ঘটনাস্থল গাজীপুরের কাশিমপুরে বাগবাড়ী এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ি। ২০২০ সালে ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে থানা পুলিশ খবর পায় ওই এলাকায় ক্যাপ ফ্যাক্টরির পশ্চিম পাশে একটি নির্মাণাধীন পরিত্যক্ত ভবনের বালুর নিচে একটি মাথার খুলি পাওয়া গেছে। থানা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব চার কিলোমিটার।
এমন খবরের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত শিশুর মাথার খুলি উদ্ধার করে। এরপর বড় ছোট মিলে প্রায় ১৯টি হাড়, চামড়া ও একটি হাফপ্যান্ট উদ্ধার করে।
পরদিন ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী পুলিশের এসআই কামরুজ্জামান। মামলায় ঘটনার তারিখ হিসেবে বলা হয়েছে ‘যেকোন দিন, যেকোন সময়’ ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) স্ব-উদ্যোগে মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে।
পিবিআই তদন্ত করে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কিশোর গ্যাং গ্রুপের দুই সদস্য রাসেল ওরফে রাহুল (১৪) ও সবুজকে (১৫) গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে পাঁচ বছরের শিশু রিয়া মনিকে কোমল পানীয় ‘মজো’ ও বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে ওই দুই কিশোর ডেকে নেয়। এরপর একটি ঘরের ভিতর নিয়ে দুই কিশোর তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই। তাদের অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে।
জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে পিবিআই জানায়, অভিযুক্ত কিশোর সবুজ তার বন্ধু রাহুলের বাসায় বেড়াতে যায়। তখন রাহুলের সঙ্গে রিয়া মনিকে খেলতে দেখে। অভিযুক্ত সবুজ তখন রিয়া মনিকে ‘মজো’ খাওয়ানোর কথা বলে। রিয়া মনি খেতে রাজি হলে তাকে বিস্কুট, চকোবিন ও লিচু কিনে খেতে দেয়। এরপর রিয়া মনিকে রাহুলের বাসার ভেতর নিয়ে সবুজ ও রাহুল তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শিশুটি প্রচ- ব্যথা ও যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করে। এবং সে বলে যে এই ঘটনা সবাইকে বলে দিবে। এ কথা শুনে দুই কিশোর রিয়া মনিকে গলা টিপে হত্যা করে। এরপর নির্মাণাধীন ভবনে গর্ত করে মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা একেএম রেজাউল করিম সংবাদকে জানান, অভিযুক্ত দুই কিশোর প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। এরপর তারা এলাকায় কিশোর গ্রুপের সদস্য হয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাদের অভিযুক্ত করে গত ১ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে।
বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
ঘটনাস্থল গাজীপুরের কাশিমপুরে বাগবাড়ী এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ি। ২০২০ সালে ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে থানা পুলিশ খবর পায় ওই এলাকায় ক্যাপ ফ্যাক্টরির পশ্চিম পাশে একটি নির্মাণাধীন পরিত্যক্ত ভবনের বালুর নিচে একটি মাথার খুলি পাওয়া গেছে। থানা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব চার কিলোমিটার।
এমন খবরের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত শিশুর মাথার খুলি উদ্ধার করে। এরপর বড় ছোট মিলে প্রায় ১৯টি হাড়, চামড়া ও একটি হাফপ্যান্ট উদ্ধার করে।
পরদিন ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী পুলিশের এসআই কামরুজ্জামান। মামলায় ঘটনার তারিখ হিসেবে বলা হয়েছে ‘যেকোন দিন, যেকোন সময়’ ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) স্ব-উদ্যোগে মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে।
পিবিআই তদন্ত করে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কিশোর গ্যাং গ্রুপের দুই সদস্য রাসেল ওরফে রাহুল (১৪) ও সবুজকে (১৫) গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে পাঁচ বছরের শিশু রিয়া মনিকে কোমল পানীয় ‘মজো’ ও বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে ওই দুই কিশোর ডেকে নেয়। এরপর একটি ঘরের ভিতর নিয়ে দুই কিশোর তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই। তাদের অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে।
জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে পিবিআই জানায়, অভিযুক্ত কিশোর সবুজ তার বন্ধু রাহুলের বাসায় বেড়াতে যায়। তখন রাহুলের সঙ্গে রিয়া মনিকে খেলতে দেখে। অভিযুক্ত সবুজ তখন রিয়া মনিকে ‘মজো’ খাওয়ানোর কথা বলে। রিয়া মনি খেতে রাজি হলে তাকে বিস্কুট, চকোবিন ও লিচু কিনে খেতে দেয়। এরপর রিয়া মনিকে রাহুলের বাসার ভেতর নিয়ে সবুজ ও রাহুল তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শিশুটি প্রচ- ব্যথা ও যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করে। এবং সে বলে যে এই ঘটনা সবাইকে বলে দিবে। এ কথা শুনে দুই কিশোর রিয়া মনিকে গলা টিপে হত্যা করে। এরপর নির্মাণাধীন ভবনে গর্ত করে মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা একেএম রেজাউল করিম সংবাদকে জানান, অভিযুক্ত দুই কিশোর প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। এরপর তারা এলাকায় কিশোর গ্রুপের সদস্য হয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাদের অভিযুক্ত করে গত ১ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে।