অর্থ আত্মসাত মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। এর মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো।
রোববার (১৪ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্য দেন ফরিদ আহমেদ। এদিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে ১২ জুন বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এ মামলা করেন। মামলায় হাসপাতালের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় আবুল কালাম আজাদকে সরাসরি আসামি করা না হলেও তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তাকে অন্তর্ভুক্ত হয়।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ও মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদনসহ জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন করোনা রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন।
আরো জানা যায়, ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রতি রোগীর কাছ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়।
অভিযোগ ওঠে, আসামিদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর, উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসাবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরা হয়। পরে এ চাহিদাপত্রের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।
রোববার, ১৪ আগস্ট ২০২২
অর্থ আত্মসাত মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। এর মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো।
রোববার (১৪ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্য দেন ফরিদ আহমেদ। এদিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে ১২ জুন বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এ মামলা করেন। মামলায় হাসপাতালের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় আবুল কালাম আজাদকে সরাসরি আসামি করা না হলেও তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তাকে অন্তর্ভুক্ত হয়।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ও মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদনসহ জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন করোনা রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন।
আরো জানা যায়, ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রতি রোগীর কাছ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়।
অভিযোগ ওঠে, আসামিদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর, উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসাবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরা হয়। পরে এ চাহিদাপত্রের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।