বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভা
বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি কর্তৃক সৃষ্ট "নৈরাজ্য-নাশকতা-বিশৃঙ্খলাঃ-বিশৃঙ্খলাঃ উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান বাধা" শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকাল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি, শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মোঃ নজরুল ইসলাম খান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম ফারুক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়াসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু।
মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি বলেন, বিএনপির জনসমাবেশগুলোতে দেশের সব অঞ্চল থেকে জামায়াতের কর্মীরাও এসে যুক্ত হয়। প্রকাশ্য রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও ভেতর ভেতরে তারা সক্রিয়। বিএনপি ভয়াবহ নাশকতা করতে পারে, নয়াপল্টনে জনসভা ডাকার দুরভিসন্ধি রয়েছে। তারা কৌশলে বেগম খালেদা জিয়াকে জনসভায় এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।
অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, যে কোন হত্যাকান্ড মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কিন্তু বিএনপি ও এদেশের স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির পিতার হত্যা, শিশু রাসেল হত্যা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানের মতো জনপ্রিয় নেত্রীকে হত্যা করে তারা এদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছে। তারা এখন আবার তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চায় বা জাতীয় সরকার ব্যবস্থা চায়। এটা কোনদিনই আর সম্ভব নয়।
অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, একটা মহল প্রচার করছে আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার কারণে নাকি আমাদের সব জাত-মান চলে গেছে। অথচ সাউথ কোরিয়া, গ্রীসের মত দেশ আমাদের থেকে কয়েকগুন বেশি বেলআউট নিয়েছে আইএমএফের কাছ থেকে। আমরা নিয়েছি মাত্র ৪.৫ বিলিয়ন ডলার। আসলে এই অপশক্তি দেশে একটা আর্টিফিশিয়াল ক্রাইসিস তৈরী করতে চায়। আজকে আমরা অনেক নেতা-কর্মী দেখছি। অথচ আমাদের পক্ষ দু-এক কলম লেখার মত কেউ নেই। আমাদের কোনো প্রচারযন্ত্র নেই। এটা আমাদের জন্য কষ্টের। হাইব্রিড লীগ এবং অনুপ্রবেশকারী আওয়ামীলীগের সবচেয়ে বড় সমস্যা। শুদ্ধাচার ও আত্মসমালোচনা না করলে আমরা যে জায়গায় আছি সেখান থেকে অতলগহ্বরের তলিয়ে যাবো। যারা এদেশের শত্রু, মানুষের শত্রু তাদের বিরুদ্ধে আমরা আমৃত্যু লড়ে যাব। আমাদের কাজ হচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযোগী করে তৈরী করা।
অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূইয়া বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন আসে। কিন্তু বিএনপি অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতায় যেতে চায়। বেশ কিছুদিন যাবৎ তারা অপপ্রচার করছে বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবে। সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসে বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রীলংকা হওয়ার কোন লক্ষন নেই, আর বাংলাদেশ শ্রীলংকা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ১৫ ও ২১ শে আগস্ট যারা ঘটিয়েছে, সেই মূল ঘাতকদের তদন্ত কমিশন গঠন করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।
মোঃ নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের তথ্য বিদেশে পাচার করা নিন্দনীয় ও দেশবিরোধী কাজ। বিএনপি বারবার বিদেশীদের কাছে ধরনা দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভা
রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি কর্তৃক সৃষ্ট "নৈরাজ্য-নাশকতা-বিশৃঙ্খলাঃ-বিশৃঙ্খলাঃ উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান বাধা" শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকাল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি, শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মোঃ নজরুল ইসলাম খান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম ফারুক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়াসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু।
মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি বলেন, বিএনপির জনসমাবেশগুলোতে দেশের সব অঞ্চল থেকে জামায়াতের কর্মীরাও এসে যুক্ত হয়। প্রকাশ্য রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও ভেতর ভেতরে তারা সক্রিয়। বিএনপি ভয়াবহ নাশকতা করতে পারে, নয়াপল্টনে জনসভা ডাকার দুরভিসন্ধি রয়েছে। তারা কৌশলে বেগম খালেদা জিয়াকে জনসভায় এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।
অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, যে কোন হত্যাকান্ড মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কিন্তু বিএনপি ও এদেশের স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির পিতার হত্যা, শিশু রাসেল হত্যা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানের মতো জনপ্রিয় নেত্রীকে হত্যা করে তারা এদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছে। তারা এখন আবার তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চায় বা জাতীয় সরকার ব্যবস্থা চায়। এটা কোনদিনই আর সম্ভব নয়।
অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, একটা মহল প্রচার করছে আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার কারণে নাকি আমাদের সব জাত-মান চলে গেছে। অথচ সাউথ কোরিয়া, গ্রীসের মত দেশ আমাদের থেকে কয়েকগুন বেশি বেলআউট নিয়েছে আইএমএফের কাছ থেকে। আমরা নিয়েছি মাত্র ৪.৫ বিলিয়ন ডলার। আসলে এই অপশক্তি দেশে একটা আর্টিফিশিয়াল ক্রাইসিস তৈরী করতে চায়। আজকে আমরা অনেক নেতা-কর্মী দেখছি। অথচ আমাদের পক্ষ দু-এক কলম লেখার মত কেউ নেই। আমাদের কোনো প্রচারযন্ত্র নেই। এটা আমাদের জন্য কষ্টের। হাইব্রিড লীগ এবং অনুপ্রবেশকারী আওয়ামীলীগের সবচেয়ে বড় সমস্যা। শুদ্ধাচার ও আত্মসমালোচনা না করলে আমরা যে জায়গায় আছি সেখান থেকে অতলগহ্বরের তলিয়ে যাবো। যারা এদেশের শত্রু, মানুষের শত্রু তাদের বিরুদ্ধে আমরা আমৃত্যু লড়ে যাব। আমাদের কাজ হচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযোগী করে তৈরী করা।
অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূইয়া বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন আসে। কিন্তু বিএনপি অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতায় যেতে চায়। বেশ কিছুদিন যাবৎ তারা অপপ্রচার করছে বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবে। সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসে বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রীলংকা হওয়ার কোন লক্ষন নেই, আর বাংলাদেশ শ্রীলংকা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ১৫ ও ২১ শে আগস্ট যারা ঘটিয়েছে, সেই মূল ঘাতকদের তদন্ত কমিশন গঠন করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।
মোঃ নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের তথ্য বিদেশে পাচার করা নিন্দনীয় ও দেশবিরোধী কাজ। বিএনপি বারবার বিদেশীদের কাছে ধরনা দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।