সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) ভাই নরেদ্র কুমার সিহনার নামে যে প্লট এবং ফ্ল্যাটের তথ্য পেয়েছে দুদক তা মূলত এসকে সিনহার টাকায় কেনা। সিনহার টাকায় কেনা প্লট এবং ফ্ল্যাটের দলিল করার সময় তা নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামে করা হয়। এর কিছুদিন পর আবার সেগুলোর পাওয়ার অব এটর্নি দেয়া হয় ঘনিষ্ঠ শংখজিৎ সিংহের নামে। প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় তিনি এসব সম্পদ করেছেন। গতকাল অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেপ্তার এসকে সিনহার ভাই নরেন্দ কুমার সিনহাসহ ৩ জনের জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জানতে চাইলে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) বিরুদ্ধে ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের (২০২১) ৭ অক্টোবর মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মধ্যে উত্তরায় বাড়ি এবং রাজউক প্রকল্পে সিনহার টাকায় কেনা ভাইয়ের নামে প্লটের তথ্য পায় দুদক। সেই বাড়ি ও প্লট নিজের নয় বলে দাবি করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে এসকে সিনহার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ৩ জন।
দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার জানান, জবানবন্দির ফলে এসকে সিনহার অবৈধ সম্পদের মামলার তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। উত্তরার বাড়িটি যে এসকে সিনহার সেটি প্রমাণ হিসেবে তদন্তে কাজে আসবে।
জবানবন্দিতে নরেদ্র কুমার সিনহা আদালতে বলেছেন তিনি নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তরে প্রধান লাইট কিপার হিসেবে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কর্মরত থেকে অবসরে যান। এরপর তিনি চট্টগ্রামে ছেলের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চাকরি জীবনে তিনি ১৬ হাজার টাকা বেতনের বাইরে আর কোন আয় ছিল না। তার একমাত্র ছেলে চট্টগ্রামে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করতো। তার ছোট ভাই সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (সাবেক প্রধান বিচারপতি) ২০১১ সালের দিকে তার বাসায় (এসকে সিনহার) ডেকে নিয়ে কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে বলেন। ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় কোন কিছু জিজ্ঞেস না করেই তিনি কাজগপত্রে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। পরে তিনি জানতে পেরেছেন এসকে সিনহা তার নামে (নরেন্দ্র কুমার সিনহা) পূর্বাচলে রাজউক প্রকল্পে প্লট নিয়েছেন। পরে তিনি (এসকে সিনহা) পূর্বাচলের প্লট উত্তরায় স্থানান্তরিত করে টাকাও পরিশোধ করেছেন। এরপর এসকে সিনহা তাকে ফোন করে ঢাকায় আসতে বলেন। ঢাকায় আসার পর তাকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর তিনি সংখ্যজিত সিংহকে দেখতে পান। একটি কাগজে তিনি এবং শংখজিৎ সিংহ মিলে স্বাক্ষর করেন। পরে তিনি জানতে পারেন উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ১/ এ নম্বর প্লটটির পাওয়ার অব এটর্নি শংখজিৎ সিংহের নামে দেয়া হয়। উত্তরার ওই প্লটটি কীভাবে কবে আবেদন করা হয়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তার নামে ও শংখজিৎ সিংহের নামে উত্তরার শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে যে ঋণ নেয়া হয়েছে সেই বিষয়েও তিনি কিছুই জানেন না। আমার ভাই আমাকে ফোন করে ঢাকায় আসতে বলে। পরে আমি ঢাকায় আসলে আমাকে বলে ব্যাংকে সবকিছু তৈরি আছে শুধু কিছু কাগজপত্র আর স্বাক্ষর করলেই হবে। পরে জানতে পারি আমার ও শংখজিৎ সিংহের নামে ঋণ নেয়া হয়েছে। ওই ঋণের টাকা দিয়ে উত্তরার প্লটে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়ি নির্মাণের সব টাকাই এসকে সিনহা পরিশোধ করেছেন। তার ট্যাক্স ফাইলে উত্তরার বাড়ির কথা উল্লেখ ছিল না।
জবানবন্দিতে নরেন্দ্র কুমার সিনহা আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় আমার ভাই ওই প্লট ও বাড়ি নিজের নামে নেয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে ভেবে আমার নামে নিয়েছে। আমার এক মেয়ে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক আরেক মেয়ে সহকারী জজ। আমার বাড়তি কোন আয় নেই।
