চাঁদার টাকা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা এক পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে এলাকায় এ ব্যাপারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাজারীবাগের মধুবাজার এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী নাসিম রহমান, তার ভাই মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুর রহমানের পৈত্রিক বাড়ি থানা এলাকার শ্রীখ- বাড়ৈইখালী। বাড়িটিকে ঘিরে গরুর খামার, নার্সারি এবং কিছু ভাড়াটিয়া বসবাস করেন। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অন্যতম হাবিবুর রহমান ওরফে হাসু নাসিম রহমানের নিকট থেকে বাড়িতে বসবাস করতে হলে তাকে চাঁদা দিয়ে বসবাস করতে হবে বলে হুমকি দিয়ে আসতো। একপর্যায়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েও বসে। আর এ চাঁদার জন্য প্রতিনিয়িত হুমকি দিয়ে আসতো। এ ঘটনায় তিনি থানায় জিডিও করেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার হাসুসহ তার সহযোগীরা বাড়িটিতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় ভাড়াটিয়ারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে নাসিম রহমান, মাহাবুর রহমান তাদের ম্যানেজারসহ লোকজন নিয়ে আসলে তারা সটকে পড়ে। পরে ভাড়াটিয়াদের বুঝিয়ে আশ্বস্ত করা হয়।
অভিযোগে জানা যায়, ওই বাড়ি থেকে ফেরার পথেই হাসুসহ তার লোকজন আবারও তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা চাপাতি দিয়ে ম্যানেজরকে কুপিয়ে আহত করে। পাশাপাশি মাহাবুর রহমান ও নাসিম রহমান দুইজনকেও এলোপাথাড়ি মারধর করে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ও গুলি, ডেবিট কার্ড ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। হামলায় হাসু ছাড়াও তার সহযোগী পারভেজ, আরিফ, নজরুল, সাগর, লোকমান, সাকিব, রাকিব, মোকাজ্জেল, দুলাল, নাদিম রাজুসহ অন্তত ২০/২৫ জন অংশ নেয়।
নাসিম রহমান অভিযোগ করেন, হাসুকে চাঁদা না দিলে বাড়িটিতে থাকা যাবে না এটা কি মগের মুল্লুক। সে সন্ত্রাসীদের গডফাদার নাকি। আমার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা চায়। আমি টাকা না দেয়ায়, সে আমাদের ওপর হামলা করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, তার জোর কোথায় আমি দেখে ছাড়বো। আমার বাড়িতে আমি থাকবো বা আমি কাকে ভাড়া দেব না দেব সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাকে টাকা দিয়ে আমাদের চলতে হবে এটা হতে পারে না। আমার ভাই ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। আমরা কাউকে ভয় করি না। তারা আমার মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ওপরও হামলা করতে ছাড়েনি। আমি হাসুসহ তার সব সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করছি।
এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানার ওসি সায়দুল হক ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশ কাজ করছে।
শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২
চাঁদার টাকা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা এক পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে এলাকায় এ ব্যাপারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাজারীবাগের মধুবাজার এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী নাসিম রহমান, তার ভাই মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুর রহমানের পৈত্রিক বাড়ি থানা এলাকার শ্রীখ- বাড়ৈইখালী। বাড়িটিকে ঘিরে গরুর খামার, নার্সারি এবং কিছু ভাড়াটিয়া বসবাস করেন। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অন্যতম হাবিবুর রহমান ওরফে হাসু নাসিম রহমানের নিকট থেকে বাড়িতে বসবাস করতে হলে তাকে চাঁদা দিয়ে বসবাস করতে হবে বলে হুমকি দিয়ে আসতো। একপর্যায়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েও বসে। আর এ চাঁদার জন্য প্রতিনিয়িত হুমকি দিয়ে আসতো। এ ঘটনায় তিনি থানায় জিডিও করেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার হাসুসহ তার সহযোগীরা বাড়িটিতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় ভাড়াটিয়ারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে নাসিম রহমান, মাহাবুর রহমান তাদের ম্যানেজারসহ লোকজন নিয়ে আসলে তারা সটকে পড়ে। পরে ভাড়াটিয়াদের বুঝিয়ে আশ্বস্ত করা হয়।
অভিযোগে জানা যায়, ওই বাড়ি থেকে ফেরার পথেই হাসুসহ তার লোকজন আবারও তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা চাপাতি দিয়ে ম্যানেজরকে কুপিয়ে আহত করে। পাশাপাশি মাহাবুর রহমান ও নাসিম রহমান দুইজনকেও এলোপাথাড়ি মারধর করে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ও গুলি, ডেবিট কার্ড ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। হামলায় হাসু ছাড়াও তার সহযোগী পারভেজ, আরিফ, নজরুল, সাগর, লোকমান, সাকিব, রাকিব, মোকাজ্জেল, দুলাল, নাদিম রাজুসহ অন্তত ২০/২৫ জন অংশ নেয়।
নাসিম রহমান অভিযোগ করেন, হাসুকে চাঁদা না দিলে বাড়িটিতে থাকা যাবে না এটা কি মগের মুল্লুক। সে সন্ত্রাসীদের গডফাদার নাকি। আমার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা চায়। আমি টাকা না দেয়ায়, সে আমাদের ওপর হামলা করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, তার জোর কোথায় আমি দেখে ছাড়বো। আমার বাড়িতে আমি থাকবো বা আমি কাকে ভাড়া দেব না দেব সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাকে টাকা দিয়ে আমাদের চলতে হবে এটা হতে পারে না। আমার ভাই ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। আমরা কাউকে ভয় করি না। তারা আমার মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ওপরও হামলা করতে ছাড়েনি। আমি হাসুসহ তার সব সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করছি।
এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানার ওসি সায়দুল হক ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশ কাজ করছে।