বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনে ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসায় কালো মেঘের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করা হয়েছে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. আইয়ুব আল মামুনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। ট্রায়ালটি উপস্থাপন করেন ওই বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. সার্ব্বির হোসেন।
অনুষ্ঠানে ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, হেপাটোলজি বিভাগে হেপাটাইটিস বি রোগের নতুন আবিস্কৃত ওষুধ ন্যাসভ্যাকের অধিকতর গবেষণার কাজ চলছে। কোভিডের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইরাসটির ফুল জেনোম সিকুয়েন্সিং করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বাজেটও ৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে সম্প্রতি ২০ কোটি টাকায় উন্নিত করা হয়েছে।
শিক্ষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করার জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে ভাইস-চ্যান্সেলর পদক। বর্তমানে ২০ জনেরও বেশি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক পিএইচডি করছেন। গবেষণায় অগ্রনী ভূমিকা রাখার জন্য হেপাটোলজি বিভাগের ডা. স্বপ্নীলসহ অন্য শিক্ষকদের প্রশংসা করেন।
ডা. স্বপ্নীল তার মূল প্রবন্ধে জানান, দেশের ওষুধ শিল্পের ৭৪ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের বিপরীতে প্রতিবেশি ভারত প্রতি বছর আয়ুর্বেদখাত থেকে উপার্জন করছে ৮শ’ মিলিয়ন ডলারের বেশি। অথচ আমরা আমাদের এক সময়কার ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদ এবং হেকিমি চিকিৎসার শাস্ত্র হারিয়ে বসতে বসেছি। এখনও আমাদের দেশে এই শাস্ত্রগুলোর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জ্ঞান আর এদেশের স্থানীয় হার্বাল ওষুধগুলোকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ঠিকমত উপস্থাপন করা সম্ভব হলে দেশে এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারবে। বর্তমান পৃথিবীতে যখন পরিবেশ বান্ধব, অর্গানিক খাদ্য ও চিকিৎসার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। তখন এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভবনা অত্যান্ত উজ্জল বলে তিনি মনে করেন। এ কারণেই তার ডিভিশনের উদ্যোগে দেশীয় হার্বাল ওষুধগুলো নিয়ে গবেষণা শুরু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে কার্যকর গবেষণার জন্য জাপানের এহিমি বিশ্ববিদ্যালয় ওইতা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফল এ্যাডভান্সড রিসার্চ এন্ড সাইন্সেস, ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োকেমিস্ট্র বিভাগ, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গবেষণা কোলাবরেশন গড়ে তুলেছেন। অনুষ্ঠানে সিনিয়র শিক্ষক ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে
বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনে ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসায় কালো মেঘের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করা হয়েছে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. আইয়ুব আল মামুনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। ট্রায়ালটি উপস্থাপন করেন ওই বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. সার্ব্বির হোসেন।
অনুষ্ঠানে ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, হেপাটোলজি বিভাগে হেপাটাইটিস বি রোগের নতুন আবিস্কৃত ওষুধ ন্যাসভ্যাকের অধিকতর গবেষণার কাজ চলছে। কোভিডের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইরাসটির ফুল জেনোম সিকুয়েন্সিং করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বাজেটও ৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে সম্প্রতি ২০ কোটি টাকায় উন্নিত করা হয়েছে।
শিক্ষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করার জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে ভাইস-চ্যান্সেলর পদক। বর্তমানে ২০ জনেরও বেশি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক পিএইচডি করছেন। গবেষণায় অগ্রনী ভূমিকা রাখার জন্য হেপাটোলজি বিভাগের ডা. স্বপ্নীলসহ অন্য শিক্ষকদের প্রশংসা করেন।
ডা. স্বপ্নীল তার মূল প্রবন্ধে জানান, দেশের ওষুধ শিল্পের ৭৪ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের বিপরীতে প্রতিবেশি ভারত প্রতি বছর আয়ুর্বেদখাত থেকে উপার্জন করছে ৮শ’ মিলিয়ন ডলারের বেশি। অথচ আমরা আমাদের এক সময়কার ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদ এবং হেকিমি চিকিৎসার শাস্ত্র হারিয়ে বসতে বসেছি। এখনও আমাদের দেশে এই শাস্ত্রগুলোর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জ্ঞান আর এদেশের স্থানীয় হার্বাল ওষুধগুলোকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ঠিকমত উপস্থাপন করা সম্ভব হলে দেশে এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারবে। বর্তমান পৃথিবীতে যখন পরিবেশ বান্ধব, অর্গানিক খাদ্য ও চিকিৎসার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। তখন এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভবনা অত্যান্ত উজ্জল বলে তিনি মনে করেন। এ কারণেই তার ডিভিশনের উদ্যোগে দেশীয় হার্বাল ওষুধগুলো নিয়ে গবেষণা শুরু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে কার্যকর গবেষণার জন্য জাপানের এহিমি বিশ্ববিদ্যালয় ওইতা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফল এ্যাডভান্সড রিসার্চ এন্ড সাইন্সেস, ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োকেমিস্ট্র বিভাগ, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গবেষণা কোলাবরেশন গড়ে তুলেছেন। অনুষ্ঠানে সিনিয়র শিক্ষক ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।