alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। শুনানি শেষে কারাগারে ফেরার সময় প্রধান অভিযুক্ত, নিহত শিশুর বোনের শ্বশুর, সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তদন্ত করুন। ওই সময় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। বিটার বউ (ছেলের স্ত্রী) এই কাজ করেছে। আমরা অপরাধী নই। কোনো দিন শুনেছেন বাবা-ছেলে একসঙ্গে ধর্ষণ করেছে? আমরা সবাই কাজে বাইরে ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়িতে ফিরেছি।’

পুলিশি হেফাজতে থাকা ওই আসামি বারবার সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তদন্ত করেন। আমরা বাড়িতে ছিলাম না।’ এ সময় তার এক ছেলে, যিনি মামলার আরেক আসামি, বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে ঘটনা ঘটেছে। আমরা তখন কাজে ছিলাম। ওর বোনকে ধরুন, সব জানতে পারবেন।’

আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক (শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়ার আগে যার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল), ১১ বছরের এক শিশু এবং আরও একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম ও আসামিপক্ষের আইনজীবী সোহেল আহম্মেদ অংশ নেন। আদালতে উপস্থিত ছিলেন চার আসামি—শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, বোনের স্বামী এবং ভাশুর।

২৩ এপ্রিল এই চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। শিশুটির বোনের শ্বশুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু) অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বোনের স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশে (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্ট) অভিযোগ আনা হয়েছে।

শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম জানান, ‘আজ তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল আবার সাক্ষ্য গ্রহণ হবে। আমরা আশা করছি, আগামীকাল ১০ জন সাক্ষী হাজির করা যাবে। আগামীকাল শুধুমাত্র এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।’

১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়।

এর আগে, ১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, যেখানে তিনি ৬ মার্চ সকালে বোনের স্বামীর কক্ষে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেন।

মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আসামির জবানবন্দি ও বাদীর এজাহারে কিছু অমিল রয়েছে। এজাহারে বলা হয়, ৫ মার্চ দিবাগত রাতে শিশুটির বোনের স্বামী ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার পর তার বাবা শিশুটিকে বাইরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ৬ মার্চ সকালে বোনের কক্ষে ঘটনাটি ঘটে এবং ওই সময় শিশুটির বোন বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।

শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে, ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

ছবি

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত পাঠাতে যুক্তরাজ্যকে কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান

অবশেষে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা

পীরগাছায় ইসলামিক রিলিফের গরুর মাংস বিতরণের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ

খাগড়াছড়ির গুইমারায় এক পাহাড়ি গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আটক-১

ছবি

রিমান্ড শেষে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন কারাগারে

ছবি

ই-মানি জালিয়াতিতে ‘নগদ’-এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অবমাননার মামলায় দুইজনের অনুপস্থিতি

পাঁচটি মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর

ছবি

ভাড়ার মোটরসাইকেলচালকের ধর্ষণের শিকার বিউটি পার্লারের কর্মী, কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল

কেরাণীগঞ্জে হত্যা করে মরদেহ ১০ টুকরো, দেবর-ভাবির মৃত্যুদণ্ড

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: যেসব অভিযোগ ছিলো জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে

ছবি

মিরপুর সড়কে গুলি করে তিন ব্যাগ টাকা-ডলার ছিনিয়ে নিল সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একাধিক মামলার আসামি ইউসুফ এখনোও পলাতক

ছবি

জমি দখল ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের ডাক, সময় চাইলেন আহমেদ আকবর সোবহান

মগবাজারে দিনেদুপুরে যুবককে উপর্যুপরি চাপাতির কোপ, ভিডিও ভাইরাল

ছবি

বাড্ডায় এলোপাতাড়ি গুলিতে বিএনপি নেতা নিহত

ছবি

বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নান ও পরিবারের ৩৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

