ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করে হাজারও গ্রাহক প্রতারিত হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে উঠল বড় অভিযোগ। প্রতিষ্ঠানটি ৭ হাজার গ্রাহকের শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। রোববার (২৮ মে) বিকেলে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তোলা হয়। এতে বক্তব্য দেন আলেশা মার্ট কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সোহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির।
আলেশা মার্টের ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তারা সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা বলেন, আলেশা মার্ট দেশের একটি বৃহত্তর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। এটি আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার এবং ডিরেক্টর সাদিয়া চৌধুরী। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের জানুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে। বিজ্ঞাপন ও নিয়মিত ক্যাম্পেইন আয়োজন করে ওই প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের নজরে আসে।
প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের মে ও জুন মাসে ৩৫ শতাংশ ছাড়ে ই-কমার্স ক্যাম্পেইন আয়োজন করে। আমরা গ্রাহকরা ওই ক্যাম্পেইন থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স নীতিমালা অনুসরণ করেই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য কিনি। নিয়ম অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি করার কথা ছিল এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডেলিভারি কার্যক্রম শুরু করলেও পরবর্তীতে তা অসমাপ্ত থেকে যায়। ফলে আমরা আমাদের ক্রয়কৃত পণ্য বা টাকা বুঝে পাইনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। যাদের ক্রয়কৃত পণ্যমূল্য একশ থেকে দেড়শ কোটি টাকা। অর্থাৎ গ্রাহকদের পাওনা টাকার পরিমাণ প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। সংবাদ সম্মেলনে সাতটি দাবির কথা জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো- ১. বর্তমান ভুক্তভোগী গ্রাহকের প্রকৃত সংখ্যা এবং তাদের মোট পাওনা টাকার পরিমাণ ওর্ডার আইডিসহ চূড়ান্ত লিস্ট আকারে প্রকাশ করতে হবে।
২. ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর থেকে যেভাবে টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছিল ঠিক সেভাবে লিস্ট প্রকাশ করে পুনরায় কার্যক্রম চালু করা হোক। ৩. এম.এস বাইক সপ এর কর্ণধার মেহেদী হাসান মোটরবাইক ডেলিভারি দেয়ার জন্য ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা নিয়ে পরবর্তী সময়ে বাইক ডেলিভারি করেনি। বর্তমানে তিনি দুবাই পলাতক। তাকে প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
৪. আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছি গ্রাহকের টাকা আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়েছেন। পরবর্তী সময় এই টাকা তারা আর ফেরত দেননি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তর আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের কাছ থেকে তথ্য-প্রমাণ নিয়ে এই টাকা সাধারণ গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
৫. আমরা চাচ্ছি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও ডিরেক্টর সাদিয়া চৌধুরীকে আইনের মাধ্যমে অ্যারেস্ট না করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কঠোর নজরদারিতে রেখে গ্রাহকদের পাওনা টাকা দ্রুত ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। ৬. সেই সঙ্গে তারা যেন বিদেশ পালিয়ে না যেতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হোক। ৭. আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনার টাকা ফেরত দেয়ার ইচ্ছা থাকলে সাধারণ গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলুন, কীভাবে টাকা দেবেন তা আমাদের জানান। আমরা সাত হাজার গ্রাহক আপনাকে সহযোগিতা করব।
রোববার, ২৮ মে ২০২৩
ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করে হাজারও গ্রাহক প্রতারিত হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে উঠল বড় অভিযোগ। প্রতিষ্ঠানটি ৭ হাজার গ্রাহকের শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। রোববার (২৮ মে) বিকেলে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তোলা হয়। এতে বক্তব্য দেন আলেশা মার্ট কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সোহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির।
আলেশা মার্টের ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তারা সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা বলেন, আলেশা মার্ট দেশের একটি বৃহত্তর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। এটি আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার এবং ডিরেক্টর সাদিয়া চৌধুরী। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের জানুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে। বিজ্ঞাপন ও নিয়মিত ক্যাম্পেইন আয়োজন করে ওই প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের নজরে আসে।
প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের মে ও জুন মাসে ৩৫ শতাংশ ছাড়ে ই-কমার্স ক্যাম্পেইন আয়োজন করে। আমরা গ্রাহকরা ওই ক্যাম্পেইন থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স নীতিমালা অনুসরণ করেই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য কিনি। নিয়ম অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি করার কথা ছিল এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডেলিভারি কার্যক্রম শুরু করলেও পরবর্তীতে তা অসমাপ্ত থেকে যায়। ফলে আমরা আমাদের ক্রয়কৃত পণ্য বা টাকা বুঝে পাইনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। যাদের ক্রয়কৃত পণ্যমূল্য একশ থেকে দেড়শ কোটি টাকা। অর্থাৎ গ্রাহকদের পাওনা টাকার পরিমাণ প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। সংবাদ সম্মেলনে সাতটি দাবির কথা জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো- ১. বর্তমান ভুক্তভোগী গ্রাহকের প্রকৃত সংখ্যা এবং তাদের মোট পাওনা টাকার পরিমাণ ওর্ডার আইডিসহ চূড়ান্ত লিস্ট আকারে প্রকাশ করতে হবে।
২. ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর থেকে যেভাবে টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছিল ঠিক সেভাবে লিস্ট প্রকাশ করে পুনরায় কার্যক্রম চালু করা হোক। ৩. এম.এস বাইক সপ এর কর্ণধার মেহেদী হাসান মোটরবাইক ডেলিভারি দেয়ার জন্য ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা নিয়ে পরবর্তী সময়ে বাইক ডেলিভারি করেনি। বর্তমানে তিনি দুবাই পলাতক। তাকে প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
৪. আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছি গ্রাহকের টাকা আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়েছেন। পরবর্তী সময় এই টাকা তারা আর ফেরত দেননি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তর আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের কাছ থেকে তথ্য-প্রমাণ নিয়ে এই টাকা সাধারণ গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
৫. আমরা চাচ্ছি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও ডিরেক্টর সাদিয়া চৌধুরীকে আইনের মাধ্যমে অ্যারেস্ট না করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কঠোর নজরদারিতে রেখে গ্রাহকদের পাওনা টাকা দ্রুত ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। ৬. সেই সঙ্গে তারা যেন বিদেশ পালিয়ে না যেতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হোক। ৭. আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনার টাকা ফেরত দেয়ার ইচ্ছা থাকলে সাধারণ গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলুন, কীভাবে টাকা দেবেন তা আমাদের জানান। আমরা সাত হাজার গ্রাহক আপনাকে সহযোগিতা করব।