ঢাকার কেরাণীগঞ্জে কবিরাজ মফিজুর রহমানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ১০ টুকরো করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক নারী ও তার দেবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নী এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মাকসুদা আক্তার লাকী ও তার দেবর সালাউদ্দিন। রায়ের পাশাপাশি উভয়কে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তারা ২০২৩ সাল থেকে জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি কেরাণীগঞ্জের বেউতা গণকবরের সামনে একটি ডোবা থেকে হাত, পা ও মাথাবিহীন একটি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন (২ জানুয়ারি) এসআই এস এম মেহেদী হাসান বাদী হয়ে কেরাণীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম বলেন, “ভিকটিম মফিজুর রহমান একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও সার-কীটনাশকের দোকানদার ছিলেন। পাশাপাশি কবিরাজি করতেন। আসামি লাকীর স্বামী বিদেশে থাকতেন। অধিক সন্তান লাভের আশায় মফিজুরের কাছে যাওয়া ও তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়।”
তিনি আরও জানান, “২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর মফিজুরকে কৌশলে বাসায় দাওয়াত করে নিয়ে যায় লাকী। সেখানে তাকে ঘুমের ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে অচেতন করা হয়। পরে তাকে হত্যা করে দেহ ১০ টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়।”
ঘটনার পর মফিজুর রহমানের নিখোঁজ হওয়ায় তার ভাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তদন্তে আসামিদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে। পুলিশ তাদের দেওয়া তথ্যমতে নিহতের দেহের বিভিন্ন টুকরো উদ্ধার করে।
২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ডিএমপির দক্ষিণ বিভাগের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক নাজমুল হাসান, লাকী ও সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। বিচার চলাকালে আদালত ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সাক্ষ্য-প্রমাণ ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত রায় ঘোষণা করেন। এতে মাকসুদা আক্তার লাকী ও সালাউদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড ও আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে কবিরাজ মফিজুর রহমানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ১০ টুকরো করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক নারী ও তার দেবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নী এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মাকসুদা আক্তার লাকী ও তার দেবর সালাউদ্দিন। রায়ের পাশাপাশি উভয়কে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তারা ২০২৩ সাল থেকে জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি কেরাণীগঞ্জের বেউতা গণকবরের সামনে একটি ডোবা থেকে হাত, পা ও মাথাবিহীন একটি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন (২ জানুয়ারি) এসআই এস এম মেহেদী হাসান বাদী হয়ে কেরাণীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম বলেন, “ভিকটিম মফিজুর রহমান একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও সার-কীটনাশকের দোকানদার ছিলেন। পাশাপাশি কবিরাজি করতেন। আসামি লাকীর স্বামী বিদেশে থাকতেন। অধিক সন্তান লাভের আশায় মফিজুরের কাছে যাওয়া ও তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়।”
তিনি আরও জানান, “২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর মফিজুরকে কৌশলে বাসায় দাওয়াত করে নিয়ে যায় লাকী। সেখানে তাকে ঘুমের ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে অচেতন করা হয়। পরে তাকে হত্যা করে দেহ ১০ টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়।”
ঘটনার পর মফিজুর রহমানের নিখোঁজ হওয়ায় তার ভাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তদন্তে আসামিদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে। পুলিশ তাদের দেওয়া তথ্যমতে নিহতের দেহের বিভিন্ন টুকরো উদ্ধার করে।
২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ডিএমপির দক্ষিণ বিভাগের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক নাজমুল হাসান, লাকী ও সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। বিচার চলাকালে আদালত ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সাক্ষ্য-প্রমাণ ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত রায় ঘোষণা করেন। এতে মাকসুদা আক্তার লাকী ও সালাউদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড ও আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।