ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলে এক সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিন ছাত্রলীগ কর্মীর শাস্তি চেয়ে হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সূর্যসেন হলের হাউজ টিউটর ড. আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়া।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১১টায় হলের রিডিংরুমের সামনে এ হেনস্তার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক তাওসিফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) এবং ইংরেজি দৈনিক ডেইলি অবজারভার পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
অভিযুক্তরা হলেন, মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তুষার হোসাইন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুনতাসির মামুন রিফাত এবং ফাইনান্স বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সিরাজুল ইসলাম।
তুষার ও রিফাত হল ছাত্রলীগ সভাপতি মারিয়াম জামান সোহানের অনুসারী। মারিয়াম সোহান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের রাজনীতি করেন। অন্যদিকে সিরাজুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের অনুসারী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের রাজনীতি করেন।
অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ১১:২০ নাগাদ হল ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান সোহান এবং সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা হলের রিডিং রুমে যান। তখন আমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তারা রিডিংরুমে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সিটে বসা নিয়ে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে সেখানে থাকা তুষার হুসাইন, মুনতাসির মামুন রিফাত এবং সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন আমার পথ অবরুদ্ধ করেন। আমাকে বারবার জেরা করতে থাকেন। তারা আমাকেসহ সাংবাদিক সমিতি, সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। তুষার হুসাইন আমাকে মেরে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে একজন আমাকে ধাক্কা দেন। তারা আমাকে শাসায় এবং উগ্রভাবে বারবার গায়ের দিকে তেড়ে আসে।
এদিকে অভিযুক্ত তিনজনই এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তুষার হোসাইন বলেন, গতকাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আমরা শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে রিডিংরুমে যাই। তখন হলের একটা ছেলে নিজে নিজে আজেবাজে ভাষায় মন্তব্য করে বের হচ্ছিলো। তখন আমাদের একজন সিনিয়র তাকে বলে যে তুমি এরকম কেন করতেছ। তখন সে সাংবাদিক পরিচয় দিলে আমি তাকে বলি, তুমি কি সাংবাদিকতার পাওয়ার দেখাচ্ছ?
ভুক্তভোগী ও সাংবাদিক সমিতির নেতাদের গালিগালাজ ও ধাক্কা দেয়ার অভিযোগের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। আমি বা কেউ তাকে ধাক্কা দেয়নি। গালিগালাজও করিনি।
এ ব্যাপারে হল ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান সোহান বলেন, আমরা রিডিং রুম থেকে বের হয়ে কোন ধাক্কাধাক্কি বা গালাগালি শুনিনি। একটু জটলা দেখেছি। পরে আমি তাওসিফকে বলেছি তুমি আমার সাথে আসো। আর তুষার ওদের সরিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর এলাকা থেকে প্রজিত দাশ নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, ১৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছিল অভিযুক্ত তুষার ও তার কয়েকজন সহযোগী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পরে ছিনতাইয়ের জিনিসপত্র ফেরত দিয়ে এমন কাজ আর করবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়েছিলেন তিনি।
বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলে এক সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিন ছাত্রলীগ কর্মীর শাস্তি চেয়ে হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সূর্যসেন হলের হাউজ টিউটর ড. আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়া।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১১টায় হলের রিডিংরুমের সামনে এ হেনস্তার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক তাওসিফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) এবং ইংরেজি দৈনিক ডেইলি অবজারভার পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
অভিযুক্তরা হলেন, মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তুষার হোসাইন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুনতাসির মামুন রিফাত এবং ফাইনান্স বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সিরাজুল ইসলাম।
তুষার ও রিফাত হল ছাত্রলীগ সভাপতি মারিয়াম জামান সোহানের অনুসারী। মারিয়াম সোহান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের রাজনীতি করেন। অন্যদিকে সিরাজুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের অনুসারী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের রাজনীতি করেন।
অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ১১:২০ নাগাদ হল ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান সোহান এবং সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা হলের রিডিং রুমে যান। তখন আমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তারা রিডিংরুমে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সিটে বসা নিয়ে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে সেখানে থাকা তুষার হুসাইন, মুনতাসির মামুন রিফাত এবং সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন আমার পথ অবরুদ্ধ করেন। আমাকে বারবার জেরা করতে থাকেন। তারা আমাকেসহ সাংবাদিক সমিতি, সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। তুষার হুসাইন আমাকে মেরে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে একজন আমাকে ধাক্কা দেন। তারা আমাকে শাসায় এবং উগ্রভাবে বারবার গায়ের দিকে তেড়ে আসে।
এদিকে অভিযুক্ত তিনজনই এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তুষার হোসাইন বলেন, গতকাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আমরা শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে রিডিংরুমে যাই। তখন হলের একটা ছেলে নিজে নিজে আজেবাজে ভাষায় মন্তব্য করে বের হচ্ছিলো। তখন আমাদের একজন সিনিয়র তাকে বলে যে তুমি এরকম কেন করতেছ। তখন সে সাংবাদিক পরিচয় দিলে আমি তাকে বলি, তুমি কি সাংবাদিকতার পাওয়ার দেখাচ্ছ?
ভুক্তভোগী ও সাংবাদিক সমিতির নেতাদের গালিগালাজ ও ধাক্কা দেয়ার অভিযোগের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। আমি বা কেউ তাকে ধাক্কা দেয়নি। গালিগালাজও করিনি।
এ ব্যাপারে হল ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান সোহান বলেন, আমরা রিডিং রুম থেকে বের হয়ে কোন ধাক্কাধাক্কি বা গালাগালি শুনিনি। একটু জটলা দেখেছি। পরে আমি তাওসিফকে বলেছি তুমি আমার সাথে আসো। আর তুষার ওদের সরিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর এলাকা থেকে প্রজিত দাশ নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, ১৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছিল অভিযুক্ত তুষার ও তার কয়েকজন সহযোগী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পরে ছিনতাইয়ের জিনিসপত্র ফেরত দিয়ে এমন কাজ আর করবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়েছিলেন তিনি।