ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার (১৯ নভেম্বর)। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসহ মোট তিনটি ভেন্যু অনুষ্ঠিত হবে সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠান। আলাদা ভেন্যুতে হবে সাত কলেজের সমাবর্তন। সমাবর্তনে অংশ নিতে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক গ্র্যাজুয়েট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
সমাবর্তন উপলক্ষে বেশকিছু নির্দেশনা মানতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনা তুলে ধরেন।
উপাচার্য বলেন, ‘ঢাবি গ্র্যাজুয়েট ও উপাদানকল্প কলেজ ও ইনস্টিটিউটের সমাবর্তনের মূল ভেন্যু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের মধ্যে ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজ ভেন্যু থেকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবেন। ওই দিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে চ্যান্সেলরের শোভাযাত্রা এবং ১২টায় সমাবর্তন শুরু হবে। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ। নোবেল বিজয়ী ফরাসী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. জাঁ টিরোল সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব ল’স) ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
স্বর্ণপদক ও ডিগ্রি পাবে কতজন
সমাবর্তনে মোট ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে মোট ২২ হাজার ২৮৭ জন অ্যান্ড্রয়েট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ভেন্যুতে এবং ৭ হাজার ৭৯৬ জন ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজ ভেন্যুতে অংশগ্রহণ করবেন। মোট ১৩১ জন কৃতী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ১৫৩টি স্বর্ণপদক, ৯৭ জনকে পিএইচডি, ২ জনকে ডিবিএ এবং ৩৫ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মোট ৫২ জনকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। প্রফেসর ড. জাঁ টিরোলকে ডক্টর অব ল’স ডিগ্রি প্রদানের মাধ্যমে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৩ জনে।
কার্জন হল থেকে শোভাযাত্রা শুরু
সিনেট, সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কনস্টিট্যুয়েন্ট কলেজের অধ্যক্ষ/ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সমাবর্তন শোভাযাত্রার আরম্ভ স্থল কার্জন হল প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকবেন।
১১টার মধ্যে সমাবর্তন স্থলে প্রবেশ করতে হবে
ঢাবির গ্র্যাজুয়েটরা খেলার মাঠের সুইমিংপুল সংলগ্ন গেট দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবেন। তাদের জন্য সকাল সাড়ে ৯টায় গেট খোলা হবে এবং তারা সকাল ১১টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানস্থলে নিজ নিজ আসন গ্রহণ করার পর কোনোক্রমেই মঞ্চের আশেপাশে ও অন্যান্য স্থানে ঘুরাফেরা করা যাবে না। আমন্ত্রিত অতিথিরা সংলগ্ন গেট দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবেন। তাদের জন্য সকাল ১০টায় গেট খোলা হবে এবং তারা সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন।
অধিভুক্ত কলেজের সমাবর্তন
অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং রেজিস্ট্রেশনকৃত গ্র্যাজুয়েটরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যু থেকে সরাসরি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং তারা সমাবর্তনস্থলে সকাল ১১টা ২০মিনিটের মধ্যে আসন গ্রহণ করবেন।
যা আনা যাবে না
সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্র/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আইডি/পাসপোর্ট সঙ্গে আনতে হবে। আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সমাবর্তনস্থলে মোবাইল ফোন, হাতব্যাগ, ব্রিফকেস, ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ছাতা ও পানির বোতল নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। সমাবর্তনস্থলে প্রবেশের জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক।
পার্কিং হবে যেখানে
সমাবর্তনের দিন ভিআইপি এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের গাড়ি কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ভবন (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সায়েন্স অ্যানেক্স ভবন) মাঠে পার্কিং ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, অন্যান্য সকল গাড়ি এসএম হল মাঠ, হক হল মাঠ, মুহসীন হল মাঠ এবং ফুলার রোডে পার্কিং করতে হবে। গ্র্যাজুয়েটদের চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তায় গাড়ি পার্কিং না করার অনুরোধ করা হলো।
ক্যাম্পাসে গণপরিবহন চলাচল বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ
উপাচার্য জানান, সমাবর্তনের দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত টিএসসি ক্রসিং থেকে দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট থেকে দোয়েল চত্বর এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সময় সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য ওই দিন বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দঃখিত। সমাবর্তনের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে শাহবাগ থেকে টিএসসি-দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত রাস্তার নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলো।
অনুষ্ঠান সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘ঢাবি ও তার আশেপাশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকায় গ্র্যাজুয়েট এবং অতিথিদের চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটবে বলে আমরা দুঃখিত। তাই সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ফায়ার সার্ভিস, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সদয় সহযোগিতা কামনা করছি।’
এসময় যেখানে-সেখানে নিষিদ্ধ পলিব্যাগ ফেলা ও সমাবর্তনের গাউন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসেই সাতটি স্পটে গাউন দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে আমরা জানার পর খোঁজ নিয়ে দেখেছি, দুটি স্পটে পলিব্যাগে গাউন সরবরাহ করা হয়েছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এছাড়াও বিভিন্ন পরিবেশ দিবসে আমরা এর ব্যাবহার না করার জন্য বলি। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এটি খুবই অগ্রহণযোগ্য কাজ। আমরা তাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছি— যেন টিস্যু ব্যাগে তা দেওয়া হয়। এবং সেটি তারা করছে।’
অধিভুক্ত সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েটদের ডিজিটাল স্ক্রিনে সমাবর্তন নিতে আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উপাচার্য বলেন, ‘এটি চ্যান্সচেলর মহোদয় যেভাবে নির্দেশনা ও সম্মতি দেন, সেভাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজন করবে। বিষয়টা পুরোপুরি চ্যান্সেলরের ওপর নির্ভর করে।’
সমাবর্তন উপলক্ষে গ্র্যাজুয়েটদের দেওয়া টাই-য়ে ‘53rd’ স্থলে ‘53th’ লেখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে এটি একটি অপ্রত্যাশিত ভুল। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে এর জবাব চেয়েছি। এটি যারা তৈরি করেছে, তাদের প্রিন্টে ভুল হয়েছে। তাদেরকে জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছি। মেহমানদের জন্য নতুন করে টাই তৈরি করে দিতে বলেছি।’
বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার (১৯ নভেম্বর)। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসহ মোট তিনটি ভেন্যু অনুষ্ঠিত হবে সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠান। আলাদা ভেন্যুতে হবে সাত কলেজের সমাবর্তন। সমাবর্তনে অংশ নিতে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক গ্র্যাজুয়েট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
সমাবর্তন উপলক্ষে বেশকিছু নির্দেশনা মানতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনা তুলে ধরেন।
উপাচার্য বলেন, ‘ঢাবি গ্র্যাজুয়েট ও উপাদানকল্প কলেজ ও ইনস্টিটিউটের সমাবর্তনের মূল ভেন্যু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের মধ্যে ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজ ভেন্যু থেকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবেন। ওই দিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে চ্যান্সেলরের শোভাযাত্রা এবং ১২টায় সমাবর্তন শুরু হবে। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ। নোবেল বিজয়ী ফরাসী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. জাঁ টিরোল সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব ল’স) ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
স্বর্ণপদক ও ডিগ্রি পাবে কতজন
সমাবর্তনে মোট ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে মোট ২২ হাজার ২৮৭ জন অ্যান্ড্রয়েট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ভেন্যুতে এবং ৭ হাজার ৭৯৬ জন ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজ ভেন্যুতে অংশগ্রহণ করবেন। মোট ১৩১ জন কৃতী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ১৫৩টি স্বর্ণপদক, ৯৭ জনকে পিএইচডি, ২ জনকে ডিবিএ এবং ৩৫ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মোট ৫২ জনকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। প্রফেসর ড. জাঁ টিরোলকে ডক্টর অব ল’স ডিগ্রি প্রদানের মাধ্যমে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৩ জনে।
কার্জন হল থেকে শোভাযাত্রা শুরু
সিনেট, সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কনস্টিট্যুয়েন্ট কলেজের অধ্যক্ষ/ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সমাবর্তন শোভাযাত্রার আরম্ভ স্থল কার্জন হল প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকবেন।
