‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০’ (বিএনবিসি) নিয়ে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাদের দাবি, একটি মহল ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারের নিকট দেশের পুরো নির্মাণ কাজকে জিম্মি রাখতে বিএনবিসিতে কয়েকটি ধারা-উপধারাকে বিতর্কিত করেছে। এতে ইঞ্জিনিয়ারের ভুল সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ ‘ডিপ্লোমা প্রকৌশলী’দের সংগঠন ‘আইডিইবি’র।
বিএনবিসি চূড়ান্ত করার আগে আইডিইবি নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে ‘জনস্বার্থবিরোধী’ ধারা/উপধারা সংশোধনের অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিবকে বিএনবিসি’র অসঙ্গতি, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অবমূল্যায়নকর ধারা/উপধারাসমূহ সংশোধনের পর গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা প্রদান করেন বলে জানান আইডিইবি নেতারা।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি’ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ‘বিএনবিসি ২০২০’র গেজেট প্রকাশ করেছে। তাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকেও অবজ্ঞা, আইডিইবি’র পরামর্শ ও সুপারিশ অগ্রাহ্য করা, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে শুধুমাত্র ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র সভাপতি একেএমএ হামিদ সংবাদকে জানিয়েছেন, বিএনবিসিতে ইঞ্জিনিয়ার-এর সংজ্ঞায় শুধুমাত্র ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারদের ‘সুকৌশলে’ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশে ইঞ্জিনিয়ার এর সংজ্ঞায় উল্লেখ রয়েছে-ইঞ্জিনিয়ার ২ ধরনের, তা হলো ‘ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার’।
প্রকৌশলী একেএমএ হামিদ জানান, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারা দাবি আদায়ে লাগাতার কঠোর আন্দোলন যাবেন।
আইডিইবি নেতারা বিএনবিসিতে ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা সংশোধন, ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারের সংজ্ঞা পূনঃনির্ধারণ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএনবিসিতে উল্লেখিত ক্যাটাগরি দুই অর্থাৎ পঞ্চম তলা পর্যন্ত স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের সুযোগ দেয়া, স্থাপত্য নকশায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের (সিভিল) অন্তর্ভুক্তসহ ১০ তলার ওপরে কস্ট্রাকশন সুপারভিশনের অভিজ্ঞতা ডিগ্রি প্রকৌশলীদের ক্ষেত্রে আট বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্রে ২০ বছরের পরিবর্তে সাত বছর করে বিএনবিসি গেজেট সংশোধনের আহ্বান জানান।
প্রকৌশলী একেএমএ হামিদ অভিযোগ করেন, নির্মাণ ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ (সিভিল) ৪ তলা পর্যন্ত বিল্ডিং-এর স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ‘সফলতার’ সাথে করে জনগণকে সেবা দিয়ে আসলেও বিএনবিসি’তে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করার অধিকার থেকে ‘বঞ্চিত’ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণকে গুটিকয়েক ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারের (সিভিল) নিকট ‘জিম্মি’ করা হয়েছে। এতে গ্রামের মানুষসহ দেশের সাধারণ মানুষ একটি ছোট বাড়ী নির্মাণ করতে গিয়ে বিড়ম্বনার স্বীকার হবেন, গুটিকয়েক ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল)-এর নিকট তাদের দ্বারস্ত’ হতে হবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে।
এজন্য বিএনবিসি’তে বর্ণিত ক্যাটাগরি-২ অর্থাৎ ৫তলা পর্যন্ত বিল্ডিংয়ের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করার সুযোগ যৌক্তিক কারণে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধনী জারি করার এবং গ্রাম-গঞ্জের মানুষকে নির্মাণ কাজে সেবা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রকৌশলী এমএ হামিদ।
Mechanical (HVAC)/ Vertical Transportation Design এ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বাদ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মেকানিক্যাল ডিজাইনে অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধনী জারি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এমএ হামিদ।
তিনি বলেন, কনস্ট্রাকশন সুপারভিশনে ১০তলা ভবনের জন্য ডিগ্রী ও ডিপ্লোমা উভয়ের জন্য ৪ বছরের অভিজ্ঞতা রাখা হয়েছে। কিন্তু ১০ তলার উপর অর্থাৎ বহুতল ভবন সুপারভিশনের জন্য ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারদের অভিজ্ঞতা ৮ বছর এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য অযৌক্তিকভাবে অভিজ্ঞতা রাখা হয়েছে ২০বছর। যা নির্মাণ কাজে সুপারভিশনের ক্ষেত্রে অনাঙ্খিত জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। এ কারণে বহুতল ভবন সুপারভিশনে ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য অভিজ্ঞতা ৫ বছর এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য অভিজ্ঞতা সাত বছর করে সংশোধনী জারি করে নিমার্ণ কাজে জনগণের সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন আইডিইবি।
