পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে দক্ষ লোক না থাকায় বিধি বহির্ভূতভাবে কম্পিউটারে দাপ্তরিক সফটওয়্যারের গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে কয়েক বছর ধরে বিল পোষ্টিং এর কাজ প্রিয়াংকা রাণী নামের এক নারী আউটসোসিং কর্মচারী কাজ করে যাচ্ছেন। অডিটর থাকার পরও তাকে দিয়ে এমন কাজ করানো নিয়ে বেশ কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই কাজ করে গেলেও কেউ কোন কথা বলছে না। তবে অফিসের গোপনীয়তা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে আউটসোসিং কর্মচারী পদে কাজ পান প্রিয়াংকা। ঐ দপ্তরের নো ওয়ার্ক নো পে’র ৩২১১১৩৪ কোডে শ্রমিকের পদে নিয়মিত বেতনও পাচ্ছেন তিনি। শ্রমিকের ঐ পদে অফিস ঝাড়ু দেয়া, পরিুছন্ন রাখা, খাবার পানি আনাসহ আনুষঙ্গিক কাজ করার কথা থাকলেও নিয়োগের পর থেকেই উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার ও অডিটরের সহযোগিতায় কম্পিউটারে সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারের গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন বিল পাশ ও কম্পিউটার পোস্টিং করে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ অফিসের সাবেক একজন অডিটর বলেন, অফিস রুলস অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারে একজন কর্মকর্তার ব্যবহৃত সরকারি গোপনীয় পাসওয়ার্ড আরেক কর্মকর্তা জানতে পারবে না। এই ব্যাপারে সিজিএ মহোদয়ের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও সে কয়েক বছর যাবত অত্র অফিসে কম্পিউটার সফটওয়্যারে গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ঠিকাদারি বিল, আনুষঙ্গিক বিল, ঠিকাদারি জামানত বিল, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের বিল পাশসহ বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন। যা সম্পূর্ণ অফিসের আইন ও বিধি পরিপন্থী। এতে সরকারি অর্থ ঝুঁকিতে থাকা এবং গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এই বিষয়ে ওই নারী শ্রমিক পিংকার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যারেরা জানেন। স্যারেরা যো বলবে আমি তাই করবো।
দশমিনা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আহসান কবীর বলেন, রুলস অনুযায়ী সে এই কাজ করতে পারে না। এখানে দীর্ঘদিন ধরে সে কাজ করতেছে। এখানের কাজগুলো সে ভালোই জানে। তারপরও আমার ষ্টাফদের বিষয়ে আমি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলবো। তবে সে অনেক দক্ষ। নতুন অডিটর এবং নতুন টাইপিষ্টরাও তার কাছেই কাজ শিখছে। উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার এমন বক্তব্যতে তার সায় রয়েছে বলে প্রকাশ পায়।
বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে দক্ষ লোক না থাকায় বিধি বহির্ভূতভাবে কম্পিউটারে দাপ্তরিক সফটওয়্যারের গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে কয়েক বছর ধরে বিল পোষ্টিং এর কাজ প্রিয়াংকা রাণী নামের এক নারী আউটসোসিং কর্মচারী কাজ করে যাচ্ছেন। অডিটর থাকার পরও তাকে দিয়ে এমন কাজ করানো নিয়ে বেশ কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই কাজ করে গেলেও কেউ কোন কথা বলছে না। তবে অফিসের গোপনীয়তা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে আউটসোসিং কর্মচারী পদে কাজ পান প্রিয়াংকা। ঐ দপ্তরের নো ওয়ার্ক নো পে’র ৩২১১১৩৪ কোডে শ্রমিকের পদে নিয়মিত বেতনও পাচ্ছেন তিনি। শ্রমিকের ঐ পদে অফিস ঝাড়ু দেয়া, পরিুছন্ন রাখা, খাবার পানি আনাসহ আনুষঙ্গিক কাজ করার কথা থাকলেও নিয়োগের পর থেকেই উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার ও অডিটরের সহযোগিতায় কম্পিউটারে সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারের গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন বিল পাশ ও কম্পিউটার পোস্টিং করে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ অফিসের সাবেক একজন অডিটর বলেন, অফিস রুলস অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারে একজন কর্মকর্তার ব্যবহৃত সরকারি গোপনীয় পাসওয়ার্ড আরেক কর্মকর্তা জানতে পারবে না। এই ব্যাপারে সিজিএ মহোদয়ের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও সে কয়েক বছর যাবত অত্র অফিসে কম্পিউটার সফটওয়্যারে গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ঠিকাদারি বিল, আনুষঙ্গিক বিল, ঠিকাদারি জামানত বিল, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের বিল পাশসহ বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন। যা সম্পূর্ণ অফিসের আইন ও বিধি পরিপন্থী। এতে সরকারি অর্থ ঝুঁকিতে থাকা এবং গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এই বিষয়ে ওই নারী শ্রমিক পিংকার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যারেরা জানেন। স্যারেরা যো বলবে আমি তাই করবো।
দশমিনা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আহসান কবীর বলেন, রুলস অনুযায়ী সে এই কাজ করতে পারে না। এখানে দীর্ঘদিন ধরে সে কাজ করতেছে। এখানের কাজগুলো সে ভালোই জানে। তারপরও আমার ষ্টাফদের বিষয়ে আমি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলবো। তবে সে অনেক দক্ষ। নতুন অডিটর এবং নতুন টাইপিষ্টরাও তার কাছেই কাজ শিখছে। উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার এমন বক্তব্যতে তার সায় রয়েছে বলে প্রকাশ পায়।