alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

অবৈধ সম্পদ অর্জন: পাপিয়া দম্পতির বিচার শুরু

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার অনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।

অস্ত্র আইনের মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে থাকা শামীমা নূর পাপিয়াকে মঙ্গলবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

এসময় তাকে এজলাস কক্ষের বেঞ্চে বসে বাদাম ও প্যাকট ছিঁড়ে চানাচুর খেতে দেখা যায়, যদিও হাজতী বা কয়েদীর সেখানে খাওয়ার অনুমতি নেই।

মুঠো ভর্তি বাদাম, চানাচুর খাওয়ার পর তাকে বোতল থেকে পানিও পান করতে দেখা যায়। এজলাস কক্ষে ছবি তোলা নিষিদ্ধ হওয়ায় সাংবাদিকরা এ ঘটনার কোনো ছবি তুলতে পারেননি।

এদিন আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঁইয়া আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষ থেকে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ঠিক করেন।

তদন্ত শেষে চলতি বছরের মার্চ মাসে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন এই দুদক কর্মকর্তা।

গত ৬ অক্টোবর ঢাকা মহানগর জেষ্ঠ্য বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচারের জন্য ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে পাঠিয়ে দেন।

সেখানে পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজেদের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেনসিয়াল স্যুট এবং চেয়ারম্যান স্যুটসহ ২৫টি কক্ষে অবস্থান করে খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, বারের খরচ বাবদ তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল নগদে পরিশোধ করেন পাপিয়া।

ওয়েস্টিন হোটেলে থাকার সময় তিনি প্রায় ৪০ লাখ টাকার কেনাকাটা করেছেন, যার কোনো বৈধ উৎস তিনি তদন্তের সময় দেখাতে পারেননি।

এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে মাসে ৫০ হাজার টাকা করে ৩০ লাখ টাকা বাসা ভাড়া দিয়েছেন। গাড়ির ব্যবসায় এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন।

বিভিন্ন ব্যাংকে পাপিয়া ও তার স্বামীর নামে ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকা জমা আছে উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে এসব অর্থের বৈধ কোনো উৎস পাওয়া যায়নি।

রিমান্ডে পাওয়ার পর সোমবার বিকালে ঢাকা হাকিম আদালত থেকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে যায় পুলিশ। রিমান্ডে পাওয়ার পর সোমবার বিকালে ঢাকা হাকিম আদালত থেকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে যায় পুলিশ।গত বছর ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকা ও নরসিংদীতে পাপিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব।

অভিযানে তাদের বাসা থেকে নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং মফিজুর রহমান সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের একটি গাড়ি জব্দ করা হয়, যার দাম ২২ লাখ টাকা।

সে সময় র‌্যাবের তরফ থেকে বলা হয়, পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেল ভাড়া নিয়ে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ চালিয়ে যে আয় করতেন, তা দিয়ে হোটেলে বিল দিতেন কোটি টাকার ওপরে।

সব মিলিয়ে তাদের নামে ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে উল্লেখ করে দুদকের মামলায় বলা হয়, এসব অর্থ তারা অপরাধজনক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আয় করেছেন।

গ্রেপ্তারের পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে জাল নোটের একটি এবং অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র‌্যাব। এছাড়া মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে আরেকটি মামলা করে সিআইডি। পরে দুদকও অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে।

গত ৬ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে দুদকের দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। ওই দিন মামলার চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বদলির আদেশ দেন তিনি।

পাপিয়ার আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঞা জানান, জাল টাকার মামলায় দুটি অভিযোগপত্র দেওয়ায় আলাদা দুটি মামলা হিসাবে বিচার শুরু হয়।সব মিলে মামলা দাঁড়িয়েছে ছয়টি।

এর মধ্যে অস্ত্র আইনের মামলায় গতবছর ১২ অক্টোবর এই দম্পতির ২০ বছরের কারাদণ্ডের রায় হয়। মাদক উদ্ধার ও জাল টাকার মামলায় ইতোমধ্যে তাদের বিচার শুরু হয়েছে।

৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছর ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থার উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলা করেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন শাহীন আরা মমতাজ।

ছবি

মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে জন্মদাতা পিতার মৃত্যুদণ্ড

ছবি

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক সদস্য গ্রেপ্তার

অর্থপাচার: সকল আসামিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

ডিবিতে ডাকা হয়েছে কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে

সখীপুরে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ গ্রেফতার দুই

রাবিতে শহীদ কামারুজ্জামান হল নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

ছবি

ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন

ছবি

তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছিনতাই ও চুরি হওয়া ফোন সেট উদ্ধার

মতলবে ব্যাংকের নৈশপ্রহরী খুনের রহস্য উন্মোচন,মূল আসামী সহ ৩ জন গ্রেফতার

ছবি

লঞ্চে বোরকা পরে ছিনতাই করতেন তারা

বন্ধুর সহায়তায় প্রবাসীর স্ত্রীকে খুন করে ঘরের মালামাল লুট করে আপন ভাই

গাজীপুরে ৩জন ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক

ছবি

আইন অমান্য করে ইটভাটা পরিচালনা, সংবাদ প্রকাশের পর অভিযান, ৩ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

দুদকের মামলায় সাবেক এমপি কাদের খানের চার বছরের দন্ড

গাজীপুরে পুত্রকে কুপিয়ে হত্যা, পিতা আটক

ছবি

এবার ভরদুপুরে থানচির দুই ব্যাংকে ডাকাতি

সিলেটে ‘ধর্ষক’ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গ্রপ্তার করেছে র‌্যাব

