কুমিল্লা সিটি নির্বাচন
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হত্যা, অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, প্রতারণা ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধসহ নানা অভিযোগে ১১৭টি মামলা রয়েছে সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের ১২ প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে জামায়াত ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৪ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১০৩টি এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তসহ ৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সম্প্রতি দাখিল করা হলফনামায় এসব মামলার তথ্য উল্লেখ করেছেন। তবে এসব বিষয় বিবেচনাসহ প্রার্থীর ইমেজ পর্যালোচনা করে নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।
প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা, সন্ত্রাস দমন ও বিস্ফোরক আইনে ২৭টি মামলা রয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তিনি মহানগর জামায়াতের সদস্য এবং টানা দুই মেয়াদে সিটির ওই ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন। মামলায় পরবর্তী অবস্থানে রয়েছেন স্থানীয় যুবদল নেতা সিটির ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. বিল্লাল।
তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনসহ নানা অভিযোগে ২৬টি মামলা রয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও মহানগর জামায়াতের সদস্য মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২৫টি মামলা রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জামায়াত নেতা একরাম হোসেনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ২৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়া সিটির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সরকার মাহমুদ জাবেদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা রয়েছে।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ের পথে থাকা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ রায়হান আহমেদের বিরুদ্ধে একটি মামলা আছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিএনপি নেতা শাখাওয়াত উল্লাহ শিপনের বিরুদ্ধে মারামারির একটি মামলা এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাইফুল-বিন জলিলের বিরুদ্ধে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও একটি হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা আছে। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা আছে। তিনি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন এবং মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান মজুমদারের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪টিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি সিটি দক্ষিণ এলাকার সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের সভাপতি। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে ২টি হত্যা মামলা আছে। তিনি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. আবুল হাসানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে, তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
নগরীর ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সর্বোচ্চসংখ্যক মামলায় অভিযুক্ত কাজী গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সবগুলোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। আদালতে মামলার হাজিরা দিতে দিতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এরপরও তিনি এলাকাবাসীর পাশে ছিলেন, আছেন। ওয়ার্ডবাসী এ নির্বাচনেও তাকে বেছে নেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। অন্য প্রার্থীরাও তাদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার তথ্য নিজেরাই হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। তথ্যগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। প্রার্থীরা হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ জুন এ সিটির মেয়র, ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের ৩টি পদে ইভিএমে শতভাগ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন
সোমবার, ২৩ মে ২০২২
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হত্যা, অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, প্রতারণা ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধসহ নানা অভিযোগে ১১৭টি মামলা রয়েছে সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের ১২ প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে জামায়াত ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৪ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১০৩টি এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তসহ ৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সম্প্রতি দাখিল করা হলফনামায় এসব মামলার তথ্য উল্লেখ করেছেন। তবে এসব বিষয় বিবেচনাসহ প্রার্থীর ইমেজ পর্যালোচনা করে নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।
প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা, সন্ত্রাস দমন ও বিস্ফোরক আইনে ২৭টি মামলা রয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তিনি মহানগর জামায়াতের সদস্য এবং টানা দুই মেয়াদে সিটির ওই ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন। মামলায় পরবর্তী অবস্থানে রয়েছেন স্থানীয় যুবদল নেতা সিটির ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. বিল্লাল।
তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনসহ নানা অভিযোগে ২৬টি মামলা রয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও মহানগর জামায়াতের সদস্য মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২৫টি মামলা রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জামায়াত নেতা একরাম হোসেনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ২৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়া সিটির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সরকার মাহমুদ জাবেদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা রয়েছে।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ের পথে থাকা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ রায়হান আহমেদের বিরুদ্ধে একটি মামলা আছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিএনপি নেতা শাখাওয়াত উল্লাহ শিপনের বিরুদ্ধে মারামারির একটি মামলা এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাইফুল-বিন জলিলের বিরুদ্ধে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও একটি হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা আছে। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা আছে। তিনি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন এবং মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান মজুমদারের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪টিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি সিটি দক্ষিণ এলাকার সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের সভাপতি। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে ২টি হত্যা মামলা আছে। তিনি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. আবুল হাসানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে, তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
নগরীর ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সর্বোচ্চসংখ্যক মামলায় অভিযুক্ত কাজী গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সবগুলোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। আদালতে মামলার হাজিরা দিতে দিতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এরপরও তিনি এলাকাবাসীর পাশে ছিলেন, আছেন। ওয়ার্ডবাসী এ নির্বাচনেও তাকে বেছে নেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। অন্য প্রার্থীরাও তাদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার তথ্য নিজেরাই হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। তথ্যগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। প্রার্থীরা হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ জুন এ সিটির মেয়র, ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের ৩টি পদে ইভিএমে শতভাগ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।