জবানবন্দিতে শংখজিৎ সিংহ বলেছেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার বাবার ফুফাত ভাই। জবানবন্দিতে তিনি ২০১৫ সালে চাকরির জন্য এসকে সিনহার সঙ্গে দেখা করেন। সেই সুবাদে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা। এরপর উত্তরার বাড়ির নির্মাণ কাজের দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়। তিনি এসকে সিনহার স্ত্রী সুষমা সিনহার কাছ থেকে বাড়ি নির্মাণের জন্য লেবারসহ বিভিন্ন খরচের টাকা নিতেন। বাড়িটি নির্মাণে ৭ কোটি টাকা ব্যয় হয় যা তিনি এসকে সিনহার স্ত্রী সুষমা সিনহার কাছ থেকে নিয়েছেন।
এসকে সিনহার স্ত্রী তাকে বলেন, নরেন্দ্র কুমার সিনহার বয়স হয়েছে, তিনি চট্টগ্রামে থাকেন। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসা যাওয়া কষ্টকর হওয়ায় উত্তরার বাড়িটির পাওয়ার অব এটর্নি তাকে দেয়া হবে। বাড়িটি নির্মাণে ঋণ তার নামে নেয়া হবে। তিনি সরল বিশ্বাসে স্বাক্ষর করেছেন। ২০০৮ সালে ঋণের ৭৮ লাখ টাকা অন্য একটি ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই একাউন্টটি ছিল তার নামে। তিনি ওই টাকা খরচ বা উত্তোলন করেননি। টাকাটা এখনও তার একাউন্টেই আছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, দেশে ছাড়াও এসকে সিনহার আমেরিকায় ৩ তলা আলিশান বাড়ির সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বিদেশে অর্থ পাচারের প্রমাণ খুঁজতে কয়েকটি দেশে সম্পদের তথ্য চেয়ে দুদক থেকে পাঠানো চিঠি থেকে এ বাড়ির সন্ধান পায় দুদক। ইতোমধ্যে বাড়ি কেনার নথিপত্র সংগ্রহ করেছে দুদক। এ ঘটনায় এসকে সিনহার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলার করতে যাচ্ছে দুদক।
এর আগে দুদক ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের ঘটনায় ২০১৯ সালে এসকে সিনহাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদ- দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে ঋণ জালিয়াতির মামলায় চার বছর এবং অর্থ পাচারের মামলায় ৭ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) ভাই নরেদ্র কুমার সিহনার নামে যে প্লট এবং ফ্ল্যাটের তথ্য পেয়েছে দুদক তা মূলত এসকে সিনহার টাকায় কেনা। সিনহার টাকায় কেনা প্লট এবং ফ্ল্যাটের দলিল করার সময় তা নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামে করা হয়। এর কিছুদিন পর আবার সেগুলোর পাওয়ার অব এটর্নি দেয়া হয় ঘনিষ্ঠ শংখজিৎ সিংহের নামে। প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় তিনি এসব সম্পদ করেছেন। গতকাল অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেপ্তার এসকে সিনহার ভাই নরেন্দ কুমার সিনহাসহ ৩ জনের জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জানতে চাইলে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) বিরুদ্ধে ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের (২০২১) ৭ অক্টোবর মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মধ্যে উত্তরায় বাড়ি এবং রাজউক প্রকল্পে সিনহার টাকায় কেনা ভাইয়ের নামে প্লটের তথ্য পায় দুদক। সেই বাড়ি ও প্লট নিজের নয় বলে দাবি করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে এসকে সিনহার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ৩ জন।
দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার জানান, জবানবন্দির ফলে এসকে সিনহার অবৈধ সম্পদের মামলার তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। উত্তরার বাড়িটি যে এসকে সিনহার সেটি প্রমাণ হিসেবে তদন্তে কাজে আসবে।
