বড় চ্যালেঞ্জ হবে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা
অবশেষে দেড় বছরেরও বেশী সময় পর দেশের শীর্ষ স্থানীয় বীমা কোম্পানী ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব নিবেন। এর ফলে ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডে প্রশাসক নিয়োগের অবসান হবে। ডেল্টা লাইফের উর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এসএম শাকিল আখতারের সাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এ প্রশাসক নিয়োগের অবসান এবং পূনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের নিকট কোম্পানীর পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়ে।
নির্দেশ ক্রমে জানানো যাচ্ছে, গত ২২ আগস্ট আপীল বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড সম্পর্কিত আদেশের প্রেক্ষিতে বীমা আইন অনুযায়ী ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের প্রশাসক মোঃ কুদ্দুস খানকে প্রশাসকের পদ থেকে অব্যহতি প্রদান পূর্বক প্রশাসক নিয়োগের অবসান করা হলো। যা মঙ্গলবার থেকে থেকে কার্যকর হবে।
তাই ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর প্রশাসক হিসেবে কার্যক্রম পূণর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের কাছে হস্তান্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আদেশের কপি বর্তমান প্রশাসক মোঃ কুদ্দুস খান ও ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডকে দেয়া হয়েছে। আদেশের অনুলিপি অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। ইন্সুরেন্স এসোসিয়েশনের সভাপতি, ইন্সুরেন্স ফোরামের সভাপতি, অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সের একাধিক উর্ধ্বতন সূত্রে জানা গেছে, গেল দেড় বছরের প্রশাসক আমলে দাপটশালী কোন কোন কর্মকর্তা কোম্পানীর সার্ভিস রুল ভঙ্গ, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম করেছেন। আইন শৃংখলা বাহিনীর তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। আবার তারাই কোম্পানীর মালিক ও প্রতিষ্ঠানের সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানী মূলক মামলা করেছে। চ্যালেঞ্জ হবে বিশৃঙ্খলা
বীমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পূনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দেড় বছরেরও বেশী সময় সৃষ্ট প্রশাসনিক ও আর্থিক বিশৃঙ্খলা কেটে উঠে আবার প্রতিষ্ঠানটিকে চাঙ্গা করা। আর প্রতিষ্ঠানে ঘাপটি মেরে থাকা বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকা মাওলার মত দূনীতিবাজদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া।
অভিযোগ রয়েছে, মালিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনের মামলায় যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছে। তাদের অনেকেই এখনো কর্মস্থলে রয়েছে। যারা অনেকেই ডিএমডি মাওলার অনুসারী।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হলেন, হাফিজ আহমেদ মজুমদার, যিনি কোম্পানীর নিরপেক্ষ পরিচালক। ভাইস-চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ মোঃ জুনায়েদ শফিক, পরিচালক সুরাইয়া রহমান, পরিচালক আদিবা রহমান (যিনি কোম্পানীর সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা), পরিচালক জেয়াদ রহমান (তিনি পূর্বের পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন)। নিরপেক্ষ পরিচালক সাকিব আজিজ চৌধুরী, পরিচালক চাকলাদার রেজানুল আলম ও পরিচালক সাকিব আজাদ।
এ দিকে প্রশাসকের অবসান ও পূনর্গঠিত পরিচালনা পরিষদকে দায়িত্ব দেয়ায় বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। পূর্নগঠিত পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য। প্রশাসকের অবসান হওয়ায় সোমবার বিকেলে সারা দেশে ডেল্টা লাইফের বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা খুশি। আর মাওলা বাহিনীর দাপটে যারা ছিল টটস্থ। তাদের মধ্যে ফিরেছে স্বত্বি।
উল্লেখ্য, আইডিআরএর সাবেক চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি করার অভিযোগ করেন ডেল্টা লাইফ। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর ডেল্টা লাইফ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির এ অভিযোগ করেছিল। ২০২১ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি একটি সংবাদ সম্মেলন করেও একই অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানীতে প্রশাসক নিয়োগ দেয় ওই সময়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত আইডিআরএ চেয়ারম্যান। এ নিয়ে দৈনিক সংবাদসহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় আইডিআরএর ওই সময়ের চেয়ারম্যান ডঃ মোশাররফ হোসেন অনিয়ম নিয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। অবশেষে নানা কেলেংকারিতে ফেঁসে গিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
