alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

‘ঘুষ’ নিয়ে হয়রানির অভিযোগ

সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

সমিতির সদস্য পদ দেয়ার নামে এক সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপাতির কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন থানা মিরপুরের সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত ১৪ মে ১ নং মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আলমাস হোসেন তুহিন বাদী হয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) এ মামলা করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। এর আগে বাদী ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়া ও হয়রানির অভিযোগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিত্বে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রথম দফায় তদন্তে অর্থ আত্মসাৎ করার সত্যতা পেয়ে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়। কিন্ত দ্বিতীয় দফায় তদন্তে ওই কর্মকর্তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

এ বিষয়ে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু ইউসুফ টেলিফোনে সংবাদকে জানান, আদালতে মামলা হওয়ার পর সেটি তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেয়া হলেও শুক্রবার (২৬ মে) পর্যন্ত এ মামলার নথিপত্র আসেনি। নথিপত্র হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করবে পিবিআই।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সমবায়ের মিরপুর মেট্রোপলিটন থানা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের এক আত্মীয় গরিবে নেওয়াজ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিডেটের পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। বাদী নিজেও মুক্তিযুদ্ধা বহুমুখী সমবায় সমিতির আগে সভাপতি ছিলেন বর্তমানে সভাপতির দায়িত্বে আছেন। সেই সুবাধে মিরপুরের বাসিন্দা ও মামলার বাদী জনৈক আলমাস হোসেন তুহিন সমবায় কর্মকর্তা নজরুলের সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে। সখ্যতার সুবাধে গরিবে নেওয়াজ সমবায় সমতিতে সদস্য পদ দেয়ার কথা বলে এক লাখ টাকা ‘ঘুষ’ নেন। পরবর্তীতে আরো ২ লাখ টাকা দাবি করেন। বাদী সেই টাকা না দেয়ায় সমিতির সদস্য পদ না দেয়া হয়নি। সদস্য পদ না পেয়ে ভুক্তভোগী আলমাস হোসেন ‘ঘুষের’ টাকা ফেরত চান সমবায় কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের কাছে। একপর্যায়ে সমবায় কর্মকর্তা নজরুল ‘ঘুষের’ ১ লাখ টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা রেখে ভুক্তভোগী তুহিনকে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের একটি হিসাবের বিপরীতে ৮০ হাজার টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু ভুক্তভোগীয় তুহিন ব্যাংক হিসাবে টাকা চেক জমা দিলে চেকটি বাউন্স হয়। বিষয়টি জানিয়ে ভুক্তভোগী তুহিন সমবায় কর্মকর্তা নজরুলের কাছে পুনরায় টাকা ফেরত চাইলে নজরুল ইসলাম নানাভাবে হয়রানি করেন তুহিনকে। এ বিষয়ে তুহিন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের উপসচিব আইরিন ফারহানা বিষয়টি তদন্ত করেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নজরুলের ঘুষ গ্রহণ ও বাদীসহ মুক্তিযোদ্ধা সমিতির সদস্য আলেকজান্ডার রডিক্স ও ফরিদ আলমসহ কয়েকজনের সহযোগিতায় হয়রানির বিষয়টি প্রমাণ পায়। তদন্ত প্রতিবেদনের তদন্ত কমিটি সমবায় কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সুপারিশ করেন। ওই প্রতিবেদনের আলোকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ শাস্তি প্রদান করা হয়।

