প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সাতক্ষীরায় বিরাজ করছে পাথরের নীরবতা। আতঙ্কে গা-ঢাকা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী। ব্যবসায়ী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। জেলার অধিকাংশ বাজারের সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সন্ধ্যার পর জেলা জুড়ে বিরাজ করছে অজানা আতঙ্ক।
দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগ অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, একজন সংসদের বাড়ি, আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে সাতক্ষীরা। জেলার ৮টি থানার ৫টি-ই আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে ছাই হয়েছে থানার নথি ও অন্যান্য সরঞ্জাম। লুট করা হয়েছে থানায় রক্ষিত বিভিন্ন মালামাল। লুট হওয়ার থানার পাহারা দেয় বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা।
সাতক্ষীরা কারাফটক ভেঙে সব আসামিদের বের করে দেয়া হয়। এছাড়া ধমীয় সংখ্যালঘুদের মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত সোমবার দুপুর দুটোর দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীসভার পদত্যাগের পর আন্দোলনকারিরা শহরের খুলনা রোডের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও জেলা পুলিশ সুপারের বাসভবনের ফটক ভাঙচুরে করে। পরে তারা সদর থানার ফটক ও ট্রাফিক পুলিশ অফিসে হামলা চালায়। থানা ফটকের সামনে ও ট্রাফিক পুলিশ অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর পরই আন্দোলনকারিরা জেলা আওয়ামী লীগের বাড়িঘর ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে।
হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতদের মধ্যে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেনসহ অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী রয়েছেন বলে জানা গেছে। তালিকায় বিএনপির দুই নেতাকর্মীও আছেন।
নিহতরা হলেন আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, তার ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন, ভাতিজা সজিব হোসেন, ভাগ্নে আশিকুর রহমান, আতœীয় সাকের আলী ও গাড়িচালক শাহিন হোসেন।
এছাড়া ওই আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ছোড়া গুলিতে কল্যাণপুর গ্রামের আদম আলী (২৫), কোলা গ্রামের আনাজ বিল্লাহ (১৭) ও কুড়িকাউনিয়া গ্রামের আনাজ আলী (১৮) নিহত হয়েছেন। তারা শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারি গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী আসাফুর রহমান (৪০), মৃগাডাঙ্গা গ্রামের তৌহিদ ইসলাম (৩০), সাইফুল ইসলাম (২৫), বিএনপি কর্মী জাহিদ হোসেন (২৮) ও ফারুক হোসেন (৩৫) নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার বৈকারি গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী আসাফুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রাত নয়টার দিকে মৃগিডাঙ্গা গ্রামের আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে মৃগিডাঙ্গা গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী তৌহিদ ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, বিএনপির কর্মী জাহিদ হোসেন ফারুক হোসেন নিহত হয়।
এছাড়া তালা সদরের দক্ষিণ আটারই গ্রামের বিএনপি কর্মী কাদের মোড়লও (৬৫) নিহত হয়েছেন। জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
৫ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত চলে এ ধ্বংসযজ্ঞ। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউপির সাবেক চেয়াম্যান নাকনা গ্রামের জাকির হোসেনের বাড়িতে হামলা করা হলে তিনি ছাদ থেকে গুলি ছুঁড়লে আন্দোলনকারিরা কুড়িকাহনিয়া গ্রামের হারেজ আলী মোড়লের ছেলে হাফেস আনাস বিল্লাহ, কল্যানপুর গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে আদম আলী ও কোলা গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে আলম নিহত হন। গুলি শেষ হয়ে গেলে ক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে লুটপাট শেষে আগুন ধরিয়ে দেয়। একপর্যায়ে জাকির হোসেন ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনকে কুপিয়ে, জাকির হোসেনের এক ভাইপো, এক ভাগ্নে ছাড়াও তার দেহরক্ষীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মুখার্জীর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় পুড়ে জখম হয় তার প্রতিবন্ধী বোন রমা মুখার্জী। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় ওই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজা’র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। রতনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল আলমের বাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল আরিফুল ইসলাম বলেন, জেলার কোথাও কোনো অরাজকতা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করলে শাস্তি পেতে হবে। জেলার সবকটি উপজেলাতে সেনা চৌকি বসানো হবে। তিনি রাজনৈতিকদলসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতা কামনা করেন। তিনি আশ্বস্থ করেন দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসলে তারা দ্রুত ব্যারাকে ফিরে যেতে পারবেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, জেলার সবকটি উপজেলার থানাগুলোতে পুলিশ কাজ শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে। সভায় জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির দ্রুত উন্নয়ন করতে তার দলের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগীতার আশ্বাস দেন। সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতী বলেন, শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে তার পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। সদর থানার চার পাশে নিরাপত্তা বলায় গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ কার্যক্রম শুরু করলেই জেলাতে শান্তি ফিরিয়ে আসবে।
