গাজীপুরের শ্রীপুরে দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে যান কৃষক জালাল উদ্দীন। পুরো ট্রেন তার ওপর দিয়ে গেলেও কাটা পড়েননি তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত পৌনে ১২টার দিকে মারা যান তিনি।
সোমবার,(০৩ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের পরিদর্শক আব্দুল কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত জালাল উদ্দীন (৪৫) ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআগলী ইউনিয়নের নিধিরচর গ্রামের মো. তৈয়ব উদ্দিনের ছেলে।
যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত
গতকাল রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জগামী আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন শ্রীপুর স্টেশনের ২ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। সবজি বিক্রেতা জালাল উদ্দীন ওই ট্রেনে উঠার জন্য দৌড়ে যাচ্ছে। এসময় ১ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ কমিউটার ট্রেন ছেড়ে দিলে জালাল উদ্দীন পা পিছলে চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে যায়।
রেললাইনের পাশের হোটেল ব্যবসায়ী রাসেল জানান, সবজি বিক্রেতা জালাল উদ্দীন ট্রেনের নিচে পড়ে যায়, চলন্ত ট্রেন প্রায় দুই’শ হাত তাকে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যায়। পুরো ট্রেন তার ওপর দিয়ে চলে গেলেও কাটা পড়েনি, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। ট্রেন চলে যাওয়ার পর অলৌকিকভাবে সে বেঁচে গেলেও আমিসহ অন্যান্য লোকজন তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো পরামর্শ দেয়। খবর পেয়ে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া বাজারে তার শশুরবাড়ীর স্বজনরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাধীন রাখে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চরআগলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল ইসলাম দুলু বলেন, জালাল উদ্দীন রাতেই মারা গেছেন এবং পরদিন বেলা ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) বিজন মালাকার বলেন, ট্রেনের নিচে পড়ে আহত জালাল উদ্দীনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর রেলস্টেশন মাস্টার মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি কিন্তু মৃত্যুর বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। তাছাড়া বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশ দেখবেন।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
গাজীপুরের শ্রীপুরে দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে যান কৃষক জালাল উদ্দীন। পুরো ট্রেন তার ওপর দিয়ে গেলেও কাটা পড়েননি তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত পৌনে ১২টার দিকে মারা যান তিনি।
সোমবার,(০৩ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের পরিদর্শক আব্দুল কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত জালাল উদ্দীন (৪৫) ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআগলী ইউনিয়নের নিধিরচর গ্রামের মো. তৈয়ব উদ্দিনের ছেলে।
যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত
গতকাল রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জগামী আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন শ্রীপুর স্টেশনের ২ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। সবজি বিক্রেতা জালাল উদ্দীন ওই ট্রেনে উঠার জন্য দৌড়ে যাচ্ছে। এসময় ১ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ কমিউটার ট্রেন ছেড়ে দিলে জালাল উদ্দীন পা পিছলে চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে যায়।
রেললাইনের পাশের হোটেল ব্যবসায়ী রাসেল জানান, সবজি বিক্রেতা জালাল উদ্দীন ট্রেনের নিচে পড়ে যায়, চলন্ত ট্রেন প্রায় দুই’শ হাত তাকে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যায়। পুরো ট্রেন তার ওপর দিয়ে চলে গেলেও কাটা পড়েনি, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। ট্রেন চলে যাওয়ার পর অলৌকিকভাবে সে বেঁচে গেলেও আমিসহ অন্যান্য লোকজন তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো পরামর্শ দেয়। খবর পেয়ে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া বাজারে তার শশুরবাড়ীর স্বজনরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাধীন রাখে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চরআগলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল ইসলাম দুলু বলেন, জালাল উদ্দীন রাতেই মারা গেছেন এবং পরদিন বেলা ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) বিজন মালাকার বলেন, ট্রেনের নিচে পড়ে আহত জালাল উদ্দীনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর রেলস্টেশন মাস্টার মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি কিন্তু মৃত্যুর বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। তাছাড়া বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশ দেখবেন।’