মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বাফেলো শহরে একটি সুপারমার্কেটে অস্ত্রধারীর গুলিতে ১০ জন নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে এ গুলীর ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে। বিবিসি জানায়, এলকাটি কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত এবং গুলীবর্ষণকারী একজন শেতাঙ্গ। এ ঘটনার পর পুলিশ ১৮ বছর বয়সী একজনকে গ্রেপ্তার করলেও তার নাম বলেনি। বর্ণবাদী বিদ্বেষ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে তদন্তকারীদের ধারণা।
ঘাতক শ্বেতাঙ্গ তরুণ বাফেলোর ব্যস্ত এক সুপারমার্কেটে ঢুকে হঠাৎ গুলি চালানো শুরু করে। গুলী করার সময় সে পুরো ঘটনাটি একটি ক্যামেরার মাধ্যমে অনলাইনে সরাসরি প্রচার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই এ ঘটনাকে ‘সহিংস উগ্রবাদী’ কর্মকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেছে । সংস্থাটি জানায়, “আমরা একে বিদ্বেষমূলক অপরাধ ও বর্ণবাদ-অনুপ্রাণিত সহিংস উগ্রবাদী ঘটনা উভয় আলোকেই তদন্ত করছি,” সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন এফবিআই বাফেলো কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা স্টিফেন বেলনগিয়া।
বাফেলো শহরের পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া জানিয়েছেন, ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ। আহত তিনজন সুপারমার্কেটে কাজ করতেন, তাদের আঘাত প্রাণ-সংহারী নয়।
নিহতদের মধ্যে সুপারমার্কেটটিতে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করা অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যও আছেন। শ্বেতাঙ্গ তরুনের গুলীতে নিহত হওয়ার আগে তিনি হামলাকারীর ওপর গুলি চালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গেছে।
সন্দেহভাজন হামলাকারী কয়েক ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে শহরটির কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকায় পৌঁছান বলে মনে করা হচ্ছে। বন্দুকধারী শক্তিশালী বন্দুক বহন করা ছাড়াও বর্ম ও হেলমেটে পরে ছিলেন। হামলাকারী শ্বেতাঙ্গ তরুণ পরে অস্ত্র সমর্পণ করলে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মানুষ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, পরে আরও কিছু অভিযোগ যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ইরি কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জন ফ্লিন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হামলার সময় দোকানে কাজ করা শনেল হ্যারিস বাফেলো নিউজকে জানান, পেছনের দরজা দিয়ে ভবন থেকে দৌড়ে পালানোর সময় তিনি ৭০টিরও বেশি গুলির শব্দ শুনেছেন। তিনি জানান, “দোকান পরিপূর্ণ ছিল, এটা উইকেন্ড (সাপ্তাহিক ছুটির আগে)। মনে হচ্ছে যেন দুঃস্বপ্ন,” ।
ওই শ্বেতাঙ্গ যুবক হামলার সময় বর্ণবাদী স্লোগান দিয়েছিল বলে সিবিএসের সঙ্গে কথা বলা এক পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন।
বাফেলোর মেয়র বায়রন ব্রাউন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “কোনো কমিউনিটির জন্য এটা সবচেয়ে বাজে দুঃস্বপ্ন; আমাদের কষ্ট হচ্ছে, হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। এই ঘৃণিত ব্যক্তি আমাদের কমিউনিটিকে বিভক্ত করবে, এমনটা হতে দিতে পারিনা আমরা” ।
নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল বলেছেন, “এটা সামরিক কায়দায় লোকজনকে হত্যা, যেখানে এমন মানুষজনকে টার্গেট করা হয়েছে, যারা কেবল এলাকার দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়েছিল।”
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। “প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি নিহত ও তাদের প্রিয়জনদের জন্য প্রার্থনা করছেন,” বলা হয়েছে তাদের বিবৃতিতে।
রোববার, ১৫ মে ২০২২
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বাফেলো শহরে একটি সুপারমার্কেটে অস্ত্রধারীর গুলিতে ১০ জন নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে এ গুলীর ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে। বিবিসি জানায়, এলকাটি কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত এবং গুলীবর্ষণকারী একজন শেতাঙ্গ। এ ঘটনার পর পুলিশ ১৮ বছর বয়সী একজনকে গ্রেপ্তার করলেও তার নাম বলেনি। বর্ণবাদী বিদ্বেষ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে তদন্তকারীদের ধারণা।
ঘাতক শ্বেতাঙ্গ তরুণ বাফেলোর ব্যস্ত এক সুপারমার্কেটে ঢুকে হঠাৎ গুলি চালানো শুরু করে। গুলী করার সময় সে পুরো ঘটনাটি একটি ক্যামেরার মাধ্যমে অনলাইনে সরাসরি প্রচার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই এ ঘটনাকে ‘সহিংস উগ্রবাদী’ কর্মকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেছে । সংস্থাটি জানায়, “আমরা একে বিদ্বেষমূলক অপরাধ ও বর্ণবাদ-অনুপ্রাণিত সহিংস উগ্রবাদী ঘটনা উভয় আলোকেই তদন্ত করছি,” সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন এফবিআই বাফেলো কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা স্টিফেন বেলনগিয়া।
বাফেলো শহরের পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া জানিয়েছেন, ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ। আহত তিনজন সুপারমার্কেটে কাজ করতেন, তাদের আঘাত প্রাণ-সংহারী নয়।
নিহতদের মধ্যে সুপারমার্কেটটিতে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করা অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যও আছেন। শ্বেতাঙ্গ তরুনের গুলীতে নিহত হওয়ার আগে তিনি হামলাকারীর ওপর গুলি চালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গেছে।
সন্দেহভাজন হামলাকারী কয়েক ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে শহরটির কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকায় পৌঁছান বলে মনে করা হচ্ছে। বন্দুকধারী শক্তিশালী বন্দুক বহন করা ছাড়াও বর্ম ও হেলমেটে পরে ছিলেন। হামলাকারী শ্বেতাঙ্গ তরুণ পরে অস্ত্র সমর্পণ করলে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মানুষ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, পরে আরও কিছু অভিযোগ যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ইরি কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জন ফ্লিন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হামলার সময় দোকানে কাজ করা শনেল হ্যারিস বাফেলো নিউজকে জানান, পেছনের দরজা দিয়ে ভবন থেকে দৌড়ে পালানোর সময় তিনি ৭০টিরও বেশি গুলির শব্দ শুনেছেন। তিনি জানান, “দোকান পরিপূর্ণ ছিল, এটা উইকেন্ড (সাপ্তাহিক ছুটির আগে)। মনে হচ্ছে যেন দুঃস্বপ্ন,” ।
ওই শ্বেতাঙ্গ যুবক হামলার সময় বর্ণবাদী স্লোগান দিয়েছিল বলে সিবিএসের সঙ্গে কথা বলা এক পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন।
বাফেলোর মেয়র বায়রন ব্রাউন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “কোনো কমিউনিটির জন্য এটা সবচেয়ে বাজে দুঃস্বপ্ন; আমাদের কষ্ট হচ্ছে, হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। এই ঘৃণিত ব্যক্তি আমাদের কমিউনিটিকে বিভক্ত করবে, এমনটা হতে দিতে পারিনা আমরা” ।
নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল বলেছেন, “এটা সামরিক কায়দায় লোকজনকে হত্যা, যেখানে এমন মানুষজনকে টার্গেট করা হয়েছে, যারা কেবল এলাকার দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়েছিল।”
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। “প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি নিহত ও তাদের প্রিয়জনদের জন্য প্রার্থনা করছেন,” বলা হয়েছে তাদের বিবৃতিতে।