নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে র্যাবের হাতে দুটি কন্টেইনারে ৩৬ হাজার ৮১৭ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধারের চোরাচালানের ‘হোতা’ হিসেবে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামকে চিহ্নিত করে র্যাব।
এ ঘটনার পর আজিজুল ও তার ছেলে মিজানুর রহমান আশিক দুবাই ‘পালিয়ে’ যান বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়। বিমানবন্দর থেকে আরেক ছেলে আব্দুল আহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন।
এর মধ্যেই আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আজিজুল এবং তার ছেলে আশিক হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
এরপর সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালায়, আজিজুল ও তার ছেলেকে হাই কোর্ট জামিন দিয়েছে, যদিও তা সঠিক নয়।
এ বিষয়ে আজিজুল ইসলামের আইনজীবী মো. সালেকুজ্জামান বলেন, তারা আগাম জামিনের আবেদন করেন, আদালত শুনানি নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে তাদেরকে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে গ্রেপ্তার না করা হয় সেই আদেশ দিয়েছে আদালত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টার দিকে আজিজুল ইসলাম মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে শ্রীনগর হয়ে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদে যান। গলায় ফুলের মালা পরে তিনি হুডখোলা গাড়িতে করে জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। শ্রীনগর থেকে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসে বক্তব্য দেন আজিজুল। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে নিজের বাড়ি ‘মায়ের স্বপ্ন গোল্ডেন গার্ডেন’-এ যান। সেখানেও তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
মদকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে আজিজুল বলেন, তিনি ওই মদের চালান আনেননি। তিনি ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ শিকার।
তাহলে বিদেশে পালিয়ে গেলেন কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, “ব্যবসায়িক কাজে দুবাই গিয়েছিলাম।”
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আসা দুইটি কাভার্ডভ্যান নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আটক করে র্যাব। এসময় সেখান থেকে আজিজুল ইসলামের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়।
পরে ঢাকা বিমানবন্দর এলাকা থেকে আটক করা হয় আজিজুল ইসলামের ছেলে আহাদকে। আজিজুল ইসলামের ঢাকার বাড়ি থেকে র্যাব উদ্ধার করে কোটি টাকা মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা।
পরদিন র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে পুরো অভিযানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এই ঘটনায় র্যাব আজিজুল ইসলাম, তার দুই ছেলে ও কর্মচারীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করে।
শুক্রবার, ০৫ আগস্ট ২০২২
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে র্যাবের হাতে দুটি কন্টেইনারে ৩৬ হাজার ৮১৭ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধারের চোরাচালানের ‘হোতা’ হিসেবে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামকে চিহ্নিত করে র্যাব।
এ ঘটনার পর আজিজুল ও তার ছেলে মিজানুর রহমান আশিক দুবাই ‘পালিয়ে’ যান বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়। বিমানবন্দর থেকে আরেক ছেলে আব্দুল আহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন।
এর মধ্যেই আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আজিজুল এবং তার ছেলে আশিক হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
এরপর সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালায়, আজিজুল ও তার ছেলেকে হাই কোর্ট জামিন দিয়েছে, যদিও তা সঠিক নয়।
এ বিষয়ে আজিজুল ইসলামের আইনজীবী মো. সালেকুজ্জামান বলেন, তারা আগাম জামিনের আবেদন করেন, আদালত শুনানি নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে তাদেরকে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে গ্রেপ্তার না করা হয় সেই আদেশ দিয়েছে আদালত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টার দিকে আজিজুল ইসলাম মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে শ্রীনগর হয়ে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদে যান। গলায় ফুলের মালা পরে তিনি হুডখোলা গাড়িতে করে জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। শ্রীনগর থেকে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসে বক্তব্য দেন আজিজুল। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে নিজের বাড়ি ‘মায়ের স্বপ্ন গোল্ডেন গার্ডেন’-এ যান। সেখানেও তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
মদকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে আজিজুল বলেন, তিনি ওই মদের চালান আনেননি। তিনি ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ শিকার।
তাহলে বিদেশে পালিয়ে গেলেন কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, “ব্যবসায়িক কাজে দুবাই গিয়েছিলাম।”
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আসা দুইটি কাভার্ডভ্যান নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আটক করে র্যাব। এসময় সেখান থেকে আজিজুল ইসলামের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়।
পরে ঢাকা বিমানবন্দর এলাকা থেকে আটক করা হয় আজিজুল ইসলামের ছেলে আহাদকে। আজিজুল ইসলামের ঢাকার বাড়ি থেকে র্যাব উদ্ধার করে কোটি টাকা মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা।
পরদিন র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে পুরো অভিযানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এই ঘটনায় র্যাব আজিজুল ইসলাম, তার দুই ছেলে ও কর্মচারীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করে।