ভুক্তভোগী আলমাস হোসেন তুহিনের ভাষ্য, সমবায় কর্মকর্তা নজরুলের কাছ থেকে টাকা ফেরত পেতে তিনি ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন। যার সিআর মামলা নম্বর ১২৪/২৩। এই মামলায় আসামি নজরুল বাদীর কাছে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি ও এক লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করেন। আসামি নজরুল বাদীকে যে চেক দিয়েছে সেটা ডিজঅনার হওয়া ও বাদীর বিরুদ্ধে পর পর ৫টি হয়রানিমূলক তদন্তের অভিযোগ আনেন। বাদীর ভাষ্য, তিনি মিরপুর ১ নং মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতির সভাপতি। পাওনা টাকা ফেরত চাইলে বাদীর বিরুদ্ধে এক বছরে ৫টি তদন্ত করা হয়। বাদীর আশঙ্কা নজরুল ইসলাম মিরপুর মেট্রোপলিটন সমবায় থানার একজন কর্মকর্তা। নজরুল যেকোন সময় বাদী ও তার সমিতির বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেন। বাদী আরও বলেন, আসামি নজরুল ৬-৭ বছর ধরে মিরপুরে কর্মরত। তার যোগসাজশে মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমতিসহ বিভিন্ন সমবায়ের অসাধু চক্র সমিতির অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম টেলিফোনে সংবাদকে জানান, আলমাস হোসেন তুহিনের সঙ্গে আমার কোন সর্ম্পক্য নেই। আর ওনি যে সমিতির নেতা সেই সমিতির সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক্য নেই। সদস্য পদ দেয়ার এখতিয়ার আমার নেই। আমি সরকারি কর্মকর্তা। কাউকে সদস্য পদ দিতে হলে তা সংশ্লিষ্ট সমিতি দিতে পারে। আর আমি যদি ওনাকে চেক দিয়ে থাকি তাহলে ওনি তো এনআই অ্যাক্টে মামলা করবে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীণ। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করি তিনি সামাজিকভাবে আমাকে হেয় করছেন। এছাড়া ওনি মন্ত্রণালয়েও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। কয়েক দফা তদন্ত হলেও তদন্তে আমার বিরুদ্ধে কোন দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। নজরুল ইসলাম বলেন, আলমাস হোসেন তুহিন মূলত দালালি করে। ওনি শুধু আমার বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেননি। আমার ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন।

এদিকে কাগজপত্র থেকে জানা গেছে, ১ নং মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সহ-সভাপতি আলমাস হোসেন তুহিনের অভিযোগের ভিত্তিত্বে সমবায় মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই তদন্ত প্রতিবেদেরন মতামতে সমবায় কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আলমাস হোসেন তুহিনকে ৮০ হাজার টাকার চেক দেয়ার প্রমাণ পায়। তবে হয়রানি বা ২০ হাজার টাকা রেখে দেয়ার দালিলিক কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ প্রতিবেদন পক্ষপাত হওয়ার অভিযোগ তুলে সমবায় কর্মকর্তা সেটি পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন। দ্বিতীয় তদন্তে তদন্ত কমিটি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন প্রমাণ পায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে। প্রথম অভিযোগ তদন্ত করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা। অন্যদিকে প্রথম তদন্তের বিরুদ্ধে বিবাদী অভিযোগের ভিত্তিত্বে সেটি পুনারায় তদন্ত করেন বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক মো. লুৎফর রহমান।

কুমিল্লায় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

২৬৩টি যানবাহন পুড়েছে হরতাল-অবরোধে

মুরগির বাচ্চাবোঝাই কাভার্ডভানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

সাদুল্লাপুরে দুস্থের চাল আত্মসাতের অভিযোগ

ডোমারে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বাগেরহাটে চালককে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

যৌন হয়রানির অভিযোগে যশোরে মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

ছবি

ওসমানী বিমানবন্দরে ৩৪ কেজি স্বর্ণের চালান আটক

মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে রুল

আ’লীগ-জাপার বৈঠক : ‘আসন বণ্টন’ নিয়ে আলোচনা হয়নি, দাবি উভয়পক্ষের

ছবি

দুই দিনে ১৩ গাড়িতে আগুন

হিযবুত তাহরীর’র নেতা তৌহিদ গ্রেফতার

ছবি

কলারোয়ায় মাটিখেকোদের খপ্পরে নিঃশেষ বেত্রবতী নদীর পাড়

ঝিনাইদহে নারীকে ফাঁসাতে গিয়ে দিন মজুরকে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরে সাড়ে পাঁচ কেজি সোনা জব্দ, যাত্রী আটক

ছবি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদিনে ৪ খুন, ১৫ দিনে ৯

ছবি

৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ, নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি পোটনসহ ৫ জনের জামিন

ছবি

২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ বাস-ট্রাকে আগুন

অবরোধ-হরতাল : পরিবহনে আগুন-ভাঙচুর ক্ষতি প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা

