রাজধানীর বনানীতে ফুটপাত থেকে ভাসমান ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ অভিযানের সময় লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন এক পুলিশ পরিদর্শক। সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে, যেখানে অভিযানের দায়িত্বে থাকা বনানী এলাকার প্যাট্রোল ইন্সপেক্টর (পিআই) একরামুল হককে স্থানীয় ভাসমান ব্যবসায়ী ও কিছু শিক্ষার্থী অপদস্থ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উচ্ছেদ অভিযানের সময় একজন হকার অভিযোগ তোলেন যে তার ছোট ছেলেকে পুলিশ মারধর করেছে। এর পরপরই লোকজন জড়ো হয়ে একরামুল হককে ধাক্কাধাক্কি ও টানাহেঁচড়া করে। এসময় শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উত্তেজিত জনতা একরামুলকে ঘিরে ধরে আক্রমণাত্মক আচরণ করছে। তবে, একরামুল বারবারই দাবি করেন যে তারা কোনো শিশুকে মারধর করেননি।
পিআই একরামুল জানান, উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে যখন তারা গাড়িতে উঠছিলেন, তখন হঠাৎ একজন হকার অভিযোগ করেন যে পুলিশ তার ছেলেকে মেরেছে। এর ফলে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর চড়াও হয়। "আমি বারবার বলেছি যে আমি কাউকে মারধর করিনি, কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি," বলেন তিনি। প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী পরে তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে বলে তিনি জানান।
ঘটনার প্রেক্ষাপট :
পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে পণ্য বিক্রির কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। ভাসমান দোকানদারদের এই অবস্থান অভিজাত এলাকার যানবাহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল। এই কারণেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় স্থানীয় হকারদের পাশাপাশি রিকশাচালকদেরও বিরোধিতা করতে দেখা যায়।
একজন শিক্ষার্থী দাবি করেন যে অভিযানের সময় পুলিশের এক কর্মকর্তা একটি শিশুকে মারধর করেছেন। এই অভিযোগের পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং স্থানীয় দোকানদার, রিকশাচালক ও শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একরামুলকে জনতা ধাক্কাধাক্কি করছে, টানাহেঁচড়া করছে, এবং উত্তেজিত হয়ে তাকে ঘিরে বিভিন্ন অভিযোগ করছে।
পুলিশের প্রতিক্রিয়া :
পিআই একরামুল হক বলেন, তিনি অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এবং তার নেতৃত্বের কারণে তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ভাসমান ব্যবসায়ী ও অন্যান্য ব্যক্তি মিলে তাকে মবের মধ্যে ফেলে দেয়। তার মতে, সাম্প্রতিক উচ্ছেদ অভিযান এবং রিকশার বিরুদ্ধে পরিচালিত কার্যক্রমের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ জমা হয়েছিল, যা এই ঘটনার সূত্রপাত।
তিনি আরও বলেন, "আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এবং মোটরচালিত রিকশার বিরুদ্ধেও কাজ করছি। এ কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এবং আমাদের কাজ করতে বাধা দিচ্ছে।"
পরিস্থিতির অবনতি :
এডিসি খলিলুর রহমান জানান, জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়। এ ঘটনায় প্রশাসন উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪
রাজধানীর বনানীতে ফুটপাত থেকে ভাসমান ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ অভিযানের সময় লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন এক পুলিশ পরিদর্শক। সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে, যেখানে অভিযানের দায়িত্বে থাকা বনানী এলাকার প্যাট্রোল ইন্সপেক্টর (পিআই) একরামুল হককে স্থানীয় ভাসমান ব্যবসায়ী ও কিছু শিক্ষার্থী অপদস্থ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উচ্ছেদ অভিযানের সময় একজন হকার অভিযোগ তোলেন যে তার ছোট ছেলেকে পুলিশ মারধর করেছে। এর পরপরই লোকজন জড়ো হয়ে একরামুল হককে ধাক্কাধাক্কি ও টানাহেঁচড়া করে। এসময় শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উত্তেজিত জনতা একরামুলকে ঘিরে ধরে আক্রমণাত্মক আচরণ করছে। তবে, একরামুল বারবারই দাবি করেন যে তারা কোনো শিশুকে মারধর করেননি।
পিআই একরামুল জানান, উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে যখন তারা গাড়িতে উঠছিলেন, তখন হঠাৎ একজন হকার অভিযোগ করেন যে পুলিশ তার ছেলেকে মেরেছে। এর ফলে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর চড়াও হয়। "আমি বারবার বলেছি যে আমি কাউকে মারধর করিনি, কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি," বলেন তিনি। প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী পরে তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে বলে তিনি জানান।
ঘটনার প্রেক্ষাপট :
পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে পণ্য বিক্রির কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। ভাসমান দোকানদারদের এই অবস্থান অভিজাত এলাকার যানবাহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল। এই কারণেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় স্থানীয় হকারদের পাশাপাশি রিকশাচালকদেরও বিরোধিতা করতে দেখা যায়।
একজন শিক্ষার্থী দাবি করেন যে অভিযানের সময় পুলিশের এক কর্মকর্তা একটি শিশুকে মারধর করেছেন। এই অভিযোগের পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং স্থানীয় দোকানদার, রিকশাচালক ও শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একরামুলকে জনতা ধাক্কাধাক্কি করছে, টানাহেঁচড়া করছে, এবং উত্তেজিত হয়ে তাকে ঘিরে বিভিন্ন অভিযোগ করছে।
পুলিশের প্রতিক্রিয়া :
পিআই একরামুল হক বলেন, তিনি অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এবং তার নেতৃত্বের কারণে তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ভাসমান ব্যবসায়ী ও অন্যান্য ব্যক্তি মিলে তাকে মবের মধ্যে ফেলে দেয়। তার মতে, সাম্প্রতিক উচ্ছেদ অভিযান এবং রিকশার বিরুদ্ধে পরিচালিত কার্যক্রমের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ জমা হয়েছিল, যা এই ঘটনার সূত্রপাত।
তিনি আরও বলেন, "আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এবং মোটরচালিত রিকশার বিরুদ্ধেও কাজ করছি। এ কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এবং আমাদের কাজ করতে বাধা দিচ্ছে।"
পরিস্থিতির অবনতি :
এডিসি খলিলুর রহমান জানান, জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়। এ ঘটনায় প্রশাসন উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।