রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় সেনাবাহিনী ও র‌্যাব-২-এর যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, মোহাম্মদপুর থেকে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- নয়ন (২৫), সামির (২৫), ইউসুফ (২৬), বন্যা (৩৭), নুর ইসলাম (২৬), আবিদ হোসেন (৩৮), লতিফ (৫০), মনোয়ার (২৪), মোল্লা রুবেল (৩২), আলামিন (৪৫), সাগর (১৯), হীরা (৩০), রুহুল আমিন (৪৩), আসলাম (২০), মুরাদ (২১), তাজউদ্দীন (৪০), মাসুম (৩৮), জাবেদ (৪১), বাবু (৩১), কাজী আরিফ (৩০), আলমগীর (৪০), বুলু (২১), জাফর (৪০), ফিরোজ (২৬), আলামিন (২০) ও ভুট্টু (৪৮)।

তিনি জানান, গতকাল শনিবার দিনব্যাপী মোহাম্মদপুর থানাধীন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মাদক মামলার আসামি, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় সেনাবাহিনী ও র‌্যাব-২-এর যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মনোয়ার হোসেন, আবিদ হোসেন, নুর ইসলাম, বন্যা, আব্দুল লতিফ, আলমগীর, বুলু, ফিরোজ, আলামিন, ভুট্টু, আসলাম, জাফর, তাজউদ্দিন, মাসুম, জাবেদ, মুরাদ ও বাবু। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি সামুরাই তরবারি এবং ৪ দশমিক ৯৬৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা দিনে আত্মগোপনে থেকে রাতে ছিনতাই, মাদক বিক্রি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল।

রোববার,(০৫ অক্টোবর ২০২৫) র‌্যাব-২-এর সহকারী পুলিশ সুপার খান আসিফ তপু জানান, জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র ছিনতাই, মাদক কারবার ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি এসব অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের অভিযোগ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল কার্যক্রম বাড়ায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তারা দিনে আত্মগোপনে থেকে রাতে ছিনতাই, মাদক বিক্রি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল।

তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছিনতাই ও মাদকসংক্রান্ত মামলা রয়েছে এবং অনেকেই পূর্বে কারাভোগ করেছে বলে জানা গেছে। জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় ছিনতাই ও মাদকচক্রের বিরুদ্ধে এ অভিযান ছিল সমন্বিত পদক্ষেপ। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।