alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

প্রধানমন্ত্রীর নামে কলেজ খুলে নিয়োগ বাণিজ্য !

প্রতিনিধি, বড়াইগ্রাম (নাটোর) : বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

বড়াইগ্রাম (নাটোর) : পিঙ্গুইন গ্রামে শেখ হাসিনার টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট -সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর নামের প্রতিষ্ঠান চালু হলেই সরকারি হবে এমন ধান্দায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পাঠদানের অনুমিত পায়নি এবং বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের পূর্বানুমতি ছাড়াই প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে খোলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর সবকিছুর মূলেই রয়েছে কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য। প্রতিষ্ঠানটি খোলা হয়েছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের ছোট পিঙ্গুইন গ্রামে।

শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠার সন লেখা হয়েছে ২০১৪। কিন্তু কলেজের ঘর করা হয়েছে গতবছরের মার্চ মাসের দিকে। আবার নাম বদলে সাইনবোর্ড লেখা হয়েছে শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠার সাত বছর পর এবারই প্রথম ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে শুরু করা হয়েছে ভর্তি কার্যক্রম। যেখানে ১ম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নামে হঠাৎ গজিয়ে উঠা প্রতিষ্ঠান নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ইতোমধ্যে অনেকেই ভর্তি ফরম নিলেও ১১জন শিক্ষার্থী ভর্তি ফরম জমা দিয়েছে। ইলিয়াস নামে দায়িত্বরত ল্যাব এ্যাসিস্টেন্ড জানান, প্রতিদিন দুইজন স্টাফ পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের মোট শিক্ষক-কর্মচারী ১২-১৪ জন হবে বলে তিনি শুনেছেন। তবে সবাইকে চিনেনা না। ক্লাস শুরু হলে জানুয়ারিতে সবারই আসার কথা রয়েছে। তিনি জানান, তাকে ল্যাব এসিটেন্ড পদ দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে তবে নিয়োগপত্র দেয়া হয়নি। তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা বড়াইগ্রাম উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার। তার বাড়ি ছোট পিঙ্গুইন গ্রামেই। আর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তার জামাতা মো. মনিরুল ইসলাম। কথা বলার সময় সেখানে হাজির হন আব্দুস সাত্তারের বড়ভাই আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের পথ সুগম করতেই এই প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সাত্তার মোবাইল ফোনে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে শুরু করেছিলাম। কিন্তু কারিগরি বোর্ডের অনুমতির জন্য তাদের পরামর্শে নাম বদলে শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাঠদানের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা নাম ব্যবহারের অনুমতির জন্য বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টেও আবেদন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার সন ২০১৪ কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইতোপূর্বে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় করেছিলাম। সেটা সরকারি হয়ে গেছে। আমার পরিবারের কেউ সেখানে চাকরি পায়নি। তাই ওই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠার সালটি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, অধ্যক্ষ হিসেবে আমার জামাতা মো. মনিরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছেন। সে এখন নাটোর সিটি কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের এমপিওভুক্ত প্রভাষক। তবে এই প্রতিষ্ঠান হয়ে গেলে ওখানে (সিটি কলেজ) ছেড়ে দিয়ে চলে আসবে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া করে রাখা হয়েছে। এখনো কোন নিয়োগ দেয়া হয়নি।

জোনাইল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক বড় পিঙ্গুইন গ্রামের লুৎফর রহমান বলেন, স্থানীয় হওয়ায় বিভিন্ন সময় অনেক অভিভাবক আমার কাছে এসেছেন। তার জানিয়েছেন যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আব্দুস সাত্তার তাদের বলেছেন শেখ হাসিনার নামে প্রতিষ্ঠান পাঠদানের অনুমতি পেলেই সরকারি হয়ে যাবে। আর পাঠদান সামনের জানুয়ারিতেই পেয়ে যাবো কথা হয়ে গেছে। আর আমরাও শুনেছি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে সরকারি হয়ে গেছে। তাই টাকা যা লাগুক ভবিষ্যতের কথা ভেবে সন্তানকে এখানে চাকরি নিয়ে দিয়েছেন তারা। একই গ্রামের আব্দুস সামাদ বলেন, প্রথমে একটা প্রাইমারি করেছিল সাত্তার। কিন্তু সেখানে ধান্দা হয়নি। তাই নয়া প্রতিষ্ঠানের নামে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি টাকার ধান্দা করে নিছে।

উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের খোয়াজ আলী বলেন, আমার ভাই মাসুদ রানাকে কম্পিউটার অপারেটর পদে ঢুকাতে চেয়েছিলাম কিন্তু ১০ লাখ টাকার কমে নিবে না তাই ঢুকাতে পারলাম না। পরে আমার প্রতিবেশী দোয়েলকে ১০ লাখ টাকায় ঢুকিয়েছে। দোলেয় প্রথমে ৫ লাখ দিছে। নগর গ্রামের রাসেল আহমেদ বলেন, আমাকে ইন্সট্রাক্টর পদে ঢুকাতে ১২ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। আমি ৫ লাখ দিতে চেয়েছিল কিন্তু নেয়নি ।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম রেজাউল হক বলেন, বিষয়টি জানা ছিলো না। দুই প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানলাম। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রউফ বলেন, পাঠদানের অনুমতি বিহীন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ নেই। ভর্তি বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারিয়াম খাতুন লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য উপজেলা আইসিটি অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অর্থপাচার: সকল আসামিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

ডিবিতে ডাকা হয়েছে কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে

সখীপুরে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ গ্রেফতার দুই

রাবিতে শহীদ কামারুজ্জামান হল নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

ছবি

ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন

ছবি

তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছিনতাই ও চুরি হওয়া ফোন সেট উদ্ধার

মতলবে ব্যাংকের নৈশপ্রহরী খুনের রহস্য উন্মোচন,মূল আসামী সহ ৩ জন গ্রেফতার

ছবি

লঞ্চে বোরকা পরে ছিনতাই করতেন তারা

বন্ধুর সহায়তায় প্রবাসীর স্ত্রীকে খুন করে ঘরের মালামাল লুট করে আপন ভাই

গাজীপুরে ৩জন ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক

ছবি

আইন অমান্য করে ইটভাটা পরিচালনা, সংবাদ প্রকাশের পর অভিযান, ৩ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

দুদকের মামলায় সাবেক এমপি কাদের খানের চার বছরের দন্ড

গাজীপুরে পুত্রকে কুপিয়ে হত্যা, পিতা আটক

ছবি

এবার ভরদুপুরে থানচির দুই ব্যাংকে ডাকাতি

সিলেটে ‘ধর্ষক’ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গ্রপ্তার করেছে র‌্যাব

ছবি

ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

ছবি

শেকলে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ, রিমান্ডে ৪ আসামি

মুন্সীগঞ্জে ডালিম হ.ত্যা মামলার ৬ আসামি জেলহাজতে

ছবি

শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

ছবি

গেন্ডারিয়ায় ৯৮৩ পিস ভয়াবহ মাদক বুপ্রেনরফিনসহ গ্রেপ্তার কারবারি

ছবি

সিলেটে তরুণীকে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ অধরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ অভিযুক্তরা

নারায়ণগঞ্জে প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা, ৩ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

স্ত্রী-শাশুড়িসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ‘জল্লাদ’ শাহজাহানের প্রতারণার মামলা

ছবি

মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ জন

ছবি

দুই বছরের দণ্ড ২৭ বছর পর বাতিল, রায়ের কপি যাচ্ছে সব আদালতে

ছবি

মানিকদির জমি দখল নাজিমের দৌরাত্ম্য থামছেই না, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

পুলিশের সোর্স হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

বড় মনিরের বিরুদ্ধে এবার ঢাকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ছবি

রামুর কচ্ছপিয়ায় ছুরিকাঘাতে ছায়া হত্যার ঘটনায় আটক দুই

ছবি

মহেশখালীর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেফতার

ছবি

মুন্সীগঞ্জে পাইপগান-ফেন্সিডিলসহ দু’জন আটক

ছবি

দুদকের মামলায় ২০ কোটি ২২ লাখ টাকার আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক এমপি মান্নান কারাগারে

ছবি

আইএমইআই নম্বর পাল্টে মোবাইল বিক্রি, চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

চুনারুঘাটে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা, স্বামী আটক

ছবি

সিরাজগঞ্জে ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৫ কোটি টাকা গায়েব, ৩ কর্মকর্তা কারাগারে

শতাধিক শিক্ষা ভবন নির্মাণের নামে বিল ভাগ-বাটোয়ারা

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

প্রধানমন্ত্রীর নামে কলেজ খুলে নিয়োগ বাণিজ্য !