১১টার মধ্যে সমাবর্তন স্থলে প্রবেশ করতে হবে
ঢাবির গ্র্যাজুয়েটরা খেলার মাঠের সুইমিংপুল সংলগ্ন গেট দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবেন। তাদের জন্য সকাল সাড়ে ৯টায় গেট খোলা হবে এবং তারা সকাল ১১টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানস্থলে নিজ নিজ আসন গ্রহণ করার পর কোনোক্রমেই মঞ্চের আশেপাশে ও অন্যান্য স্থানে ঘুরাফেরা করা যাবে না। আমন্ত্রিত অতিথিরা সংলগ্ন গেট দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবেন। তাদের জন্য সকাল ১০টায় গেট খোলা হবে এবং তারা সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন।
অধিভুক্ত কলেজের সমাবর্তন
অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং রেজিস্ট্রেশনকৃত গ্র্যাজুয়েটরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যু থেকে সরাসরি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং তারা সমাবর্তনস্থলে সকাল ১১টা ২০মিনিটের মধ্যে আসন গ্রহণ করবেন।
যা আনা যাবে না
সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্র/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আইডি/পাসপোর্ট সঙ্গে আনতে হবে। আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সমাবর্তনস্থলে মোবাইল ফোন, হাতব্যাগ, ব্রিফকেস, ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ছাতা ও পানির বোতল নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। সমাবর্তনস্থলে প্রবেশের জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক।
পার্কিং হবে যেখানে
সমাবর্তনের দিন ভিআইপি এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের গাড়ি কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ভবন (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সায়েন্স অ্যানেক্স ভবন) মাঠে পার্কিং ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, অন্যান্য সকল গাড়ি এসএম হল মাঠ, হক হল মাঠ, মুহসীন হল মাঠ এবং ফুলার রোডে পার্কিং করতে হবে। গ্র্যাজুয়েটদের চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তায় গাড়ি পার্কিং না করার অনুরোধ করা হলো।
ক্যাম্পাসে গণপরিবহন চলাচল বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ
উপাচার্য জানান, সমাবর্তনের দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত টিএসসি ক্রসিং থেকে দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট থেকে দোয়েল চত্বর এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সময় সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য ওই দিন বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দঃখিত। সমাবর্তনের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে শাহবাগ থেকে টিএসসি-দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত রাস্তার নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলো।
অনুষ্ঠান সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘ঢাবি ও তার আশেপাশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকায় গ্র্যাজুয়েট এবং অতিথিদের চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটবে বলে আমরা দুঃখিত। তাই সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ফায়ার সার্ভিস, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সদয় সহযোগিতা কামনা করছি।’
এসময় যেখানে-সেখানে নিষিদ্ধ পলিব্যাগ ফেলা ও সমাবর্তনের গাউন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসেই সাতটি স্পটে গাউন দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে আমরা জানার পর খোঁজ নিয়ে দেখেছি, দুটি স্পটে পলিব্যাগে গাউন সরবরাহ করা হয়েছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এছাড়াও বিভিন্ন পরিবেশ দিবসে আমরা এর ব্যাবহার না করার জন্য বলি। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এটি খুবই অগ্রহণযোগ্য কাজ। আমরা তাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছি— যেন টিস্যু ব্যাগে তা দেওয়া হয়। এবং সেটি তারা করছে।’
অধিভুক্ত সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েটদের ডিজিটাল স্ক্রিনে সমাবর্তন নিতে আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উপাচার্য বলেন, ‘এটি চ্যান্সচেলর মহোদয় যেভাবে নির্দেশনা ও সম্মতি দেন, সেভাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজন করবে। বিষয়টা পুরোপুরি চ্যান্সেলরের ওপর নির্ভর করে।’
সমাবর্তন উপলক্ষে গ্র্যাজুয়েটদের দেওয়া টাই-য়ে ‘53rd’ স্থলে ‘53th’ লেখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে এটি একটি অপ্রত্যাশিত ভুল। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে এর জবাব চেয়েছি। এটি যারা তৈরি করেছে, তাদের প্রিন্টে ভুল হয়েছে। তাদেরকে জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছি। মেহমানদের জন্য নতুন করে টাই তৈরি করে দিতে বলেছি।’