বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং জাতীয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সতর্ক করেছেন যে, বাংলাদেশে গত এক দশকে গড়ে ওঠা অলিগার্ক গোষ্ঠীকে ভেঙে না দিলে অর্থনৈতিক সংস্কার সম্ভব নয়। ঢাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত ‘বাংলাদেশে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার’ শীর্ষক সংলাপে তিনি বলেন, “রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে এবং এটির মাধ্যমে সংস্কার কর্মসূচি এগিয়ে নিতে হবে।”
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “রাষ্ট্রের মেরামত না হলে যে কোনো ধরনের সংস্কার টিকে থাকবে না, বরং পুরোনো ব্যবস্থা ফিরে আসবে।”
সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যাঁর নজরদারি করার কথা ছিল, তিনি দায়িত্ব পালনের সময় নীতিগত গাফিলতি করে চলে গেছেন।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ক্ষমতার অপব্যবহারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গত দেড় দশকে আর্থিক খাত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং আমলাদের দ্বারা লুটপাটের শিকার হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন যে, এই গোষ্ঠী সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং একটি অলিগার্ক শ্রেণি প্রতিষ্ঠিত করেছে, যারা নিজেদের স্বার্থে রাষ্ট্রের নীতিমালা প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেন, “এই অলিগার্করা শুধু একটি নির্দিষ্ট খাতে সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং ব্যাংকিং, জ্বালানি, পুঁজিবাজার এমনকি অবৈধভাবে অর্থ পাচারেও যুক্ত ছিল।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, অলিগার্করা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ব্যবহার করে অর্থনীতি এবং পুঁজিবাজার থেকে সুবিধা নিয়েছে। তিনি বলেন, “মাসোহারা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতর লোক নিয়োগ করা হয়েছিল, যা এখন প্রকাশ্যে আসছে।”
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ব্যাংকিং খাতে করপোরেট সুশাসনের অভাবের বিষয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রমালিকানার ব্যাংকগুলোতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে অনেকে সরাসরি ব্যবসায়িক স্বার্থে পরিচালনা পর্ষদে কাজ করেছেন। এছাড়া নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে উপযুক্ত যোগ্যতার অভাব ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সংলাপে তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির পাশাপাশি বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি অর্থ উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেন যে, মুদ্রার বিনিময় হার, সুদের হার এবং পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ সংস্কারের ক্ষেত্রে জনগণ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে পারবে না।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “যদি আমরা এখন অর্থনৈতিক সংস্কার না করতে পারি এবং ১৫ বছরের কাজ ১৫ মাসে শেষ না করতে পারি, তাহলে গণতান্ত্রিক রূপান্তর বাধাগ্রস্ত হবে। সঠিক অগ্রাধিকার ঠিক করতে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং জাতীয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সতর্ক করেছেন যে, বাংলাদেশে গত এক দশকে গড়ে ওঠা অলিগার্ক গোষ্ঠীকে ভেঙে না দিলে অর্থনৈতিক সংস্কার সম্ভব নয়। ঢাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত ‘বাংলাদেশে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার’ শীর্ষক সংলাপে তিনি বলেন, “রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে এবং এটির মাধ্যমে সংস্কার কর্মসূচি এগিয়ে নিতে হবে।”
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “রাষ্ট্রের মেরামত না হলে যে কোনো ধরনের সংস্কার টিকে থাকবে না, বরং পুরোনো ব্যবস্থা ফিরে আসবে।”
সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যাঁর নজরদারি করার কথা ছিল, তিনি দায়িত্ব পালনের সময় নীতিগত গাফিলতি করে চলে গেছেন।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ক্ষমতার অপব্যবহারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গত দেড় দশকে আর্থিক খাত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং আমলাদের দ্বারা লুটপাটের শিকার হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন যে, এই গোষ্ঠী সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং একটি অলিগার্ক শ্রেণি প্রতিষ্ঠিত করেছে, যারা নিজেদের স্বার্থে রাষ্ট্রের নীতিমালা প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেন, “এই অলিগার্করা শুধু একটি নির্দিষ্ট খাতে সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং ব্যাংকিং, জ্বালানি, পুঁজিবাজার এমনকি অবৈধভাবে অর্থ পাচারেও যুক্ত ছিল।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, অলিগার্করা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ব্যবহার করে অর্থনীতি এবং পুঁজিবাজার থেকে সুবিধা নিয়েছে। তিনি বলেন, “মাসোহারা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতর লোক নিয়োগ করা হয়েছিল, যা এখন প্রকাশ্যে আসছে।”
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ব্যাংকিং খাতে করপোরেট সুশাসনের অভাবের বিষয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রমালিকানার ব্যাংকগুলোতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে অনেকে সরাসরি ব্যবসায়িক স্বার্থে পরিচালনা পর্ষদে কাজ করেছেন। এছাড়া নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে উপযুক্ত যোগ্যতার অভাব ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সংলাপে তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির পাশাপাশি বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি অর্থ উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেন যে, মুদ্রার বিনিময় হার, সুদের হার এবং পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ সংস্কারের ক্ষেত্রে জনগণ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে পারবে না।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “যদি আমরা এখন অর্থনৈতিক সংস্কার না করতে পারি এবং ১৫ বছরের কাজ ১৫ মাসে শেষ না করতে পারি, তাহলে গণতান্ত্রিক রূপান্তর বাধাগ্রস্ত হবে। সঠিক অগ্রাধিকার ঠিক করতে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”