রংপুরের কাউনিয়ায় স্কুলছাত্রী হত্যা
আদালতে প্রেমিকের স্বীকারোক্তি
রংপুরের কাউনিয়ায় স্কুলছাত্রী সানজিদা খানম ইভা হত্যার রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার কথিত প্রেমিক নাহিদুল ইসলাম ওরফে সায়েম গতকাল বুধবার গভীর রাতে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে রংপুরের কাউনিয়ার আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হেনার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি প্রদান শেষে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ওসি মুনতাসির বিল্লাহ।
এর আগে ইভা হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে সানজিদার ব্যাগে পাওয়া একটি খাতা ও মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডসহ বিভিন্ন আলামতের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে পুলিশ প্রেপ্তার করে সানজিদার কথিত প্রেমিক রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ থানার তালুক উপাশু গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য মো. নূর হোসেনের ছেলে মো. নাহিদুল ইসলাম ওরফে সায়েমকে (১৯)। সে গত বছর রংপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। বুধবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করার পর থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে অকপটে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তার সহযোগীদের নাম জানায়। কিন্তু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বারবার গড়ি-মসি করায় অবশেষে বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি প্রদান করে বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ জানায় আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নিহত স্কুলছাত্রী ইভার প্রেমিক নাহিদলু ইসলাম ওরফে সায়েম জানায় ইভার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন, একাধিক ছেলের সঙ্গে প্রেম করে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর আবারো আর একজনের সঙ্গে প্রেম করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ সেসহ তিন সাবেক প্রেমিক ইভাকে হত্যা করেছে।
জবানবন্দিতে সায়েম জানায় ইভা হত্যাকা-ে অংশ নেয় সেসহ ইভার কথিত তিন প্রেমিক, সায়েম জানায় ইভার সঙ্গে তিন বছর আগে তার পরিচয় ও সম্পর্ক হয়। কিছুদিন আগে তাদের সম্পর্ক ভেঙে গেলেও যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। এরই মাঝে ঘটনার দিন মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) আনুমানিক বেলা আড়াইটার দিকে পরিকল্পনা অনুযায়ী সায়েম ইভাকে নিয়ে রংপুর নগরীর শাপলা সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যায়। সেখানে সানজিদার নতুন প্রেম নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক হলে ইভা সেখান থেকে চলে যায়। পরে সায়েম ইভার সাবেক আরও দুই প্রেমিকের সাহায্যে কৌশলে ইভাকে মাহিগঞ্জে রেখে পরে সেখানে আবার মিলিত হয়। তারপর তারা পীরগাছা আলীবাবা থিম পার্কে ঘুরতে যায় কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় ইভা বাসায় ফিরে আসার জন্য চাপ দেয়। এরপর তারা মধুপুর কুটিরপাড় রোডের একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে ইভার একাধিক প্রেম নিয়ে কথা তোলে এবং তারা তিনজন মিলে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ইভাকে হত্যা করে। এরপর তারা সেখান থেকে সরে পড়ে।
রংপুরের কাউনিয়ায় স্কুলছাত্রী হত্যা
আদালতে প্রেমিকের স্বীকারোক্তি
বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২
রংপুরের কাউনিয়ায় স্কুলছাত্রী সানজিদা খানম ইভা হত্যার রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার কথিত প্রেমিক নাহিদুল ইসলাম ওরফে সায়েম গতকাল বুধবার গভীর রাতে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে রংপুরের কাউনিয়ার আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হেনার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি প্রদান শেষে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ওসি মুনতাসির বিল্লাহ।
এর আগে ইভা হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে সানজিদার ব্যাগে পাওয়া একটি খাতা ও মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডসহ বিভিন্ন আলামতের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে পুলিশ প্রেপ্তার করে সানজিদার কথিত প্রেমিক রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ থানার তালুক উপাশু গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য মো. নূর হোসেনের ছেলে মো. নাহিদুল ইসলাম ওরফে সায়েমকে (১৯)। সে গত বছর রংপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। বুধবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করার পর থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে অকপটে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তার সহযোগীদের নাম জানায়। কিন্তু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বারবার গড়ি-মসি করায় অবশেষে বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি প্রদান করে বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ জানায় আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নিহত স্কুলছাত্রী ইভার প্রেমিক নাহিদলু ইসলাম ওরফে সায়েম জানায় ইভার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন, একাধিক ছেলের সঙ্গে প্রেম করে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর আবারো আর একজনের সঙ্গে প্রেম করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ সেসহ তিন সাবেক প্রেমিক ইভাকে হত্যা করেছে।
জবানবন্দিতে সায়েম জানায় ইভা হত্যাকা-ে অংশ নেয় সেসহ ইভার কথিত তিন প্রেমিক, সায়েম জানায় ইভার সঙ্গে তিন বছর আগে তার পরিচয় ও সম্পর্ক হয়। কিছুদিন আগে তাদের সম্পর্ক ভেঙে গেলেও যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। এরই মাঝে ঘটনার দিন মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) আনুমানিক বেলা আড়াইটার দিকে পরিকল্পনা অনুযায়ী সায়েম ইভাকে নিয়ে রংপুর নগরীর শাপলা সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যায়। সেখানে সানজিদার নতুন প্রেম নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক হলে ইভা সেখান থেকে চলে যায়। পরে সায়েম ইভার সাবেক আরও দুই প্রেমিকের সাহায্যে কৌশলে ইভাকে মাহিগঞ্জে রেখে পরে সেখানে আবার মিলিত হয়। তারপর তারা পীরগাছা আলীবাবা থিম পার্কে ঘুরতে যায় কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় ইভা বাসায় ফিরে আসার জন্য চাপ দেয়। এরপর তারা মধুপুর কুটিরপাড় রোডের একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে ইভার একাধিক প্রেম নিয়ে কথা তোলে এবং তারা তিনজন মিলে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ইভাকে হত্যা করে। এরপর তারা সেখান থেকে সরে পড়ে।