মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বাবার সঙ্গছাড়া ছিল তিন-বোন; মায়ের মৃত্যুর পর খালাদের কাছে থেকে সন্তুষ্ট ছিল না তারা, তাই চলে গিয়েছিল বাবার কাছে।
ঢাকা থেকে নিরুদ্দেশ তিন কিশোরী-তরুণীকে যশোর থেকে উদ্ধারের পর পুলিশ জানিয়েছে, খালাদের কাছে ‘প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায়’ তারা এই কাজ করেছিল।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালার বাসা থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বেরিয়ে যায় তিন বোন। তাদের একজন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়েন। অন্য দুজন এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
২০১৩ সালে তাদের মা মারা গেলে বাবা আরেকটি বিয়ে করে যশোরে থাকেন। তখন থেকে খালাদের কাছেই থাকছিল তিন বোন।
রাজধানীর আদাবরের শেখেরটেকে বড় খালার বাসা থেকে বেরিয়ে গেলে খোঁজ না পাওয়ায় আদাবর থানায় জিডি করেন তাদের খালা।
পরে পুলিশ তাদের হদিস পায় যশোরে। সেখানে মেয়েটির বাবা থাকেন। মেয়ে তিনটির দাদির মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাদের খোঁজ মেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তিন বোনকে ঢাকায় আনার পর শনিবার ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, “খালাদের কাছ থেকে তারা যতটুকু প্রত্যাশা করেছিল, সেটা না পাওয়ায় এবং বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না দেওয়ার ক্ষোভ থেকেই তিন বোন একসঙ্গে কাউকে না বলে বেরিয়ে যায়।”
২০১২ ওই তিন বোনের বাবা-মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হলে তারা মায়ের সঙ্গে থাকা শুরু করে। মা ২০১৩ সালে ক্যান্সারে মারা যান। এরপর এক খালার কাছে দুই বোন, আরেক খালার কাছে এক বোন থাকত।
একজন খালার সঙ্গে খিলগাঁওতে থাকতেন। দুই বোনের এসএসসি পরীক্ষার জন্য তিনি শেখেরটেকে এলে তিন বোন একত্রে বাড়ি ছাড়ার পরিকল্পনা করেন।
তিন বোনের সঙ্গে তাদের দাদির যোগাযোগ ছিল জানিয়ে বিপ্লব জানান, দাদি তাদের দুই হাজার টাকা পাঠায়। সেই টাকায় তারা যশোর চলে যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব বলেন, “মেয়েদের এক খালা তাদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করলেও অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিন বোন কোনো টাকা নেয়নি। এমনকি কোনো মোবাইল ফোনও তাদের কাছে নেই।”
তিনি বলেন, ওই তিন বোন আর খালার বাসায় আর যেতে চাইছে না। বাবার কাছে থাকতে চাচ্ছে। এখন আদালতই তাদের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবে।
শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বাবার সঙ্গছাড়া ছিল তিন-বোন; মায়ের মৃত্যুর পর খালাদের কাছে থেকে সন্তুষ্ট ছিল না তারা, তাই চলে গিয়েছিল বাবার কাছে।
ঢাকা থেকে নিরুদ্দেশ তিন কিশোরী-তরুণীকে যশোর থেকে উদ্ধারের পর পুলিশ জানিয়েছে, খালাদের কাছে ‘প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায়’ তারা এই কাজ করেছিল।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালার বাসা থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বেরিয়ে যায় তিন বোন। তাদের একজন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়েন। অন্য দুজন এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
২০১৩ সালে তাদের মা মারা গেলে বাবা আরেকটি বিয়ে করে যশোরে থাকেন। তখন থেকে খালাদের কাছেই থাকছিল তিন বোন।
রাজধানীর আদাবরের শেখেরটেকে বড় খালার বাসা থেকে বেরিয়ে গেলে খোঁজ না পাওয়ায় আদাবর থানায় জিডি করেন তাদের খালা।
পরে পুলিশ তাদের হদিস পায় যশোরে। সেখানে মেয়েটির বাবা থাকেন। মেয়ে তিনটির দাদির মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাদের খোঁজ মেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তিন বোনকে ঢাকায় আনার পর শনিবার ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, “খালাদের কাছ থেকে তারা যতটুকু প্রত্যাশা করেছিল, সেটা না পাওয়ায় এবং বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না দেওয়ার ক্ষোভ থেকেই তিন বোন একসঙ্গে কাউকে না বলে বেরিয়ে যায়।”
২০১২ ওই তিন বোনের বাবা-মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হলে তারা মায়ের সঙ্গে থাকা শুরু করে। মা ২০১৩ সালে ক্যান্সারে মারা যান। এরপর এক খালার কাছে দুই বোন, আরেক খালার কাছে এক বোন থাকত।
একজন খালার সঙ্গে খিলগাঁওতে থাকতেন। দুই বোনের এসএসসি পরীক্ষার জন্য তিনি শেখেরটেকে এলে তিন বোন একত্রে বাড়ি ছাড়ার পরিকল্পনা করেন।
তিন বোনের সঙ্গে তাদের দাদির যোগাযোগ ছিল জানিয়ে বিপ্লব জানান, দাদি তাদের দুই হাজার টাকা পাঠায়। সেই টাকায় তারা যশোর চলে যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব বলেন, “মেয়েদের এক খালা তাদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করলেও অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিন বোন কোনো টাকা নেয়নি। এমনকি কোনো মোবাইল ফোনও তাদের কাছে নেই।”
তিনি বলেন, ওই তিন বোন আর খালার বাসায় আর যেতে চাইছে না। বাবার কাছে থাকতে চাচ্ছে। এখন আদালতই তাদের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবে।