alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

যুক্তরাজ্যে বসুন্ধরা মালিকপক্ষসহ কয়েকজনের সম্পদ জব্দে উদ্যোগ: দুদক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের দুই ছেলে—গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান (সানভীর) এবং সাফওয়ান সোবহানের যুক্তরাজ্যে সম্পদ পাচারের তথ্য সে দেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

সোমবার রাজধানীতে দুদকের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “আজ আমরা আরও কয়েকটি সম্পত্তির তথ্য যুক্তরাজ্যে পাঠিয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে আকবর সোবহান সাহেবের দুই ছেলে, সাফিয়াত ও সাফওয়ানের কিছু সম্পত্তির তথ্য।”

বসুন্ধরা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, ভূমি দখল, ঋণের টাকা আত্মসাৎ, অর্থ স্থানান্তর ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এ কারণে তাদের তলবও করা হয়েছে।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং এনআরবিসি কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমামের সম্পদের তথ্যও যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মোমেন।

তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, এসব প্রচেষ্টার সুফল অচিরেই পাব।”

দুদকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) সম্প্রতি সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদের সম্পদ জব্দের কথা জানায়।

এছাড়া মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান এফ রহমান ও তার চাচাতো ভাই আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের যুক্তরাজ্যের সম্পত্তিও জব্দ করেছে এনসিএ।

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে গত সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। সে অভিজ্ঞতার বর্ণনায় মোমেন বলেন, “আমরা আগে থেকেই ঠিক করেছিলাম যে এনসিএ ও আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করব। আমরা পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদের একটি তালিকা ও আদালতের আদেশ দিয়ে জমা দিয়েছি।”

তিনি জানান, এনসিএ ইতোমধ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর জব্দ করা ৩৪৩টি বাড়ির আনুমানিক মূল্য ৭৩.১৫ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,০২৫ কোটি টাকা)। এছাড়া তার প্রায় ২৫ লাখ ডলারের ব্যাংক আমানতও ফ্রিজ করা হয়েছে। অন্য দেশগুলোতেও তার সম্পত্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে ‘মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট’ পাঠানোর কথাও জানান দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্য প্রথমে সাড়া দিয়েছে।”

লন্ডন সফরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরির কথা জানান মোমেন। এনসিএ বাংলাদেশকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

তবে সম্পদ ফেরত আনতে হলে দেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের আদালতেরও সম্মতি প্রয়োজন, বলেন মোমেন। তিনি জানান, “আমরা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান করছি। সব কাজ দুদকের মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে। বিএফআইইউ-এর সঙ্গে সমন্বয় করেই আমরা এগোচ্ছি।”

কোনো আপস বা সমঝোতা না করার বিষয়ে তিনি বলেন, “দুদকের মামলা ফৌজদারি প্রকৃতির, তাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুযোগ নেই।”

অর্থ ফেরতের বিষয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সব অর্থ ফেরত আসবে এমন নিশ্চয়তা নেই। তবে প্রমাণ করতে পারলে কিছুটা হলেও ফেরত আনার সম্ভাবনা থাকে।”

আগের সরকারের সময়ও দুদক ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের বিরুদ্ধেও নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে তদন্ত হবে। আমরা রাজনৈতিক পক্ষপাত করি না।”

কিছু সম্পদ কেম্যান আইল্যান্ডেও চলে গেছে বলে জানান তিনি। এছাড়া ভারতের সঙ্গে ২০১১ সালের চুক্তি কাজে লাগিয়ে অপরাধী ফেরত আনা সম্ভব হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন মোমেন।

দলীয় নেতাদের বিদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি অনেক সময় মানি লন্ডারিংয়ে সহায়ক হয়।”

সমন্বয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, “দুদকের দৃষ্টিকোণ থেকে সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট নয়। তবে বিভিন্ন সংস্থার কাজ জড়িত হওয়ায় সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে।”

তিনি বলেন, “অনেকেই বিদেশ থেকে বাংলাদেশের সম্পত্তি বিক্রির জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিচ্ছেন—বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ যাচাইয়ে রাজনৈতিক ট্যাগিং থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।”

শেষে তিনি বলেন, “দুদককে শক্তিশালী করতে আমরা সবার সহযোগিতা চাই। তথ্যদাতারা আমাদের অংশীদার। কাগজপত্রসহ অভিযোগ পেলে আমরা বিবেচনা করব। সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা থেমে থাকব না।”

ছবি

অর্থপাচার মামলায় বিএসবি গ্লোবালের বাশার ১০ দিনের রিমান্ডে

জাফলংয়ে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে ইজারা বহির্ভূত ইসিএ এলাকা থেকে বালু লুটপাটের মহোৎসব

ছবি

পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে আবাসন প্রতিষ্ঠানে হামলা, তিনজন আটক

ছবি

মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্তদের একজন বলছে ‘আমি শুধু দাঁড়িয়ে ছিলাম, কাউকে মারিনি’, অন্যজন নিজেকে ‘ফাঁসানো’র দাবি

ছবি

১০ মাসে সাড়ে সাত হাজার গ্রেপ্তার, পাঁচ শতাধিক অস্ত্র উদ্ধার:র‌্যাব

ছবি

শ্রীনগরে স্বপন মেম্বার ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি মামলায় গ্রেফতার

সোনারগাঁয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, পুলিশের উদাসীনতায় ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা

শেখ হাসিনার বিচার শুরুর নির্দেশ, রাজসাক্ষী হতে চান সাবেক আইজিপি মামুন

ছবি

হাতিরঝিলের হত্যা মামলায় সুব্রত বাইনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

ছবি

‘বিদেশ থেকে প্রমাণ না মেলায় তদন্ত বিলম্বিত’ — দুদক

ছবি

মালয়েশিয়ায় ‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা’: ঢাকায় ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

লোহাগাড়ায় ১১ মৃত্যু: অবশেষে ধরা পড়লেন বাস চালক সোহেল

ছবি

অস্ত্র মামলায় আনিসুল হকের দুই দিনের রিমান্ড

ছবি

পলাতক ২৩ জনকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ, হাজির না হলে অনুপস্থিতিতেই বিচার

ছবি

পীরগাছায় পুলিশের অভিযানে চুরি হওয়া ৩ মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার ৫

ছবি

মুরাদনগরে নারী নির্যাতনের ঘটনায় মূল উসকানিদাতা ভাই শাহ পরাণ: পরিকল্পনায় ‘মব’, ভিডিওও তার ‘নির্দেশে’

ছবি

মুরাদনগরে ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড

ভোটবিহীন নির্বাচন মামলায় নূরুল হুদা কারাগারে, পেলেন না জামিন

ছবি

শেখ রেহানার স্বামী ও তারিক সিদ্দিকের সম্পত্তি জব্দের আদেশ

ছবি

আদালত অবমাননায় শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

ছবি

বিএনপির মামলায় সাবেক সিইসি নূরুল হুদার জবানবন্দি রেকর্ড শুরু

ছবি

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: বেরোবির সাবেক উপাচার্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

তিনটি হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ, আছেন সাবেক এসপিও

ধর্ষণের পর বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর, ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

রূপগঞ্জে মদ্যপ অবস্থায় অশোভন আচরণ, প্রতিবাদ করায় দুই যুবককে গুলি

নাইক্ষ্যংছড়িতে ইমাম হত্যা,৫ জনকে আসামী করে মামলা

ছবি

হত্যা মামলায় ইনু, কামাল, পলকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখালো আদালত

ছবি

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলায় প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু

ছবি

ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করে দুদক চেয়ারম্যান, টিউলিপকে বাংলাদেশি নাগরিক বলেও মন্তব্য

ছবি

১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবরুদ্ধ, এস আলম গ্রুপ ও ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতের কঠোর পদক্ষেপ

ছবি

‘ভোটের প্রতারণা’ অভিযোগে রিমান্ড শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি নূরুল হুদার

ছবি

নগদের ১ কোটি টাকার ডাকাতি: রহস্য উদঘাটনের দাবি পুলিশের, উদ্ধার সাড়ে ৩২ লাখ

ছবি

স্বপ্না হত্যা: থানা থেকে সিআইডি, তবু রহস্য অজানা

ছবি

সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালাল অপহরণ ও হত্যার আসামি

ছবি

আদালত অবমাননার মামলায় আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে ট্রাইব্যুনালের সহায়তাকারী নিযুক্ত