বড় চ্যালেঞ্জ হবে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা
সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
অবশেষে দেড় বছরেরও বেশী সময় পর দেশের শীর্ষ স্থানীয় বীমা কোম্পানী ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব নিবেন। এর ফলে ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডে প্রশাসক নিয়োগের অবসান হবে। ডেল্টা লাইফের উর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এসএম শাকিল আখতারের সাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এ প্রশাসক নিয়োগের অবসান এবং পূনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের নিকট কোম্পানীর পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়ে।
নির্দেশ ক্রমে জানানো যাচ্ছে, গত ২২ আগস্ট আপীল বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড সম্পর্কিত আদেশের প্রেক্ষিতে বীমা আইন অনুযায়ী ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের প্রশাসক মোঃ কুদ্দুস খানকে প্রশাসকের পদ থেকে অব্যহতি প্রদান পূর্বক প্রশাসক নিয়োগের অবসান করা হলো। যা মঙ্গলবার থেকে থেকে কার্যকর হবে।
তাই ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর প্রশাসক হিসেবে কার্যক্রম পূণর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের কাছে হস্তান্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আদেশের কপি বর্তমান প্রশাসক মোঃ কুদ্দুস খান ও ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডকে দেয়া হয়েছে। আদেশের অনুলিপি অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। ইন্সুরেন্স এসোসিয়েশনের সভাপতি, ইন্সুরেন্স ফোরামের সভাপতি, অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সের একাধিক উর্ধ্বতন সূত্রে জানা গেছে, গেল দেড় বছরের প্রশাসক আমলে দাপটশালী কোন কোন কর্মকর্তা কোম্পানীর সার্ভিস রুল ভঙ্গ, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম করেছেন। আইন শৃংখলা বাহিনীর তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। আবার তারাই কোম্পানীর মালিক ও প্রতিষ্ঠানের সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানী মূলক মামলা করেছে। চ্যালেঞ্জ হবে বিশৃঙ্খলা
বীমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পূনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দেড় বছরেরও বেশী সময় সৃষ্ট প্রশাসনিক ও আর্থিক বিশৃঙ্খলা কেটে উঠে আবার প্রতিষ্ঠানটিকে চাঙ্গা করা। আর প্রতিষ্ঠানে ঘাপটি মেরে থাকা বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকা মাওলার মত দূনীতিবাজদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া।
অভিযোগ রয়েছে, মালিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনের মামলায় যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছে। তাদের অনেকেই এখনো কর্মস্থলে রয়েছে। যারা অনেকেই ডিএমডি মাওলার অনুসারী।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হলেন, হাফিজ আহমেদ মজুমদার, যিনি কোম্পানীর নিরপেক্ষ পরিচালক। ভাইস-চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ মোঃ জুনায়েদ শফিক, পরিচালক সুরাইয়া রহমান, পরিচালক আদিবা রহমান (যিনি কোম্পানীর সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা), পরিচালক জেয়াদ রহমান (তিনি পূর্বের পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন)। নিরপেক্ষ পরিচালক সাকিব আজিজ চৌধুরী, পরিচালক চাকলাদার রেজানুল আলম ও পরিচালক সাকিব আজাদ।
এ দিকে প্রশাসকের অবসান ও পূনর্গঠিত পরিচালনা পরিষদকে দায়িত্ব দেয়ায় বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। পূর্নগঠিত পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য। প্রশাসকের অবসান হওয়ায় সোমবার বিকেলে সারা দেশে ডেল্টা লাইফের বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা খুশি। আর মাওলা বাহিনীর দাপটে যারা ছিল টটস্থ। তাদের মধ্যে ফিরেছে স্বত্বি।
উল্লেখ্য, আইডিআরএর সাবেক চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি করার অভিযোগ করেন ডেল্টা লাইফ। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর ডেল্টা লাইফ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির এ অভিযোগ করেছিল। ২০২১ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি একটি সংবাদ সম্মেলন করেও একই অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানীতে প্রশাসক নিয়োগ দেয় ওই সময়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত আইডিআরএ চেয়ারম্যান। এ নিয়ে দৈনিক সংবাদসহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় আইডিআরএর ওই সময়ের চেয়ারম্যান ডঃ মোশাররফ হোসেন অনিয়ম নিয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। অবশেষে নানা কেলেংকারিতে ফেঁসে গিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।