ছবি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা আরএসও সংঘাতে ১৫ দিনে ৯ খুন

ছবি

আউটসোর্সিং কর্মচারীতে চলছে দশমিনায় হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিট কাজ

ছবি

গোয়ালন্দে পর্যটন এলাকায় স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

নোয়াখালীতে সাত জুয়াড়ি গ্রেপ্তার

পাকুন্দিয়ায় চেয়ারম্যানের হুমকিতে বাড়িছাড়া প্রবাসীর পরিবার

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে ৪ জনকে হত্যা

ছবি

৭২ হাজার টন সার আত্মসাৎ মামলায় নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটনসহ পাঁচজনের জামিন

ফেইসবুকে ট্যুর প্যাকেজ : বুকিং মানির নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ

সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ি ভাঙচুর, নারীসহ আহত-৪

অধ্যক্ষ নিয়োগের অনিয়ম অভিযোগ তদন্তে মাউশি

বাকেরগঞ্জে একাধিক হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

মুন্সীগঞ্জে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ

২২ মাসে ৭ হাজার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার

গরু চুরি করে পালানোর সময় ট্রাক উল্টে এক চোর নিহত

ছবি

অবরোধে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়লো আরও ৫ গাড়ি

ছবি

গ্রামীণ টেলিকমের লভ্যাংশ নিয়ে চেম্বারে স্থিতাবস্থা

বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

‘ঘুষ’ নিয়ে হয়রানির অভিযোগ

সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

সমিতির সদস্য পদ দেয়ার নামে এক সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপাতির কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন থানা মিরপুরের সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত ১৪ মে ১ নং মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আলমাস হোসেন তুহিন বাদী হয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) এ মামলা করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। এর আগে বাদী ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়া ও হয়রানির অভিযোগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিত্বে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রথম দফায় তদন্তে অর্থ আত্মসাৎ করার সত্যতা পেয়ে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়। কিন্ত দ্বিতীয় দফায় তদন্তে ওই কর্মকর্তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

এ বিষয়ে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু ইউসুফ টেলিফোনে সংবাদকে জানান, আদালতে মামলা হওয়ার পর সেটি তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেয়া হলেও শুক্রবার (২৬ মে) পর্যন্ত এ মামলার নথিপত্র আসেনি। নথিপত্র হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করবে পিবিআই।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সমবায়ের মিরপুর মেট্রোপলিটন থানা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের এক আত্মীয় গরিবে নেওয়াজ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিডেটের পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। বাদী নিজেও মুক্তিযুদ্ধা বহুমুখী সমবায় সমিতির আগে সভাপতি ছিলেন বর্তমানে সভাপতির দায়িত্বে আছেন। সেই সুবাধে মিরপুরের বাসিন্দা ও মামলার বাদী জনৈক আলমাস হোসেন তুহিন সমবায় কর্মকর্তা নজরুলের সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে। সখ্যতার সুবাধে গরিবে নেওয়াজ সমবায় সমতিতে সদস্য পদ দেয়ার কথা বলে এক লাখ টাকা ‘ঘুষ’ নেন। পরবর্তীতে আরো ২ লাখ টাকা দাবি করেন। বাদী সেই টাকা না দেয়ায় সমিতির সদস্য পদ না দেয়া হয়নি। সদস্য পদ না পেয়ে ভুক্তভোগী আলমাস হোসেন ‘ঘুষের’ টাকা ফেরত চান সমবায় কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের কাছে। একপর্যায়ে সমবায় কর্মকর্তা নজরুল ‘ঘুষের’ ১ লাখ টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা রেখে ভুক্তভোগী তুহিনকে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের একটি হিসাবের বিপরীতে ৮০ হাজার টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু ভুক্তভোগীয় তুহিন ব্যাংক হিসাবে টাকা চেক জমা দিলে চেকটি বাউন্স হয়। বিষয়টি জানিয়ে ভুক্তভোগী তুহিন সমবায় কর্মকর্তা নজরুলের কাছে পুনরায় টাকা ফেরত চাইলে নজরুল ইসলাম নানাভাবে হয়রানি করেন তুহিনকে। এ বিষয়ে তুহিন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের উপসচিব আইরিন ফারহানা বিষয়টি তদন্ত করেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নজরুলের ঘুষ গ্রহণ ও বাদীসহ মুক্তিযোদ্ধা সমিতির সদস্য আলেকজান্ডার রডিক্স ও ফরিদ আলমসহ কয়েকজনের সহযোগিতায় হয়রানির বিষয়টি প্রমাণ পায়। তদন্ত প্রতিবেদনের তদন্ত কমিটি সমবায় কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সুপারিশ করেন। ওই প্রতিবেদনের আলোকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ শাস্তি প্রদান করা হয়।

