বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর শাহবাগ, উত্তরা, মিরপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকার মিরপুর, জাতীয় প্রেস ক্লাব, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, শিল্পকলা একাডেমি, শাহবাগ, নীলক্ষেত এবং উত্তরা এলাকায় টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের টহল জোরদার করেছেন। এছাড়া, দেশের অন্যান্য জায়গাতেও এই বাহিনীর সদস্যরা তৎপর আছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের মূল দাবি পূরণ হওয়ায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর একাংশ তাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও, আরেক অংশের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ঢাকায় অন্তত ছয় জায়গায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেছে আন্দোলনকারীরা। দুপুরে রাজধানীর ইসিবি চত্বর, সায়েন্সল্যাব ও ধানমন্ডি এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য বিক্ষোভকারীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ সময় কিছু এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সড়কে যানজট হয়।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলে ছাত্ররা ফের আন্দোলনে নামে। জুলাইয়ে তা সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে তা সহিংসতায় রূপ নেয়।
১৬ জুলাই ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর, গাজীপুর এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রথমে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ফরিদপুর ও কক্সবাজারেও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ১৮ জুলাই সংঘাত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও আন্দোলনে দেখা যায়। বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে দেশজুড়ে কারফিউ শুরু হয় এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সরকার তিনদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে দেশ অচল হয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে এবং অফিস-আদালত, শিল্প কারখানা চালু হয়েছে।
এই আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের মধ্যে এক সপ্তাহে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তবে সরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা ১৪৭।
সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর শাহবাগ, উত্তরা, মিরপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকার মিরপুর, জাতীয় প্রেস ক্লাব, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, শিল্পকলা একাডেমি, শাহবাগ, নীলক্ষেত এবং উত্তরা এলাকায় টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের টহল জোরদার করেছেন। এছাড়া, দেশের অন্যান্য জায়গাতেও এই বাহিনীর সদস্যরা তৎপর আছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের মূল দাবি পূরণ হওয়ায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর একাংশ তাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও, আরেক অংশের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ঢাকায় অন্তত ছয় জায়গায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেছে আন্দোলনকারীরা। দুপুরে রাজধানীর ইসিবি চত্বর, সায়েন্সল্যাব ও ধানমন্ডি এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য বিক্ষোভকারীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ সময় কিছু এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সড়কে যানজট হয়।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলে ছাত্ররা ফের আন্দোলনে নামে। জুলাইয়ে তা সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে তা সহিংসতায় রূপ নেয়।
১৬ জুলাই ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর, গাজীপুর এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রথমে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ফরিদপুর ও কক্সবাজারেও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ১৮ জুলাই সংঘাত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও আন্দোলনে দেখা যায়। বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে দেশজুড়ে কারফিউ শুরু হয় এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সরকার তিনদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে দেশ অচল হয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে এবং অফিস-আদালত, শিল্প কারখানা চালু হয়েছে।
এই আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের মধ্যে এক সপ্তাহে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তবে সরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা ১৪৭।