প্রতিনিধি, বড়াইগ্রাম (নাটোর)

বড়াইগ্রাম (নাটোর) : পিঙ্গুইন গ্রামে শেখ হাসিনার টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট -সংবাদ

বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

প্রধানমন্ত্রীর নামের প্রতিষ্ঠান চালু হলেই সরকারি হবে এমন ধান্দায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পাঠদানের অনুমিত পায়নি এবং বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের পূর্বানুমতি ছাড়াই প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে খোলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর সবকিছুর মূলেই রয়েছে কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য। প্রতিষ্ঠানটি খোলা হয়েছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের ছোট পিঙ্গুইন গ্রামে।

শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠার সন লেখা হয়েছে ২০১৪। কিন্তু কলেজের ঘর করা হয়েছে গতবছরের মার্চ মাসের দিকে। আবার নাম বদলে সাইনবোর্ড লেখা হয়েছে শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠার সাত বছর পর এবারই প্রথম ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে শুরু করা হয়েছে ভর্তি কার্যক্রম। যেখানে ১ম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নামে হঠাৎ গজিয়ে উঠা প্রতিষ্ঠান নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ইতোমধ্যে অনেকেই ভর্তি ফরম নিলেও ১১জন শিক্ষার্থী ভর্তি ফরম জমা দিয়েছে। ইলিয়াস নামে দায়িত্বরত ল্যাব এ্যাসিস্টেন্ড জানান, প্রতিদিন দুইজন স্টাফ পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের মোট শিক্ষক-কর্মচারী ১২-১৪ জন হবে বলে তিনি শুনেছেন। তবে সবাইকে চিনেনা না। ক্লাস শুরু হলে জানুয়ারিতে সবারই আসার কথা রয়েছে। তিনি জানান, তাকে ল্যাব এসিটেন্ড পদ দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে তবে নিয়োগপত্র দেয়া হয়নি। তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা বড়াইগ্রাম উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার। তার বাড়ি ছোট পিঙ্গুইন গ্রামেই। আর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তার জামাতা মো. মনিরুল ইসলাম। কথা বলার সময় সেখানে হাজির হন আব্দুস সাত্তারের বড়ভাই আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের পথ সুগম করতেই এই প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সাত্তার মোবাইল ফোনে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে শুরু করেছিলাম। কিন্তু কারিগরি বোর্ডের অনুমতির জন্য তাদের পরামর্শে নাম বদলে শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাঠদানের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা নাম ব্যবহারের অনুমতির জন্য বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টেও আবেদন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার সন ২০১৪ কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইতোপূর্বে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় করেছিলাম। সেটা সরকারি হয়ে গেছে। আমার পরিবারের কেউ সেখানে চাকরি পায়নি। তাই ওই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠার সালটি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, অধ্যক্ষ হিসেবে আমার জামাতা মো. মনিরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছেন। সে এখন নাটোর সিটি কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের এমপিওভুক্ত প্রভাষক। তবে এই প্রতিষ্ঠান হয়ে গেলে ওখানে (সিটি কলেজ) ছেড়ে দিয়ে চলে আসবে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া করে রাখা হয়েছে। এখনো কোন নিয়োগ দেয়া হয়নি।

জোনাইল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক বড় পিঙ্গুইন গ্রামের লুৎফর রহমান বলেন, স্থানীয় হওয়ায় বিভিন্ন সময় অনেক অভিভাবক আমার কাছে এসেছেন। তার জানিয়েছেন যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আব্দুস সাত্তার তাদের বলেছেন শেখ হাসিনার নামে প্রতিষ্ঠান পাঠদানের অনুমতি পেলেই সরকারি হয়ে যাবে। আর পাঠদান সামনের জানুয়ারিতেই পেয়ে যাবো কথা হয়ে গেছে। আর আমরাও শুনেছি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে সরকারি হয়ে গেছে। তাই টাকা যা লাগুক ভবিষ্যতের কথা ভেবে সন্তানকে এখানে চাকরি নিয়ে দিয়েছেন তারা। একই গ্রামের আব্দুস সামাদ বলেন, প্রথমে একটা প্রাইমারি করেছিল সাত্তার। কিন্তু সেখানে ধান্দা হয়নি। তাই নয়া প্রতিষ্ঠানের নামে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি টাকার ধান্দা করে নিছে।

উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের খোয়াজ আলী বলেন, আমার ভাই মাসুদ রানাকে কম্পিউটার অপারেটর পদে ঢুকাতে চেয়েছিলাম কিন্তু ১০ লাখ টাকার কমে নিবে না তাই ঢুকাতে পারলাম না। পরে আমার প্রতিবেশী দোয়েলকে ১০ লাখ টাকায় ঢুকিয়েছে। দোলেয় প্রথমে ৫ লাখ দিছে। নগর গ্রামের রাসেল আহমেদ বলেন, আমাকে ইন্সট্রাক্টর পদে ঢুকাতে ১২ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। আমি ৫ লাখ দিতে চেয়েছিল কিন্তু নেয়নি ।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম রেজাউল হক বলেন, বিষয়টি জানা ছিলো না। দুই প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানলাম। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রউফ বলেন, পাঠদানের অনুমতি বিহীন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ নেই। ভর্তি বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারিয়াম খাতুন লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য উপজেলা আইসিটি অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

back to top