ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে জেলা হাজতে পাঠিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
সোমবার,(০৩ নভেম্বর ২০২৫) সকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শারমিন জাহান এ আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো ওই দুই সাবেক কর্মকর্তা হলেন, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আবছার ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. নাসিবুজ্জামান তালুকদার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (লিগ্যাল) মো. আবুল বাশার মিজি বাদী হয়ে বিজিএফসিএল-এর সাবেক সমন্বয় কর্মকর্তা এটিএম শাহ আলমকে ১নং আসামি, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আবছারকে ২নং আসামি এবং সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. নাসিবুজ্জামান তালুকদারকে ৩নং আসামি করে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বিজিএফসিএল-এর সাবেক সমন্বয় কর্মকর্তা এটিএম শাহ আলম ১৯৯০ সালে চাকরির জন্য দেয়া আবেদনপত্রে তার জীবন বৃত্তান্তে জন্ম সাল ২৮/১২/১৯৬১ উল্লেখ করেন এবং ২৮/৬/১৯৯২ সালে সহকারী সমন্বয় কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি তার এসএসসি সনদে জালিয়াতি করে জন্মসাল ১৯৬২ দেখিয়ে একবছর বেশি সময়কাল চাকরি করেন এবং ২৭/১২/২০২১ইং তারিখে অবসর উত্তর ছুটি (পিআরএল)তে যান। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ উঠলে পেট্রোবাংলা এবং বিজিএফসিএল-এর একাধিক তদন্ত কমিটির তদন্তে জন্ম তারিখ জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসে।
এভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে এটিএম শাহ আলম অতিরিক্ত এক বছর চাকরি করে ৭৪ লাখ ৪ হাজার টাকা আয় করে। তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আবছার ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. নাসিবুজ্জামান তালুকদারের যোগসাজশে এই অপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়।
১নং আসামি এটিএম শাহ আলম পলাতক। এছাড়া ২ ও ৩ নং আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার, সকালে ওই দুই কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠায়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্ট পরিদর্শক মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, এই মামলার ৩ আসামির মধ্যে দুই সাবেক কর্মকর্তা আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে জেলা হাজতে পাঠিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
সোমবার,(০৩ নভেম্বর ২০২৫) সকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শারমিন জাহান এ আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো ওই দুই সাবেক কর্মকর্তা হলেন, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আবছার ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. নাসিবুজ্জামান তালুকদার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (লিগ্যাল) মো. আবুল বাশার মিজি বাদী হয়ে বিজিএফসিএল-এর সাবেক সমন্বয় কর্মকর্তা এটিএম শাহ আলমকে ১নং আসামি, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আবছারকে ২নং আসামি এবং সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. নাসিবুজ্জামান তালুকদারকে ৩নং আসামি করে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বিজিএফসিএল-এর সাবেক সমন্বয় কর্মকর্তা এটিএম শাহ আলম ১৯৯০ সালে চাকরির জন্য দেয়া আবেদনপত্রে তার জীবন বৃত্তান্তে জন্ম সাল ২৮/১২/১৯৬১ উল্লেখ করেন এবং ২৮/৬/১৯৯২ সালে সহকারী সমন্বয় কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি তার এসএসসি সনদে জালিয়াতি করে জন্মসাল ১৯৬২ দেখিয়ে একবছর বেশি সময়কাল চাকরি করেন এবং ২৭/১২/২০২১ইং তারিখে অবসর উত্তর ছুটি (পিআরএল)তে যান। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ উঠলে পেট্রোবাংলা এবং বিজিএফসিএল-এর একাধিক তদন্ত কমিটির তদন্তে জন্ম তারিখ জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসে।
এভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে এটিএম শাহ আলম অতিরিক্ত এক বছর চাকরি করে ৭৪ লাখ ৪ হাজার টাকা আয় করে। তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আবছার ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. নাসিবুজ্জামান তালুকদারের যোগসাজশে এই অপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়।
১নং আসামি এটিএম শাহ আলম পলাতক। এছাড়া ২ ও ৩ নং আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার, সকালে ওই দুই কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠায়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্ট পরিদর্শক মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, এই মামলার ৩ আসামির মধ্যে দুই সাবেক কর্মকর্তা আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।