যাত্রাবাড়ীতে বৃক্ষমেলায় ককটেল বিস্ফোরণ

সার্ভার হ্যাক, রাজউকে ভবনের নকশার ভূয়া‘অনুমোদন’

ছবি

দুদকের অনুসন্ধানে শেখ হাসিনার জমি ও গাড়ি গোপনের প্রমাণ, আইনগত পদক্ষেপ চায় কমিশন

ছবি

পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ধর্ষণের মামলা, বাদী ব্যাংক কর্মকর্তা

ছবি

রাজধানীতে বিএনপি কর্মীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম, ভিডিও ভাইরাল

ছবি

ধর্ষণ ও মারধরের মামলায় কণ্ঠশিল্পী নোবেল কারাগারে

ছবি

গায়ক নোবেল গ্রেপ্তার

সাভারে গুলিতে রং মিস্ত্রি হত্যা

ছবি

সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়াসহ ৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

বিজিবি’র সাবেক ডিজি সাফিনুল ও স্ত্রীর আরও ৮ ব্যাংক হিসাব জব্দ

ছবি

নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

ছবি

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে দুই মামলায় জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

ছবি

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া গ্রেপ্তার

ছবি

নাশকতা ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে বরখাস্ত সৈনিক নাঈমুল গ্রেপ্তার

ছবি

কেরানীগঞ্জে শিশু ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ছবি

আত্মসমর্পণের পর জামিন পাননি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান

মোহাম্মদপুরে ছিনতাইকারী সন্দেহে দুজনকে গণপিটুনি, নিহত ১

ছবি

দুদকের আবেদনে হারুন অর রশীদের আরো পরিবারসহ শ্বশুরের সম্পদ জব্দের আদেশ আদালতের

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। শুনানি শেষে কারাগারে ফেরার সময় প্রধান অভিযুক্ত, নিহত শিশুর বোনের শ্বশুর, সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তদন্ত করুন। ওই সময় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। বিটার বউ (ছেলের স্ত্রী) এই কাজ করেছে। আমরা অপরাধী নই। কোনো দিন শুনেছেন বাবা-ছেলে একসঙ্গে ধর্ষণ করেছে? আমরা সবাই কাজে বাইরে ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়িতে ফিরেছি।’

পুলিশি হেফাজতে থাকা ওই আসামি বারবার সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তদন্ত করেন। আমরা বাড়িতে ছিলাম না।’ এ সময় তার এক ছেলে, যিনি মামলার আরেক আসামি, বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে ঘটনা ঘটেছে। আমরা তখন কাজে ছিলাম। ওর বোনকে ধরুন, সব জানতে পারবেন।’

আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক (শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়ার আগে যার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল), ১১ বছরের এক শিশু এবং আরও একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম ও আসামিপক্ষের আইনজীবী সোহেল আহম্মেদ অংশ নেন। আদালতে উপস্থিত ছিলেন চার আসামি—শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, বোনের স্বামী এবং ভাশুর।

২৩ এপ্রিল এই চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। শিশুটির বোনের শ্বশুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু) অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বোনের স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশে (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্ট) অভিযোগ আনা হয়েছে।

শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম জানান, ‘আজ তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল আবার সাক্ষ্য গ্রহণ হবে। আমরা আশা করছি, আগামীকাল ১০ জন সাক্ষী হাজির করা যাবে। আগামীকাল শুধুমাত্র এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।’

১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়।

এর আগে, ১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, যেখানে তিনি ৬ মার্চ সকালে বোনের স্বামীর কক্ষে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেন।

মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আসামির জবানবন্দি ও বাদীর এজাহারে কিছু অমিল রয়েছে। এজাহারে বলা হয়, ৫ মার্চ দিবাগত রাতে শিশুটির বোনের স্বামী ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার পর তার বাবা শিশুটিকে বাইরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ৬ মার্চ সকালে বোনের কক্ষে ঘটনাটি ঘটে এবং ওই সময় শিশুটির বোন বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।

শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে, ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

back to top