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

যুক্তরাজ্যে বসুন্ধরা মালিকপক্ষসহ কয়েকজনের সম্পদ জব্দে উদ্যোগ: দুদক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের দুই ছেলে—গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান (সানভীর) এবং সাফওয়ান সোবহানের যুক্তরাজ্যে সম্পদ পাচারের তথ্য সে দেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

সোমবার রাজধানীতে দুদকের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “আজ আমরা আরও কয়েকটি সম্পত্তির তথ্য যুক্তরাজ্যে পাঠিয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে আকবর সোবহান সাহেবের দুই ছেলে, সাফিয়াত ও সাফওয়ানের কিছু সম্পত্তির তথ্য।”

বসুন্ধরা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, ভূমি দখল, ঋণের টাকা আত্মসাৎ, অর্থ স্থানান্তর ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এ কারণে তাদের তলবও করা হয়েছে।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং এনআরবিসি কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমামের সম্পদের তথ্যও যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মোমেন।

তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, এসব প্রচেষ্টার সুফল অচিরেই পাব।”

দুদকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) সম্প্রতি সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদের সম্পদ জব্দের কথা জানায়।

এছাড়া মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান এফ রহমান ও তার চাচাতো ভাই আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের যুক্তরাজ্যের সম্পত্তিও জব্দ করেছে এনসিএ।

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে গত সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। সে অভিজ্ঞতার বর্ণনায় মোমেন বলেন, “আমরা আগে থেকেই ঠিক করেছিলাম যে এনসিএ ও আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করব। আমরা পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদের একটি তালিকা ও আদালতের আদেশ দিয়ে জমা দিয়েছি।”

তিনি জানান, এনসিএ ইতোমধ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর জব্দ করা ৩৪৩টি বাড়ির আনুমানিক মূল্য ৭৩.১৫ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,০২৫ কোটি টাকা)। এছাড়া তার প্রায় ২৫ লাখ ডলারের ব্যাংক আমানতও ফ্রিজ করা হয়েছে। অন্য দেশগুলোতেও তার সম্পত্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে ‘মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট’ পাঠানোর কথাও জানান দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্য প্রথমে সাড়া দিয়েছে।”

লন্ডন সফরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরির কথা জানান মোমেন। এনসিএ বাংলাদেশকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

তবে সম্পদ ফেরত আনতে হলে দেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের আদালতেরও সম্মতি প্রয়োজন, বলেন মোমেন। তিনি জানান, “আমরা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান করছি। সব কাজ দুদকের মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে। বিএফআইইউ-এর সঙ্গে সমন্বয় করেই আমরা এগোচ্ছি।”

কোনো আপস বা সমঝোতা না করার বিষয়ে তিনি বলেন, “দুদকের মামলা ফৌজদারি প্রকৃতির, তাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুযোগ নেই।”

অর্থ ফেরতের বিষয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সব অর্থ ফেরত আসবে এমন নিশ্চয়তা নেই। তবে প্রমাণ করতে পারলে কিছুটা হলেও ফেরত আনার সম্ভাবনা থাকে।”

আগের সরকারের সময়ও দুদক ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের বিরুদ্ধেও নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে তদন্ত হবে। আমরা রাজনৈতিক পক্ষপাত করি না।”

কিছু সম্পদ কেম্যান আইল্যান্ডেও চলে গেছে বলে জানান তিনি। এছাড়া ভারতের সঙ্গে ২০১১ সালের চুক্তি কাজে লাগিয়ে অপরাধী ফেরত আনা সম্ভব হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন মোমেন।

দলীয় নেতাদের বিদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি অনেক সময় মানি লন্ডারিংয়ে সহায়ক হয়।”

সমন্বয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, “দুদকের দৃষ্টিকোণ থেকে সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট নয়। তবে বিভিন্ন সংস্থার কাজ জড়িত হওয়ায় সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে।”

তিনি বলেন, “অনেকেই বিদেশ থেকে বাংলাদেশের সম্পত্তি বিক্রির জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিচ্ছেন—বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ যাচাইয়ে রাজনৈতিক ট্যাগিং থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।”

শেষে তিনি বলেন, “দুদককে শক্তিশালী করতে আমরা সবার সহযোগিতা চাই। তথ্যদাতারা আমাদের অংশীদার। কাগজপত্রসহ অভিযোগ পেলে আমরা বিবেচনা করব। সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা থেমে থাকব না।”

back to top