ছবি

ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

ছবি

শেকলে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ, রিমান্ডে ৪ আসামি

মুন্সীগঞ্জে ডালিম হ.ত্যা মামলার ৬ আসামি জেলহাজতে

ছবি

শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

ছবি

গেন্ডারিয়ায় ৯৮৩ পিস ভয়াবহ মাদক বুপ্রেনরফিনসহ গ্রেপ্তার কারবারি

ছবি

সিলেটে তরুণীকে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ অধরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ অভিযুক্তরা

নারায়ণগঞ্জে প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা, ৩ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

স্ত্রী-শাশুড়িসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ‘জল্লাদ’ শাহজাহানের প্রতারণার মামলা

ছবি

মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ জন

ছবি

দুই বছরের দণ্ড ২৭ বছর পর বাতিল, রায়ের কপি যাচ্ছে সব আদালতে

ছবি

মানিকদির জমি দখল নাজিমের দৌরাত্ম্য থামছেই না, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

পুলিশের সোর্স হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

বড় মনিরের বিরুদ্ধে এবার ঢাকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ছবি

রামুর কচ্ছপিয়ায় ছুরিকাঘাতে ছায়া হত্যার ঘটনায় আটক দুই

ছবি

মহেশখালীর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেফতার

ছবি

মুন্সীগঞ্জে পাইপগান-ফেন্সিডিলসহ দু’জন আটক

ছবি

দুদকের মামলায় ২০ কোটি ২২ লাখ টাকার আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক এমপি মান্নান কারাগারে

ছবি

আইএমইআই নম্বর পাল্টে মোবাইল বিক্রি, চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

চুনারুঘাটে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা, স্বামী আটক

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

অবৈধ সম্পদ অর্জন: পাপিয়া দম্পতির বিচার শুরু

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার অনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।

অস্ত্র আইনের মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে থাকা শামীমা নূর পাপিয়াকে মঙ্গলবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

এসময় তাকে এজলাস কক্ষের বেঞ্চে বসে বাদাম ও প্যাকট ছিঁড়ে চানাচুর খেতে দেখা যায়, যদিও হাজতী বা কয়েদীর সেখানে খাওয়ার অনুমতি নেই।

মুঠো ভর্তি বাদাম, চানাচুর খাওয়ার পর তাকে বোতল থেকে পানিও পান করতে দেখা যায়। এজলাস কক্ষে ছবি তোলা নিষিদ্ধ হওয়ায় সাংবাদিকরা এ ঘটনার কোনো ছবি তুলতে পারেননি।

এদিন আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঁইয়া আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষ থেকে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ঠিক করেন।

তদন্ত শেষে চলতি বছরের মার্চ মাসে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন এই দুদক কর্মকর্তা।

গত ৬ অক্টোবর ঢাকা মহানগর জেষ্ঠ্য বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচারের জন্য ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে পাঠিয়ে দেন।

সেখানে পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজেদের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেনসিয়াল স্যুট এবং চেয়ারম্যান স্যুটসহ ২৫টি কক্ষে অবস্থান করে খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, বারের খরচ বাবদ তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল নগদে পরিশোধ করেন পাপিয়া।

ওয়েস্টিন হোটেলে থাকার সময় তিনি প্রায় ৪০ লাখ টাকার কেনাকাটা করেছেন, যার কোনো বৈধ উৎস তিনি তদন্তের সময় দেখাতে পারেননি।

এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে মাসে ৫০ হাজার টাকা করে ৩০ লাখ টাকা বাসা ভাড়া দিয়েছেন। গাড়ির ব্যবসায় এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন।

বিভিন্ন ব্যাংকে পাপিয়া ও তার স্বামীর নামে ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকা জমা আছে উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে এসব অর্থের বৈধ কোনো উৎস পাওয়া যায়নি।

রিমান্ডে পাওয়ার পর সোমবার বিকালে ঢাকা হাকিম আদালত থেকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে যায় পুলিশ। রিমান্ডে পাওয়ার পর সোমবার বিকালে ঢাকা হাকিম আদালত থেকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে যায় পুলিশ।গত বছর ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকা ও নরসিংদীতে পাপিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব।

অভিযানে তাদের বাসা থেকে নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং মফিজুর রহমান সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের একটি গাড়ি জব্দ করা হয়, যার দাম ২২ লাখ টাকা।

সে সময় র‌্যাবের তরফ থেকে বলা হয়, পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেল ভাড়া নিয়ে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ চালিয়ে যে আয় করতেন, তা দিয়ে হোটেলে বিল দিতেন কোটি টাকার ওপরে।

সব মিলিয়ে তাদের নামে ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে উল্লেখ করে দুদকের মামলায় বলা হয়, এসব অর্থ তারা অপরাধজনক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আয় করেছেন।

গ্রেপ্তারের পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে জাল নোটের একটি এবং অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র‌্যাব। এছাড়া মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে আরেকটি মামলা করে সিআইডি। পরে দুদকও অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে।

গত ৬ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে দুদকের দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। ওই দিন মামলার চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বদলির আদেশ দেন তিনি।

পাপিয়ার আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঞা জানান, জাল টাকার মামলায় দুটি অভিযোগপত্র দেওয়ায় আলাদা দুটি মামলা হিসাবে বিচার শুরু হয়।সব মিলে মামলা দাঁড়িয়েছে ছয়টি।

এর মধ্যে অস্ত্র আইনের মামলায় গতবছর ১২ অক্টোবর এই দম্পতির ২০ বছরের কারাদণ্ডের রায় হয়। মাদক উদ্ধার ও জাল টাকার মামলায় ইতোমধ্যে তাদের বিচার শুরু হয়েছে।

৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছর ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থার উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলা করেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন শাহীন আরা মমতাজ।

back to top