বৃহস্পতিবার, ০৮ আগস্ট ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সাতক্ষীরায় বিরাজ করছে পাথরের নীরবতা। আতঙ্কে গা-ঢাকা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী। ব্যবসায়ী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। জেলার অধিকাংশ বাজারের সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সন্ধ্যার পর জেলা জুড়ে বিরাজ করছে অজানা আতঙ্ক।
দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগ অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, একজন সংসদের বাড়ি, আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে সাতক্ষীরা। জেলার ৮টি থানার ৫টি-ই আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে ছাই হয়েছে থানার নথি ও অন্যান্য সরঞ্জাম। লুট করা হয়েছে থানায় রক্ষিত বিভিন্ন মালামাল। লুট হওয়ার থানার পাহারা দেয় বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা।
সাতক্ষীরা কারাফটক ভেঙে সব আসামিদের বের করে দেয়া হয়। এছাড়া ধমীয় সংখ্যালঘুদের মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত সোমবার দুপুর দুটোর দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীসভার পদত্যাগের পর আন্দোলনকারিরা শহরের খুলনা রোডের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও জেলা পুলিশ সুপারের বাসভবনের ফটক ভাঙচুরে করে। পরে তারা সদর থানার ফটক ও ট্রাফিক পুলিশ অফিসে হামলা চালায়। থানা ফটকের সামনে ও ট্রাফিক পুলিশ অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর পরই আন্দোলনকারিরা জেলা আওয়ামী লীগের বাড়িঘর ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে।
হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতদের মধ্যে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেনসহ অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী রয়েছেন বলে জানা গেছে। তালিকায় বিএনপির দুই নেতাকর্মীও আছেন।
নিহতরা হলেন আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, তার ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন, ভাতিজা সজিব হোসেন, ভাগ্নে আশিকুর রহমান, আতœীয় সাকের আলী ও গাড়িচালক শাহিন হোসেন।
এছাড়া ওই আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ছোড়া গুলিতে কল্যাণপুর গ্রামের আদম আলী (২৫), কোলা গ্রামের আনাজ বিল্লাহ (১৭) ও কুড়িকাউনিয়া গ্রামের আনাজ আলী (১৮) নিহত হয়েছেন। তারা শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারি গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী আসাফুর রহমান (৪০), মৃগাডাঙ্গা গ্রামের তৌহিদ ইসলাম (৩০), সাইফুল ইসলাম (২৫), বিএনপি কর্মী জাহিদ হোসেন (২৮) ও ফারুক হোসেন (৩৫) নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার বৈকারি গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী আসাফুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রাত নয়টার দিকে মৃগিডাঙ্গা গ্রামের আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে মৃগিডাঙ্গা গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী তৌহিদ ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, বিএনপির কর্মী জাহিদ হোসেন ফারুক হোসেন নিহত হয়।
এছাড়া তালা সদরের দক্ষিণ আটারই গ্রামের বিএনপি কর্মী কাদের মোড়লও (৬৫) নিহত হয়েছেন। জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
৫ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত চলে এ ধ্বংসযজ্ঞ। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউপির সাবেক চেয়াম্যান নাকনা গ্রামের জাকির হোসেনের বাড়িতে হামলা করা হলে তিনি ছাদ থেকে গুলি ছুঁড়লে আন্দোলনকারিরা কুড়িকাহনিয়া গ্রামের হারেজ আলী মোড়লের ছেলে হাফেস আনাস বিল্লাহ, কল্যানপুর গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে আদম আলী ও কোলা গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে আলম নিহত হন। গুলি শেষ হয়ে গেলে ক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে লুটপাট শেষে আগুন ধরিয়ে দেয়। একপর্যায়ে জাকির হোসেন ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনকে কুপিয়ে, জাকির হোসেনের এক ভাইপো, এক ভাগ্নে ছাড়াও তার দেহরক্ষীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মুখার্জীর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় পুড়ে জখম হয় তার প্রতিবন্ধী বোন রমা মুখার্জী। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় ওই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজা’র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। রতনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল আলমের বাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল আরিফুল ইসলাম বলেন, জেলার কোথাও কোনো অরাজকতা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করলে শাস্তি পেতে হবে। জেলার সবকটি উপজেলাতে সেনা চৌকি বসানো হবে। তিনি রাজনৈতিকদলসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতা কামনা করেন। তিনি আশ্বস্থ করেন দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসলে তারা দ্রুত ব্যারাকে ফিরে যেতে পারবেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, জেলার সবকটি উপজেলার থানাগুলোতে পুলিশ কাজ শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে। সভায় জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির দ্রুত উন্নয়ন করতে তার দলের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগীতার আশ্বাস দেন। সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতী বলেন, শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে তার পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। সদর থানার চার পাশে নিরাপত্তা বলায় গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ কার্যক্রম শুরু করলেই জেলাতে শান্তি ফিরিয়ে আসবে।