কেরানীগঞ্জে সায়মন হত্যা
থাই গ্লাসের দোকানে চাকরী করত সুমন নামে এক যুবক। সেখান থেকে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাদক সেবীদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর গ্লাস সুমন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেন। গ্লাসের দোকানের কাটা টুকরো বা ভাঙ্গা গ্লাস দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর আক্রমণ করত। এ ভাবে গ্লাসের টুকরো উচিয়ে ভয় দেখিয়ে চাঁদবাজিসহ নানা অপরাধ করে বেড়াত। এ কারনে কেরানীগঞ্জ জুড়ে গ্লাস সুমন আতংক বিরাজ করছিল।
অবশেষে গত রোববার রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা ও র্যাব-১০ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আলোচিত সায়মন হত্যার প্রধান অভিযুক্ত মোঃ সুমন ওরফে গ্লাস সুমনসহ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত অন্য ৪জন হলো, মোঃ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ, শরীফ ওরফে গরীব,জনি ওরফে হর্স পাওয়ার জনি ও হারুন। তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত সুইচ গিয়ার চাকু ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তারা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
র্যাব জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি শনিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার সায়মন ওরফে নূরে আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত পায়ের রগ কেটে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় সায়মনের ভাই আরস আলম কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা সকল আসামিরা অজ্ঞাত ছিল।
র্যাব সদস্যরা ঘটনার পর থেকে মামলাটি ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রোবাববার রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্লাস সুমনসহ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদকে জানান, সুমন একটি মাদক সিন্ডিকেটের প্রধান অভিযুক্ত। সে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায় জড়িত। কেরানীগঞ্জসহ এর আশপাশ এলাকায় সে গ্লাস কোম্পানী নামে একটি মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এ চক্রের ১২থেকে ১৫ সদস্যকে গতকাল পর্যন্ত চিহ্নিত হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, কিছুদিন আগে সায়মন গ্লাস কোম্পানীর মাদক সিন্ডিকেট সম্পর্কে আইন শৃংখলা বাহিনীকে তথ্য দিয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে, কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সুমন ও তার সহযোগীরা ঘটনার জন্য ভিকটিম সায়মনকে সন্দেহ করেন। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিহিংসার জের ধরে তারা হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, কিছুদিন আগে কেরানীগঞ্জের ভাগনা,বালুরচর মুক্তিবাগ বালুর মাঠ এলাকায় এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করে। ওই পরিকল্পনায় ৫ থেকে ৬ অভিযুক্ত অংশ গ্রহণ করে। পরিকল্পনা মতে,মুক্তিরবাগ বালুর মাঠে হত্যাকান্ডটি ঘটেছে।
গ্রেফতারকৃত হারুন হত্যাকান্ডের আগে সায়মন সম্পর্কে অভিযুক্তদেরকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন। আর অভিযুক্তরা ঘটনার দিন ভিকটিম সায়মনকে মুক্তিরবাগ বালুর মাঠ এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে জোরকরে ধরে নিয়ে যায়। এরপর হত্যাকান্ডের স্থানে নিয়ে হাত-পা চেপে ধরে রগ কর্তন ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। প্রায় আধাঘন্টা ধরে এ তান্ডব চালায়। অভিযুক্ত খুনিরা চলে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় সায়মনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
অভিযুক্ত গ্লাস সুমন এ হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারি। সে সায়মনের রগ কর্তন করেছে। এছাড়াও লম্বু সোহাগ ওরফে গরীবুল্লাহ রগ কাটায় অংশ গ্রহণ করে। গ্রেফতারকৃুত জনি তাকে চেপে ধরে। অভিযুক্ত সুমনের বিরুদ্ধে গতকাল পর্যন্ত মোট ৫টি মামলার খবর পাওয়া গেছে।
সুমন গ্লাসের দোকানে চাকরী করার পর এলাকায় ভাঙ্গা বা কাটা গ্লাস দিয়ে মানুষের উপর আক্রমণ চালাত। এ কারনে এলাকায় সে গ্লাস সুমন নামে পরিচিত। এ চক্রের পলাতক অন্যদেরকে ধরতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
কেরানীগঞ্জে সায়মন হত্যা
মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
থাই গ্লাসের দোকানে চাকরী করত সুমন নামে এক যুবক। সেখান থেকে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাদক সেবীদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর গ্লাস সুমন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেন। গ্লাসের দোকানের কাটা টুকরো বা ভাঙ্গা গ্লাস দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর আক্রমণ করত। এ ভাবে গ্লাসের টুকরো উচিয়ে ভয় দেখিয়ে চাঁদবাজিসহ নানা অপরাধ করে বেড়াত। এ কারনে কেরানীগঞ্জ জুড়ে গ্লাস সুমন আতংক বিরাজ করছিল।
অবশেষে গত রোববার রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা ও র্যাব-১০ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আলোচিত সায়মন হত্যার প্রধান অভিযুক্ত মোঃ সুমন ওরফে গ্লাস সুমনসহ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত অন্য ৪জন হলো, মোঃ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ, শরীফ ওরফে গরীব,জনি ওরফে হর্স পাওয়ার জনি ও হারুন। তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত সুইচ গিয়ার চাকু ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তারা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
র্যাব জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি শনিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার সায়মন ওরফে নূরে আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত পায়ের রগ কেটে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় সায়মনের ভাই আরস আলম কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা সকল আসামিরা অজ্ঞাত ছিল।
র্যাব সদস্যরা ঘটনার পর থেকে মামলাটি ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রোবাববার রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্লাস সুমনসহ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদকে জানান, সুমন একটি মাদক সিন্ডিকেটের প্রধান অভিযুক্ত। সে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায় জড়িত। কেরানীগঞ্জসহ এর আশপাশ এলাকায় সে গ্লাস কোম্পানী নামে একটি মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এ চক্রের ১২থেকে ১৫ সদস্যকে গতকাল পর্যন্ত চিহ্নিত হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, কিছুদিন আগে সায়মন গ্লাস কোম্পানীর মাদক সিন্ডিকেট সম্পর্কে আইন শৃংখলা বাহিনীকে তথ্য দিয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে, কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সুমন ও তার সহযোগীরা ঘটনার জন্য ভিকটিম সায়মনকে সন্দেহ করেন। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিহিংসার জের ধরে তারা হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, কিছুদিন আগে কেরানীগঞ্জের ভাগনা,বালুরচর মুক্তিবাগ বালুর মাঠ এলাকায় এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করে। ওই পরিকল্পনায় ৫ থেকে ৬ অভিযুক্ত অংশ গ্রহণ করে। পরিকল্পনা মতে,মুক্তিরবাগ বালুর মাঠে হত্যাকান্ডটি ঘটেছে।
গ্রেফতারকৃত হারুন হত্যাকান্ডের আগে সায়মন সম্পর্কে অভিযুক্তদেরকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন। আর অভিযুক্তরা ঘটনার দিন ভিকটিম সায়মনকে মুক্তিরবাগ বালুর মাঠ এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে জোরকরে ধরে নিয়ে যায়। এরপর হত্যাকান্ডের স্থানে নিয়ে হাত-পা চেপে ধরে রগ কর্তন ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। প্রায় আধাঘন্টা ধরে এ তান্ডব চালায়। অভিযুক্ত খুনিরা চলে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় সায়মনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
অভিযুক্ত গ্লাস সুমন এ হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারি। সে সায়মনের রগ কর্তন করেছে। এছাড়াও লম্বু সোহাগ ওরফে গরীবুল্লাহ রগ কাটায় অংশ গ্রহণ করে। গ্রেফতারকৃুত জনি তাকে চেপে ধরে। অভিযুক্ত সুমনের বিরুদ্ধে গতকাল পর্যন্ত মোট ৫টি মামলার খবর পাওয়া গেছে।
সুমন গ্লাসের দোকানে চাকরী করার পর এলাকায় ভাঙ্গা বা কাটা গ্লাস দিয়ে মানুষের উপর আক্রমণ চালাত। এ কারনে এলাকায় সে গ্লাস সুমন নামে পরিচিত। এ চক্রের পলাতক অন্যদেরকে ধরতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।