ভুক্তভোগী আলমাস হোসেন তুহিনের ভাষ্য, সমবায় কর্মকর্তা নজরুলের কাছ থেকে টাকা ফেরত পেতে তিনি ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন। যার সিআর মামলা নম্বর ১২৪/২৩। এই মামলায় আসামি নজরুল বাদীর কাছে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি ও এক লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করেন। আসামি নজরুল বাদীকে যে চেক দিয়েছে সেটা ডিজঅনার হওয়া ও বাদীর বিরুদ্ধে পর পর ৫টি হয়রানিমূলক তদন্তের অভিযোগ আনেন। বাদীর ভাষ্য, তিনি মিরপুর ১ নং মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতির সভাপতি। পাওনা টাকা ফেরত চাইলে বাদীর বিরুদ্ধে এক বছরে ৫টি তদন্ত করা হয়। বাদীর আশঙ্কা নজরুল ইসলাম মিরপুর মেট্রোপলিটন সমবায় থানার একজন কর্মকর্তা। নজরুল যেকোন সময় বাদী ও তার সমিতির বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেন। বাদী আরও বলেন, আসামি নজরুল ৬-৭ বছর ধরে মিরপুরে কর্মরত। তার যোগসাজশে মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমতিসহ বিভিন্ন সমবায়ের অসাধু চক্র সমিতির অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম টেলিফোনে সংবাদকে জানান, আলমাস হোসেন তুহিনের সঙ্গে আমার কোন সর্ম্পক্য নেই। আর ওনি যে সমিতির নেতা সেই সমিতির সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক্য নেই। সদস্য পদ দেয়ার এখতিয়ার আমার নেই। আমি সরকারি কর্মকর্তা। কাউকে সদস্য পদ দিতে হলে তা সংশ্লিষ্ট সমিতি দিতে পারে। আর আমি যদি ওনাকে চেক দিয়ে থাকি তাহলে ওনি তো এনআই অ্যাক্টে মামলা করবে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীণ। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করি তিনি সামাজিকভাবে আমাকে হেয় করছেন। এছাড়া ওনি মন্ত্রণালয়েও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। কয়েক দফা তদন্ত হলেও তদন্তে আমার বিরুদ্ধে কোন দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। নজরুল ইসলাম বলেন, আলমাস হোসেন তুহিন মূলত দালালি করে। ওনি শুধু আমার বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেননি। আমার ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন।

এদিকে কাগজপত্র থেকে জানা গেছে, ১ নং মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সহ-সভাপতি আলমাস হোসেন তুহিনের অভিযোগের ভিত্তিত্বে সমবায় মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই তদন্ত প্রতিবেদেরন মতামতে সমবায় কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আলমাস হোসেন তুহিনকে ৮০ হাজার টাকার চেক দেয়ার প্রমাণ পায়। তবে হয়রানি বা ২০ হাজার টাকা রেখে দেয়ার দালিলিক কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ প্রতিবেদন পক্ষপাত হওয়ার অভিযোগ তুলে সমবায় কর্মকর্তা সেটি পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন। দ্বিতীয় তদন্তে তদন্ত কমিটি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন প্রমাণ পায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে। প্রথম অভিযোগ তদন্ত করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা। অন্যদিকে প্রথম তদন্তের বিরুদ্ধে বিবাদী অভিযোগের ভিত্তিত্বে সেটি পুনারায় তদন্ত করেন বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক মো. লুৎফর রহমান।

back to top