সেন্টারের উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনাসমূহ তুলে ধরা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, চতুর্থ বিপ্লব মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেজন্য আমাদের সুদক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে হবে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ই এ কাজ একা পারবে না। এজন্য সরকারের সকল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাইদের এগিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে আমার শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
সম্মাননীয় অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, অবকাঠামোগত মাস্টারপ্ল্যান হওয়ার আগে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান হওয়া জরুরি। সেই সংক্রান্ত বাজেট অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে আমরা ব্যবস্থা করবো। গবেষণা উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট কোয়ালিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পড়াশোনা করে বাইরে ডলারে বেতন পাচ্ছেন, তাদেরকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মূলত শিক্ষাকে বানিজ্যিকিকরণ করে। তারা স্টুডেন্টদের কাছ থেকে মোটা অংকের ফি নেয়। আমাদের পক্ষে সেটি সম্ভব না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জাতি গঠনে কাজ করা এবং কর্ম উপযোগী গ্রাজুয়েট তৈরি করা। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া রিলেশন এবং কমিউনিটি এঙ্গেইজমেন্ট এর সংস্কৃতি আমাদের দেশে এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা সেটা অনুধাবন করতে পেরেছি। নিড বেইজড রিসার্চ এন্ড এডুকেশন খুবই জরুরি। সে অনুযায়ী কারিকুলাম গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে বিদেশী শিক্ষার্থী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্যারামিটার। কিন্তু বিদেশি শিক্ষার্থী আমাদের দেশে আসার প্রক্রিয়া খুবই জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তাই তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এসকল জটিলতা দূরীকরণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে আমরা শীঘ্রই অনুরোধপত্র পাঠাবো।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, দেশে যেসব বড় বড় প্রকল্প চলমান, সেগুলোর সাথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সংযুক্ত করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিদেশিদের দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের পর সেগুলোর ব্যবস্থাপনায় সমস্যা দেখা দেয়। ফলে, অনেক অর্থ খরচ করেও আমরা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাইনা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য আর্থিক ও পরিচালনাগত স্বায়ত্তশাসন এবং ফ্রিডম অব থট প্রয়োজন।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ বলেন, মানব সমাজের উন্নয়নের জন্য যা প্রয়োজন, বিজ্ঞানী-জ্ঞানী-গুনী-প্রকাশকরা আমাদের সামনে তাই উপস্থাপন করেন। গবেষণার জন্য অত্যন্ত কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়। ব্যক্তি নিজের ইচ্ছায় গবেষণা করবে। বর্তমানে গবেষণার জন্য অর্থের অভাব পৃথিবীতে নেই।
উল্লেখ্য, এ মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত প্রকাশনাসহ উল্লেখযোগ্য প্রকাশনাসমূহ (যেমন: গ্রন্থ জার্নালের বিশেষ সংখ্যা, গবেষণা প্রকল্প, পোস্টার, ফায়ার, ব্রশিয়ার) প্রদর্শন ও উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া ৫৫টি গ্রন্থ, ২৬টি বিশেষ জার্নাল, ২১৬টি গবেষণা প্রজেক্ট, ৬২৪টি পোস্টার এবং ৮৬টি ফ্লাইয়ার/প্রুশিয়ার মেলায় স্থান পেয়েছে।