কুমিল্লায় গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের সমর্থন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক সপ্তাহের মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার বিকালে কুমিল্লা শহরের টাউন হল মাঠে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, “আমরা গত কিছু সময় ধরে সরকারের আশ্বাসের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, "সরকারের কাছে আমাদের একটি স্পষ্ট বার্তা রয়েছে, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলনের ঘোষণাপত্র দিতে হবে, নয়তো আমরা আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।"
হাসনাত আব্দুল্লাহ গত জুলাই মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সাধারণ মানুষের কষ্ট এবং দাবি তুলে ধরে বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, রাষ্ট্রের বৈষম্য দূরীকরণ, এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকার যে দায়বদ্ধতা দেখানো উচিত ছিল, তা এখনো দেখা যায়নি।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমরা এখনও শহীদদের আর্তনাদ শুনতে পাই। তারা বিচার এবং তাদের প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ ছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখিয়ে সরকার তাদের এসব দাবি অগ্রাহ্য করছে।” তার মতে, আগামী দিনে বাংলাদেশের প্রশাসনিক সিস্টেমের মধ্যে আর কোনো অযৌক্তিক বাধা থাকতে পারবে না, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী বিচার ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষ নিয়ে সাধারণ মানুষের দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে।
কুমিল্লা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের দাবিতে এক প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। লিফলেট বিতরণ ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এ কর্মসূচি নেওয়া হয়। এই প্রচারণার অংশ হিসেবে কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিলি করা হয়, যাতে সাধারণ মানুষ আন্দোলনের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যের বিষয়ে অবহিত হতে পারে।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা সরকারের কাছে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের দাবি তুলে ধরার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে তাদের অবস্থান জানান দিতে চান। এছাড়া, তারা সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং জাতির এক বৃহত্তর দাবির অংশ, যেটি দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আন্দোলনের সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা আজকে যা কিছু বলছি, তা হচ্ছে একটি বৃহত্তর আন্দোলনের অঙ্গ। আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, বরং একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়পরায়ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা।” তিনি আরও বলেন, “এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা, শ্রমিক-কৃষক, সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক হয়ে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে চায়।”
এদিকে, কুমিল্লার এই প্রচারণায় অংশ নেয়া আন্দোলনকারীরা জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থান তাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন এবং তারা তা বাঁচিয়ে রাখার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। তাদের দাবি একটাই—সরকার যেন ঘোষণাপত্র প্রদান করে, যা গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদ ও আহতদের ন্যায্য সম্মান ও সুবিধা প্রদান করবে।
এটি কেবল একটি রাজনৈতিক দাবি নয়, বরং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলনের অংশ, যা দেশজুড়ে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
কুমিল্লায় গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের সমর্থন
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক সপ্তাহের মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার বিকালে কুমিল্লা শহরের টাউন হল মাঠে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, “আমরা গত কিছু সময় ধরে সরকারের আশ্বাসের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, "সরকারের কাছে আমাদের একটি স্পষ্ট বার্তা রয়েছে, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলনের ঘোষণাপত্র দিতে হবে, নয়তো আমরা আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।"
হাসনাত আব্দুল্লাহ গত জুলাই মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সাধারণ মানুষের কষ্ট এবং দাবি তুলে ধরে বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, রাষ্ট্রের বৈষম্য দূরীকরণ, এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকার যে দায়বদ্ধতা দেখানো উচিত ছিল, তা এখনো দেখা যায়নি।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমরা এখনও শহীদদের আর্তনাদ শুনতে পাই। তারা বিচার এবং তাদের প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ ছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখিয়ে সরকার তাদের এসব দাবি অগ্রাহ্য করছে।” তার মতে, আগামী দিনে বাংলাদেশের প্রশাসনিক সিস্টেমের মধ্যে আর কোনো অযৌক্তিক বাধা থাকতে পারবে না, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী বিচার ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষ নিয়ে সাধারণ মানুষের দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে।
কুমিল্লা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের দাবিতে এক প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। লিফলেট বিতরণ ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এ কর্মসূচি নেওয়া হয়। এই প্রচারণার অংশ হিসেবে কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিলি করা হয়, যাতে সাধারণ মানুষ আন্দোলনের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যের বিষয়ে অবহিত হতে পারে।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা সরকারের কাছে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের দাবি তুলে ধরার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে তাদের অবস্থান জানান দিতে চান। এছাড়া, তারা সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং জাতির এক বৃহত্তর দাবির অংশ, যেটি দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আন্দোলনের সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা আজকে যা কিছু বলছি, তা হচ্ছে একটি বৃহত্তর আন্দোলনের অঙ্গ। আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, বরং একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়পরায়ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা।” তিনি আরও বলেন, “এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা, শ্রমিক-কৃষক, সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক হয়ে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে চায়।”
এদিকে, কুমিল্লার এই প্রচারণায় অংশ নেয়া আন্দোলনকারীরা জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থান তাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন এবং তারা তা বাঁচিয়ে রাখার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। তাদের দাবি একটাই—সরকার যেন ঘোষণাপত্র প্রদান করে, যা গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদ ও আহতদের ন্যায্য সম্মান ও সুবিধা প্রদান করবে।
এটি কেবল একটি রাজনৈতিক দাবি নয়, বরং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলনের অংশ, যা দেশজুড়ে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।