রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার ও তাঁর স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পর বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, কমিশনের পরিচালক আবুল হাসনাত আদালতে এ সংক্রান্ত আবেদন করেন। চলতি বছরের মার্চে সিদ্দিকুর রহমানের নিয়োগ বাতিলের পর ১০ এপ্রিল আবুল হাসনাতকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক বিষাণ ঘোষ এবং উপসহকারী পরিচালক আফিয়া খাতুন।
আবেদনে বলা হয়েছে, সিদ্দিকুর রহমান সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নিজ নামে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে। দুদক মনে করছে, তিনি ও তাঁর স্ত্রী বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।
গত বছরের এপ্রিল মাসে সিদ্দিকুর রহমানকে দুই বছরের জন্য রাজউক চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁর নিয়োগ বাতিল করে। পরে ২২ সেপ্টেম্বর সেই আদেশ প্রত্যাহার করে তাঁকে পুনর্বহাল করা হলেও চলতি বছরের মার্চে আবার তাঁর নিয়োগ বাতিল করা হয়।
অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে তথ্য চেয়েছে দুদক। ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজউকের বোর্ড সভার তথ্য চেয়ে বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দেশের ৬৪টি তফসিলি ব্যাংকে সিদ্দিকুর রহমানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার ও তাঁর স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পর বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, কমিশনের পরিচালক আবুল হাসনাত আদালতে এ সংক্রান্ত আবেদন করেন। চলতি বছরের মার্চে সিদ্দিকুর রহমানের নিয়োগ বাতিলের পর ১০ এপ্রিল আবুল হাসনাতকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক বিষাণ ঘোষ এবং উপসহকারী পরিচালক আফিয়া খাতুন।
আবেদনে বলা হয়েছে, সিদ্দিকুর রহমান সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নিজ নামে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে। দুদক মনে করছে, তিনি ও তাঁর স্ত্রী বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।
গত বছরের এপ্রিল মাসে সিদ্দিকুর রহমানকে দুই বছরের জন্য রাজউক চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁর নিয়োগ বাতিল করে। পরে ২২ সেপ্টেম্বর সেই আদেশ প্রত্যাহার করে তাঁকে পুনর্বহাল করা হলেও চলতি বছরের মার্চে আবার তাঁর নিয়োগ বাতিল করা হয়।
অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে তথ্য চেয়েছে দুদক। ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজউকের বোর্ড সভার তথ্য চেয়ে বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দেশের ৬৪টি তফসিলি ব্যাংকে সিদ্দিকুর রহমানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।