চাকরি স্থায়ী করা ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঢাকার শাহবাগে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের কর্মীরা।

সেখান থেকে তাদের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার কথা থাকলেও পরে পুলিশের বাধায় তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের দিকে চলে যান।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শতাধিক কর্মী বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তারা চাকরিতে পুনর্বহাল এবং বকেয়া বেতনের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। চাকরিতে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত বাড়ি ফিরবেন না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয় কর্মসূচি থেকে।

আরিফ হোসেন নামে একজন কর্মী বলেন, “কোভিড মহামারীর সময় জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পরে আমাদের প্রকল্পে স্থানান্তর করে। গত বছরের ডিসেম্বরে আমাদের প্রকল্প শেষ হলেও তা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু এরপর তা আর করা হয়নি।”

ঝর্না দাস নামে একজন নারী বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবি, আমাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করুন। কোভিডের সময় আমরা জীবন বাজি রেখে চিকিৎসা দিয়েছি। কিন্তু এখন আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।”

আন্দোলনকারী কর্মীরা যমুনার দিকে যেতে চাইলেও পুলিশ তা করতে দেয়নি। এক পর্যায়ে বেলা ১টার দিকে তারা পুলিশ প্রহরায় মিছিল করতে করতে জাতীয় প্রেসক্লাবের দিকে চলে যান।

কোভিড মহামারী শুরুর পর ২০২০ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের নিয়োগ দেয়। এরপর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রকল্পের আওতায় তাদের বেতনভাতা পরিশোধ করা হয়।

প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর। গত ৭ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী এই জুন মাসের পর আর চাকরি থাকছে না ইআরপিপি প্রকল্পের কর্মীদের।