নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় ঘরে ঢুকে এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই শিশুকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশু পরিবার থানায় মেরাজ হোসেন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার চারদিন পর সোমবার ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মেরাজ ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। এর আগে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার দেওয়ানের চর গাংকুলপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মেরাজ হোসেন বেলাব উপজেলার দেওয়ানের চর গাংকুলপাড়া গ্রামের চাঁন মিয়ার সন্তান। নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবার জানান, বাড়িতে কেউ না থাকায় বুধবার রাত ৯টার দিকে একই গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে লম্পট মেরাজ জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত মেরাজ পালিয়ে যায়। ঘটনার পর রাতেই পরিবারের লোকজন মেরাজকে অভিযুক্ত করে শিশুকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দেন বেলাব থানায়। অভিযোগ দেয়ার চারদিনেও মামলা গ্রহণ না করার অভিযোগ করেন ধর্ষিতার মা-বাবা। মামলা না নিয়ে সাক্ষী নিয়ে আসার জন্য বলে করা হয় সময়ক্ষেপণ। পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়ারও কোন উদ্যোগ। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার বিকেলে নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। শিশুটি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানান তার স্বজনরা। এ ঘটনার পর বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত মেরাজ ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ ও মামলা গ্রহণ না করার বিষয়ে জানতে গণমাধ্যমকর্মীরা বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন পলাশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে তিনি জানান, তিনি ছুটিতে থাকায় একটু দেরি হয়েছে মামলাটি নিতে। তবে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের পায়নি। পুলিশ সবসময় অসহায় মেয়েটির পক্ষে কাজ করছে।
সোমবার বিকেলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্তের পর এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে। তারা যেভাবে অভিযোগ দিয়েছেন সেভাবে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মেরাজ মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া অভিযোগের সঙ্গে পুলিশের মামলার মিল নেই জানিয়েছেন নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা। তিনি বলেন, চারদিন পর মামলা নেয়া হলেও আমরা যেভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি সেভাবে মামলা নেয়া হয়নি। আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। আমার মেয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় ঘরে ঢুকে এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই শিশুকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশু পরিবার থানায় মেরাজ হোসেন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার চারদিন পর সোমবার ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মেরাজ ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। এর আগে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার দেওয়ানের চর গাংকুলপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মেরাজ হোসেন বেলাব উপজেলার দেওয়ানের চর গাংকুলপাড়া গ্রামের চাঁন মিয়ার সন্তান। নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবার জানান, বাড়িতে কেউ না থাকায় বুধবার রাত ৯টার দিকে একই গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে লম্পট মেরাজ জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত মেরাজ পালিয়ে যায়। ঘটনার পর রাতেই পরিবারের লোকজন মেরাজকে অভিযুক্ত করে শিশুকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দেন বেলাব থানায়। অভিযোগ দেয়ার চারদিনেও মামলা গ্রহণ না করার অভিযোগ করেন ধর্ষিতার মা-বাবা। মামলা না নিয়ে সাক্ষী নিয়ে আসার জন্য বলে করা হয় সময়ক্ষেপণ। পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়ারও কোন উদ্যোগ। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার বিকেলে নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। শিশুটি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানান তার স্বজনরা। এ ঘটনার পর বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত মেরাজ ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ ও মামলা গ্রহণ না করার বিষয়ে জানতে গণমাধ্যমকর্মীরা বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন পলাশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে তিনি জানান, তিনি ছুটিতে থাকায় একটু দেরি হয়েছে মামলাটি নিতে। তবে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের পায়নি। পুলিশ সবসময় অসহায় মেয়েটির পক্ষে কাজ করছে।
সোমবার বিকেলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্তের পর এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে। তারা যেভাবে অভিযোগ দিয়েছেন সেভাবে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মেরাজ মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া অভিযোগের সঙ্গে পুলিশের মামলার মিল নেই জানিয়েছেন নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা। তিনি বলেন, চারদিন পর মামলা নেয়া হলেও আমরা যেভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি সেভাবে মামলা নেয়া হয়নি। আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। আমার মেয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।