জবানবন্দিতে নরেদ্র কুমার সিনহা আদালতে বলেছেন তিনি নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তরে প্রধান লাইট কিপার হিসেবে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কর্মরত থেকে অবসরে যান। এরপর তিনি চট্টগ্রামে ছেলের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চাকরি জীবনে তিনি ১৬ হাজার টাকা বেতনের বাইরে আর কোন আয় ছিল না। তার একমাত্র ছেলে চট্টগ্রামে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করতো। তার ছোট ভাই সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (সাবেক প্রধান বিচারপতি) ২০১১ সালের দিকে তার বাসায় (এসকে সিনহার) ডেকে নিয়ে কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে বলেন। ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় কোন কিছু জিজ্ঞেস না করেই তিনি কাজগপত্রে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। পরে তিনি জানতে পেরেছেন এসকে সিনহা তার নামে (নরেন্দ্র কুমার সিনহা) পূর্বাচলে রাজউক প্রকল্পে প্লট নিয়েছেন। পরে তিনি (এসকে সিনহা) পূর্বাচলের প্লট উত্তরায় স্থানান্তরিত করে টাকাও পরিশোধ করেছেন। এরপর এসকে সিনহা তাকে ফোন করে ঢাকায় আসতে বলেন। ঢাকায় আসার পর তাকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর তিনি সংখ্যজিত সিংহকে দেখতে পান। একটি কাগজে তিনি এবং শংখজিৎ সিংহ মিলে স্বাক্ষর করেন। পরে তিনি জানতে পারেন উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ১/ এ নম্বর প্লটটির পাওয়ার অব এটর্নি শংখজিৎ সিংহের নামে দেয়া হয়। উত্তরার ওই প্লটটি কীভাবে কবে আবেদন করা হয়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তার নামে ও শংখজিৎ সিংহের নামে উত্তরার শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে যে ঋণ নেয়া হয়েছে সেই বিষয়েও তিনি কিছুই জানেন না। আমার ভাই আমাকে ফোন করে ঢাকায় আসতে বলে। পরে আমি ঢাকায় আসলে আমাকে বলে ব্যাংকে সবকিছু তৈরি আছে শুধু কিছু কাগজপত্র আর স্বাক্ষর করলেই হবে। পরে জানতে পারি আমার ও শংখজিৎ সিংহের নামে ঋণ নেয়া হয়েছে। ওই ঋণের টাকা দিয়ে উত্তরার প্লটে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়ি নির্মাণের সব টাকাই এসকে সিনহা পরিশোধ করেছেন। তার ট্যাক্স ফাইলে উত্তরার বাড়ির কথা উল্লেখ ছিল না।
জবানবন্দিতে নরেন্দ্র কুমার সিনহা আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় আমার ভাই ওই প্লট ও বাড়ি নিজের নামে নেয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে ভেবে আমার নামে নিয়েছে। আমার এক মেয়ে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক আরেক মেয়ে সহকারী জজ। আমার বাড়তি কোন আয় নেই।
জবানবন্দিতে শংখজিৎ সিংহ বলেছেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার বাবার ফুফাত ভাই। জবানবন্দিতে তিনি ২০১৫ সালে চাকরির জন্য এসকে সিনহার সঙ্গে দেখা করেন। সেই সুবাদে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা। এরপর উত্তরার বাড়ির নির্মাণ কাজের দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়। তিনি এসকে সিনহার স্ত্রী সুষমা সিনহার কাছ থেকে বাড়ি নির্মাণের জন্য লেবারসহ বিভিন্ন খরচের টাকা নিতেন। বাড়িটি নির্মাণে ৭ কোটি টাকা ব্যয় হয় যা তিনি এসকে সিনহার স্ত্রী সুষমা সিনহার কাছ থেকে নিয়েছেন।
এসকে সিনহার স্ত্রী তাকে বলেন, নরেন্দ্র কুমার সিনহার বয়স হয়েছে, তিনি চট্টগ্রামে থাকেন। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসা যাওয়া কষ্টকর হওয়ায় উত্তরার বাড়িটির পাওয়ার অব এটর্নি তাকে দেয়া হবে। বাড়িটি নির্মাণে ঋণ তার নামে নেয়া হবে। তিনি সরল বিশ্বাসে স্বাক্ষর করেছেন। ২০০৮ সালে ঋণের ৭৮ লাখ টাকা অন্য একটি ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই একাউন্টটি ছিল তার নামে। তিনি ওই টাকা খরচ বা উত্তোলন করেননি। টাকাটা এখনও তার একাউন্টেই আছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, দেশে ছাড়াও এসকে সিনহার আমেরিকায় ৩ তলা আলিশান বাড়ির সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বিদেশে অর্থ পাচারের প্রমাণ খুঁজতে কয়েকটি দেশে সম্পদের তথ্য চেয়ে দুদক থেকে পাঠানো চিঠি থেকে এ বাড়ির সন্ধান পায় দুদক। ইতোমধ্যে বাড়ি কেনার নথিপত্র সংগ্রহ করেছে দুদক। এ ঘটনায় এসকে সিনহার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলার করতে যাচ্ছে দুদক।
এর আগে দুদক ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের ঘটনায় ২০১৯ সালে এসকে সিনহাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদ- দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে ঋণ জালিয়াতির মামলায় চার বছর এবং অর্থ পাচারের মামলায় ৭ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে।