সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার তুঙ্গে থাকা জান্নাতুল নাঈম প্রীতির লেখা ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’ বইটি অমর একুশে বইমেলায় বিক্রি ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে বইমেলায় গঠিত টাস্কফোর্স।
মঙ্গলবার বিকালে প্রকাশনা সংস্থা নালন্দার স্টল খোলার পরই টাস্কফোর্স সদস্যরা বইটি বিক্রি ও প্রদর্শন না করতে মৌখিক নির্দেশনা দেন। তারপর স্টল থেকে বইটি তুলে নেওয়া হয়।
টাস্কফোর্সের সভাপতি ও বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসীম কুমার দে সংবাদকে বলেন, বাংলা একাডেমি নীতিমালা পরিপন্থী হওয়ায় আমরা নালন্দা পাবলিকেশনকে বইটি বিক্রি বা প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম। তারা আমাদের পর্যবেক্ষণের সাথে একমত হয়ে বইটি মেলা থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নালন্দা পাবলিকেশনের স্টলে ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’ বইয়ের কোনো কপি নেই। সেখানকার একজন বিক্রয়কর্মী জানান, " কর্তৃপক্ষের নিষেধের পরে আমরা বইটা স্টল থেকে তুলে নিয়েছি। তবে অনলাইনে এটি এভেইলেবল আছে।
এদিকে বইটির একটি পিডিএফ কপি সংবাদের কাছে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে বইটিতে দেশের বিনোদন জগতের বেশ কয়েকজন সেলিব্রেটির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বিস্ফোরক বক্তব্য আছে, যার জন্য নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে বইটি।
বইয়ের ফ্ল্যাপের ভাষ্য অনুযায়ী, “নারীবাদ, মৌলবাদ থেকে শুরু করে কাঁটাতার এবং বিভেদে ভরা দুনিয়ায় তথাকথিত রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় আইনকে চ্যালেঞ্জ করা একজন নারীর বয়ানে শ্বাসরুদ্ধকর ইতিহাস” হল এই ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’।
বইটির লেখক জান্নাতুন নাঈম প্রীতি দেশের বাহিরে অবস্থান করায় হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা যায় নি। তবে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘বইটার সাফল্য অর্জন ছিলো মূল সমস্যা। ফলে এই বইয়ের ওপর প্রত্যেকটা অখ্যাত এবং মিডিওকারের চোখ ছিলো যেকোনো ছুতোয় বইটাকে মেলার মাঠ থেকে সরানো লাগবেই! ফলে তারা সফল হলেও তারা নিজেরাও জানে তাদের সমগ্র তথাকথিত প্রগতিশীল নামের ভন্ড মিলে একটা বই লিখলেও প্রীতির বইটার সমান পাঠনক তারা পাবেনা।’
তিনি আরো লিখেন, ‘বাংলা একাডেমি বলেছে- আমার বইয়ে তারা দেখেছে বিতর্কিত মন্তব্য আছে। বাংলা একাডেমি যা বলে নাই তা হচ্ছে- বইয়ে তাদের সেইসব লোকদের নাম আছে, কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি আছে, যাদের কথা মুখে নেয়া তাদের জন্য মানা। বিতর্ক ছাড়া প্রগতি সম্ভব? লেখকের ওপর জবরদস্তি করে কখনো সমাজে প্রগতি আসেনি। ভবিষ্যতেও আসবেনা।’
নালন্দার প্রকাশক রেদওয়ানুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘টাস্কফোর্স থেকে আমাদের বলেছে, মেলায় বইটি বিক্রয় বা প্রদর্শন করা যাবে না। এজন্য আমরা আর মেলায় বিক্রি করছি না। তবে অনলাইন বুক শপ এবং বাংলা বাজারে আমাদের কাউন্টারে বইটি বিক্রি করব।’
বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলামের কাছে এই বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার তুঙ্গে থাকা জান্নাতুল নাঈম প্রীতির লেখা ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’ বইটি অমর একুশে বইমেলায় বিক্রি ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে বইমেলায় গঠিত টাস্কফোর্স।
মঙ্গলবার বিকালে প্রকাশনা সংস্থা নালন্দার স্টল খোলার পরই টাস্কফোর্স সদস্যরা বইটি বিক্রি ও প্রদর্শন না করতে মৌখিক নির্দেশনা দেন। তারপর স্টল থেকে বইটি তুলে নেওয়া হয়।
টাস্কফোর্সের সভাপতি ও বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসীম কুমার দে সংবাদকে বলেন, বাংলা একাডেমি নীতিমালা পরিপন্থী হওয়ায় আমরা নালন্দা পাবলিকেশনকে বইটি বিক্রি বা প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম। তারা আমাদের পর্যবেক্ষণের সাথে একমত হয়ে বইটি মেলা থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নালন্দা পাবলিকেশনের স্টলে ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’ বইয়ের কোনো কপি নেই। সেখানকার একজন বিক্রয়কর্মী জানান, " কর্তৃপক্ষের নিষেধের পরে আমরা বইটা স্টল থেকে তুলে নিয়েছি। তবে অনলাইনে এটি এভেইলেবল আছে।
এদিকে বইটির একটি পিডিএফ কপি সংবাদের কাছে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে বইটিতে দেশের বিনোদন জগতের বেশ কয়েকজন সেলিব্রেটির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বিস্ফোরক বক্তব্য আছে, যার জন্য নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে বইটি।
বইয়ের ফ্ল্যাপের ভাষ্য অনুযায়ী, “নারীবাদ, মৌলবাদ থেকে শুরু করে কাঁটাতার এবং বিভেদে ভরা দুনিয়ায় তথাকথিত রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় আইনকে চ্যালেঞ্জ করা একজন নারীর বয়ানে শ্বাসরুদ্ধকর ইতিহাস” হল এই ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’।
বইটির লেখক জান্নাতুন নাঈম প্রীতি দেশের বাহিরে অবস্থান করায় হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা যায় নি। তবে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘বইটার সাফল্য অর্জন ছিলো মূল সমস্যা। ফলে এই বইয়ের ওপর প্রত্যেকটা অখ্যাত এবং মিডিওকারের চোখ ছিলো যেকোনো ছুতোয় বইটাকে মেলার মাঠ থেকে সরানো লাগবেই! ফলে তারা সফল হলেও তারা নিজেরাও জানে তাদের সমগ্র তথাকথিত প্রগতিশীল নামের ভন্ড মিলে একটা বই লিখলেও প্রীতির বইটার সমান পাঠনক তারা পাবেনা।’
তিনি আরো লিখেন, ‘বাংলা একাডেমি বলেছে- আমার বইয়ে তারা দেখেছে বিতর্কিত মন্তব্য আছে। বাংলা একাডেমি যা বলে নাই তা হচ্ছে- বইয়ে তাদের সেইসব লোকদের নাম আছে, কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি আছে, যাদের কথা মুখে নেয়া তাদের জন্য মানা। বিতর্ক ছাড়া প্রগতি সম্ভব? লেখকের ওপর জবরদস্তি করে কখনো সমাজে প্রগতি আসেনি। ভবিষ্যতেও আসবেনা।’
নালন্দার প্রকাশক রেদওয়ানুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘টাস্কফোর্স থেকে আমাদের বলেছে, মেলায় বইটি বিক্রয় বা প্রদর্শন করা যাবে না। এজন্য আমরা আর মেলায় বিক্রি করছি না। তবে অনলাইন বুক শপ এবং বাংলা বাজারে আমাদের কাউন্টারে বইটি বিক্রি করব।’
বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলামের কাছে এই বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।