নারায়ণগঞ্জে শহীদ মিনারে ত্বকী হত্যার সাড়ে ১১ বছর উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ রাখার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ি করে তাকেও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার ত্বকী হত্যার সাড়ে ১১ বছর উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ।
সমাবেশে নিহত ত্বকীর পিতা ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেন, ‘ত্বকী হত্যার সাথে জড়িত শামীম ওসমান বাহিনী ও তাদের মাফিয়া চক্রের বিচারের দাবিতে আমরা দাঁড়িয়েছি। ত্বকী হত্যার পূর্বে একযুগেরও বেশি সময় থেকে তাদের দুর্বৃত্তায়ন, লুটপাট, হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলেছি। নারায়ণগঞ্জে এই ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য কোনো বিরোধী দল ছিল না। কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি।’
তিনি বলেন, ‘ত্বকী হত্যাকাণ্ড কেন এবং কারা করেছে তা সারাদেশের মানুষ জানে। হত্যা করে মুখ বন্ধ রাখার প্রক্রিয়া তাদের দীর্ঘদিনের। নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে তারা নারায়ণগঞ্জবাসীকে বুঝাতে চেয়েছে যে, তাদের বিরুদ্ধে যাওয়ার পরিণতি কী হতে পারে। আমরা বারবার বলেছি, সরকার, প্রশাসন, পুলিশ যদি তাদের পেছনে না থাকে তাহলে নারায়ণগঞ্জের মানুষ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাদের রাজপথে হত্যা করবে। হয়েছেও তাই। তাদের পেছন থেকে যখন সরকার ও প্রশাসন সরেছে তখন তারা পালিয়েছে।’
ত্বকী ছাড়াও ওসমান পরিবার আশিক, চঞ্চল, ভুলু, মিঠুসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে অভিযোগ করে রাব্বি বলেন, ‘জামতলায় মিঠুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে, আশিককে তাদের টর্চার সেলে হত্যা করেছে। ত্বকীকে এই টর্চার সেলে নিয়ে গজারির লাঠি দিয়ে ১১ জন মিলে পিটিয়ে অজ্ঞান করেছে। তারপর তার বুকের উপর উঠে গল টিপে হত্যা করেছে। শরীরের কয়েকটি অঙ্গ তারা থেতলে, চোখ উপড়ে নিয়েছে। এই নৃশংসতার মধ্য দিয়ে তারা কতটা ভয়াবহ তা জানান দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চাই। আমাদের ধ্বংস করা বিচার-ব্যবস্থা ফিরে আসবে। গণতন্ত্র মুক্তি পাক, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হোক; এইটা আমাদের আকাঙ্খা।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন শিশু সংগঠন খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক, সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান মাসুম, সদস্যসচিব কবি ও সাংবাদিক হালিম আজাদ, সিপিবি’র জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, বাসদের সমন্বয়কারী নিখিল দাস, ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন প্রমুখ।
শুক্রবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নারায়ণগঞ্জে শহীদ মিনারে ত্বকী হত্যার সাড়ে ১১ বছর উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ রাখার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ি করে তাকেও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার ত্বকী হত্যার সাড়ে ১১ বছর উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ।
সমাবেশে নিহত ত্বকীর পিতা ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেন, ‘ত্বকী হত্যার সাথে জড়িত শামীম ওসমান বাহিনী ও তাদের মাফিয়া চক্রের বিচারের দাবিতে আমরা দাঁড়িয়েছি। ত্বকী হত্যার পূর্বে একযুগেরও বেশি সময় থেকে তাদের দুর্বৃত্তায়ন, লুটপাট, হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলেছি। নারায়ণগঞ্জে এই ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য কোনো বিরোধী দল ছিল না। কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি।’
তিনি বলেন, ‘ত্বকী হত্যাকাণ্ড কেন এবং কারা করেছে তা সারাদেশের মানুষ জানে। হত্যা করে মুখ বন্ধ রাখার প্রক্রিয়া তাদের দীর্ঘদিনের। নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে তারা নারায়ণগঞ্জবাসীকে বুঝাতে চেয়েছে যে, তাদের বিরুদ্ধে যাওয়ার পরিণতি কী হতে পারে। আমরা বারবার বলেছি, সরকার, প্রশাসন, পুলিশ যদি তাদের পেছনে না থাকে তাহলে নারায়ণগঞ্জের মানুষ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাদের রাজপথে হত্যা করবে। হয়েছেও তাই। তাদের পেছন থেকে যখন সরকার ও প্রশাসন সরেছে তখন তারা পালিয়েছে।’
ত্বকী ছাড়াও ওসমান পরিবার আশিক, চঞ্চল, ভুলু, মিঠুসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে অভিযোগ করে রাব্বি বলেন, ‘জামতলায় মিঠুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে, আশিককে তাদের টর্চার সেলে হত্যা করেছে। ত্বকীকে এই টর্চার সেলে নিয়ে গজারির লাঠি দিয়ে ১১ জন মিলে পিটিয়ে অজ্ঞান করেছে। তারপর তার বুকের উপর উঠে গল টিপে হত্যা করেছে। শরীরের কয়েকটি অঙ্গ তারা থেতলে, চোখ উপড়ে নিয়েছে। এই নৃশংসতার মধ্য দিয়ে তারা কতটা ভয়াবহ তা জানান দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চাই। আমাদের ধ্বংস করা বিচার-ব্যবস্থা ফিরে আসবে। গণতন্ত্র মুক্তি পাক, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হোক; এইটা আমাদের আকাঙ্খা।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন শিশু সংগঠন খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক, সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান মাসুম, সদস্যসচিব কবি ও সাংবাদিক হালিম আজাদ, সিপিবি’র জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, বাসদের সমন্বয়কারী নিখিল দাস, ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন প্রমুখ।