‘শোষণের বেড়াজালে মানুষের প্রাণ, মুক্তির মিছিলে লড়াইয়ের গান’ এই স্লোগান নিয়ে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’র ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে আজ শনিবার দেশে ও বিদেশে উদীচীর তিন শতাধিক শাখায় আলোচনা, গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটকসহ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’র কেন্দ্রীয় আয়োজনের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন উদীচীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা গোলাম মোহাম্মদ ইদু, প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক ও প্রাবন্ধিক আখতার হুসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ কমিউনিস্ট নেত্রী লীনা চক্রবর্তী, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে গড়ে তোলার কৃতিত্বের অধিকারী মালা রানী সরকার, সংগঠক মোহাম্মদ নওশের আলী, সন্ধ্যা ভৌমিক ও শিক্ষক লতা সমাদ্দার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। প্রথম পর্ব সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান।
উদ্বোধনী আলোচনা পর্বের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পর্বের শুরুতেই উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের শিল্পীদের পরিবেশনায় দুর্নীতিবিরোধী গীতি-কাব্য-নাট্যালেখ্য ‘ধর ধর, চোর চোর’ পরিবেশিত হয়। মাহমুদ সেলিমের রচনা এবং সুরে করা এ গীতি-কাব্য-নাট্যালেখ্যটি নির্দেশনা দিয়েছেন অমিত রঞ্জন দে।
গীতি-কাব্য-নাট্যালেখ্য ছাড়াও এ পর্বে মুকাভিনয় পরিবেশন করেন নিরব নিথর, একক সংগীত পরিবেশনায় থাকবেন মাহমুদ সেলিম, হাবিবুল আলম, সুরাইয়া পারভীন, অবিনাশ বাউল ও জাকির হোসেন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন বেলায়েত হোসেন, নায়লা তারান্নুম কাকলী ও পশ্চিমবঙ্গের বাচিক শিল্পী শম্পা দাস। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করবে ভাবনা।
এছাড়াও উদীচী কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগের পরিবেশনায় ছিল সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী পথনাটক ‘অজ্ঞাতনামা’। নাটকটি রচনা অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী এবং নির্দেশনা দিয়েছেন প্রবীর সরদার। শেষাংশে প্রদর্শিত হয় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লী উচ্ছেদের ঘটনার ওপর ভিত্তি করে প্রদীপ ঘোষ নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘ভূমিহীন ভূমিপুত্র’।
উদীচীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই গীতি-কাব্য-নাট্যালেখ্যে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ‘মহামারীর রুপ নেয়া’ দুর্নীতির নানা রূপ তুলে ধরার পাশাপাশি এ থেকে পরিত্রাণের উপায় খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।
১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর সত্যেন সেনের হাতে উদীচীর যাত্রা শুরু। সংগঠনটি দীর্ঘ সময়ের পথচলায় বহু রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় ছিল। একটি সাম্যবাদী অসাস্প্রদায়িক শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে উদীচী।
শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
‘শোষণের বেড়াজালে মানুষের প্রাণ, মুক্তির মিছিলে লড়াইয়ের গান’ এই স্লোগান নিয়ে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’র ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে আজ শনিবার দেশে ও বিদেশে উদীচীর তিন শতাধিক শাখায় আলোচনা, গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটকসহ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’র কেন্দ্রীয় আয়োজনের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন উদীচীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা গোলাম মোহাম্মদ ইদু, প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক ও প্রাবন্ধিক আখতার হুসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ কমিউনিস্ট নেত্রী লীনা চক্রবর্তী, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে গড়ে তোলার কৃতিত্বের অধিকারী মালা রানী সরকার, সংগঠক মোহাম্মদ নওশের আলী, সন্ধ্যা ভৌমিক ও শিক্ষক লতা সমাদ্দার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। প্রথম পর্ব সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান।
উদ্বোধনী আলোচনা পর্বের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পর্বের শুরুতেই উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের শিল্পীদের পরিবেশনায় দুর্নীতিবিরোধী গীতি-কাব্য-নাট্যালেখ্য ‘ধর ধর, চোর চোর’ পরিবেশিত হয়। মাহমুদ সেলিমের রচনা এবং সুরে করা এ গীতি-কাব্য-নাট্যালেখ্যটি নির্দেশনা দিয়েছেন অমিত রঞ্জন দে।
গীতি-কাব্য-নাট্যালেখ্য ছাড়াও এ পর্বে মুকাভিনয় পরিবেশন করেন নিরব নিথর, একক সংগীত পরিবেশনায় থাকবেন মাহমুদ সেলিম, হাবিবুল আলম, সুরাইয়া পারভীন, অবিনাশ বাউল ও জাকির হোসেন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন বেলায়েত হোসেন, নায়লা তারান্নুম কাকলী ও পশ্চিমবঙ্গের বাচিক শিল্পী শম্পা দাস। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করবে ভাবনা।
এছাড়াও উদীচী কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগের পরিবেশনায় ছিল সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী পথনাটক ‘অজ্ঞাতনামা’। নাটকটি রচনা অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী এবং নির্দেশনা দিয়েছেন প্রবীর সরদার। শেষাংশে প্রদর্শিত হয় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লী উচ্ছেদের ঘটনার ওপর ভিত্তি করে প্রদীপ ঘোষ নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘ভূমিহীন ভূমিপুত্র’।
উদীচীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই গীতি-কাব্য-নাট্যালেখ্যে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ‘মহামারীর রুপ নেয়া’ দুর্নীতির নানা রূপ তুলে ধরার পাশাপাশি এ থেকে পরিত্রাণের উপায় খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।
১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর সত্যেন সেনের হাতে উদীচীর যাত্রা শুরু। সংগঠনটি দীর্ঘ সময়ের পথচলায় বহু রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় ছিল। একটি সাম্যবাদী অসাস্প্রদায়িক শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে উদীচী।