মিরপুর বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী নূরুল আমিন তপুকে অপহরণের করে হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মাসুদ করিম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন: মো. আরিফুল ইসলাম, মো. ইমরান হোসেন ও মো. ইয়ামিন মোল্যা।
কারাগারে আটক আসামি আরিফুল ও ইমরানকে আদালতে আজ হাজির করা হয়। তবে পলাতক থাকায় অপর আসামি ইয়ামিন উপস্থিত ছিল না। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইয়ামিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছেন, নির্মমভাবে একজন শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হলো। তবে রায় কার্যকর করার আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। পলাতক আসামির রায় কার্যকর হবে তিনি গ্রেপ্তার অথবা আদালতে আত্মসমর্পণের পর।
কলেজ শিক্ষার্থী নুরুল আমিন তপু রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার চাচা শফি উদ্দিন আহমেদ দারুসসালাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে অপহরণকারীরা ভিকটিমের মুক্তির জন্য তার চাচার কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এরপর চাচা দারুসসালাম থানায় অপহরণ মামলা করেন।
মামলার পর ছায়া তদন্ত শুরু করে মিরপুর বিভাগের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) জোনাল টিম। ঘটনার দুদিন পর এই তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ইমরানের মিরপুর বেড়িবাঁধের জহুরাবাদস্থ এলাকায় ভাড়া বাসায় তপুকে ডেকে এনে অপহরণ করেন। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে ইমরানের বাসাতেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর ভিকটিমের মরদেহ বস্তাবন্দী করে জহুরাবাদের বেড়িবাঁধে ফেলে দেন।
পরে ৪ জানুয়ারি নুরুল আমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা আদালতকে জানান, নুরুল আমিন তপু তাদের বন্ধু ছিলেন মুক্তিপণের জন্যই তাকে অপহরণ করা হয়। কিন্তু মুক্তিপণ না দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
মিরপুর বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী নূরুল আমিন তপুকে অপহরণের করে হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মাসুদ করিম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন: মো. আরিফুল ইসলাম, মো. ইমরান হোসেন ও মো. ইয়ামিন মোল্যা।
কারাগারে আটক আসামি আরিফুল ও ইমরানকে আদালতে আজ হাজির করা হয়। তবে পলাতক থাকায় অপর আসামি ইয়ামিন উপস্থিত ছিল না। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইয়ামিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছেন, নির্মমভাবে একজন শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হলো। তবে রায় কার্যকর করার আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। পলাতক আসামির রায় কার্যকর হবে তিনি গ্রেপ্তার অথবা আদালতে আত্মসমর্পণের পর।
কলেজ শিক্ষার্থী নুরুল আমিন তপু রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার চাচা শফি উদ্দিন আহমেদ দারুসসালাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে অপহরণকারীরা ভিকটিমের মুক্তির জন্য তার চাচার কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এরপর চাচা দারুসসালাম থানায় অপহরণ মামলা করেন।
মামলার পর ছায়া তদন্ত শুরু করে মিরপুর বিভাগের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) জোনাল টিম। ঘটনার দুদিন পর এই তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ইমরানের মিরপুর বেড়িবাঁধের জহুরাবাদস্থ এলাকায় ভাড়া বাসায় তপুকে ডেকে এনে অপহরণ করেন। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে ইমরানের বাসাতেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর ভিকটিমের মরদেহ বস্তাবন্দী করে জহুরাবাদের বেড়িবাঁধে ফেলে দেন।
পরে ৪ জানুয়ারি নুরুল আমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা আদালতকে জানান, নুরুল আমিন তপু তাদের বন্ধু ছিলেন মুক্তিপণের জন্যই তাকে অপহরণ করা হয়। কিন্তু মুক্তিপণ না দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।