কস্ট্রাকশন অব অথরিটিতে অধিকতর স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকল্পে ডিগ্রি প্রকৌশলীদের সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এবং আইডিইবি’র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন আইডিইবি নেতারা।
তাদের অভিযোগ, সার্টিফিকেশন অব ওয়ার্কের ক্ষেত্রে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার, ডিগ্রি আর্কিটেক্ট ও প্ল্যানারদের রাখা হয়েছে। কিন্তু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের রাখা হয়নি। একটি নির্দিষ্ট উচ্ছতার ভবনের কনস্ট্রাকশন সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে সাটিফাইড ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের রাখা বাঞ্চনীয় বলে আইডিইবি নেতারা মনে করছেন।
এছাড়াও উপ-সহকারী প্রকৌশলী/সমমানের পদে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের চাকুরীর প্রাথমিক নিযুক্তিতে ১টি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট এবং পরিকল্পনা ও নকশা বিভাগে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ৩টি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট প্রদান, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিতে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী/সমমানের পদ থেকে সহকারী প্রকৌশলী/সমমানের পদে পদোন্নতির কোটা ৫০ শতাংশে উন্নীতকরণসহ সর্বোচ্চ পদ পর্যন্ত পদোন্নতি অবারিত করতে প্রধানমন্ত্রী বার বার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু ৮ বছরে একটিও বাস্তবায়ন হয়নি বলে দাবি আইডিইবি’র।
দেশে বর্তমানে ৫ লক্ষাধিক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও পলিটেকনিকের ৪ লক্ষাধিক ছাত্র-শিক্ষক রয়েছেন।
শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১
‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০’ (বিএনবিসি) নিয়ে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাদের দাবি, একটি মহল ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারের নিকট দেশের পুরো নির্মাণ কাজকে জিম্মি রাখতে বিএনবিসিতে কয়েকটি ধারা-উপধারাকে বিতর্কিত করেছে। এতে ইঞ্জিনিয়ারের ভুল সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ ‘ডিপ্লোমা প্রকৌশলী’দের সংগঠন ‘আইডিইবি’র।
বিএনবিসি চূড়ান্ত করার আগে আইডিইবি নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে ‘জনস্বার্থবিরোধী’ ধারা/উপধারা সংশোধনের অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিবকে বিএনবিসি’র অসঙ্গতি, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অবমূল্যায়নকর ধারা/উপধারাসমূহ সংশোধনের পর গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা প্রদান করেন বলে জানান আইডিইবি নেতারা।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি’ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ‘বিএনবিসি ২০২০’র গেজেট প্রকাশ করেছে। তাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকেও অবজ্ঞা, আইডিইবি’র পরামর্শ ও সুপারিশ অগ্রাহ্য করা, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে শুধুমাত্র ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র সভাপতি একেএমএ হামিদ সংবাদকে জানিয়েছেন, বিএনবিসিতে ইঞ্জিনিয়ার-এর সংজ্ঞায় শুধুমাত্র ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারদের ‘সুকৌশলে’ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশে ইঞ্জিনিয়ার এর সংজ্ঞায় উল্লেখ রয়েছে-ইঞ্জিনিয়ার ২ ধরনের, তা হলো ‘ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার’।
প্রকৌশলী একেএমএ হামিদ জানান, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারা দাবি আদায়ে লাগাতার কঠোর আন্দোলন যাবেন।
আইডিইবি নেতারা বিএনবিসিতে ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা সংশোধন, ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারের সংজ্ঞা পূনঃনির্ধারণ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএনবিসিতে উল্লেখিত ক্যাটাগরি দুই অর্থাৎ পঞ্চম তলা পর্যন্ত স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের সুযোগ দেয়া, স্থাপত্য নকশায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের (সিভিল) অন্তর্ভুক্তসহ ১০ তলার ওপরে কস্ট্রাকশন সুপারভিশনের অভিজ্ঞতা ডিগ্রি প্রকৌশলীদের ক্ষেত্রে আট বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্রে ২০ বছরের পরিবর্তে সাত বছর করে বিএনবিসি গেজেট সংশোধনের আহ্বান জানান।
প্রকৌশলী একেএমএ হামিদ অভিযোগ করেন, নির্মাণ ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ (সিভিল) ৪ তলা পর্যন্ত বিল্ডিং-এর স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ‘সফলতার’ সাথে করে জনগণকে সেবা দিয়ে আসলেও বিএনবিসি’তে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করার অধিকার থেকে ‘বঞ্চিত’ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণকে গুটিকয়েক ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারের (সিভিল) নিকট ‘জিম্মি’ করা হয়েছে। এতে গ্রামের মানুষসহ দেশের সাধারণ মানুষ একটি ছোট বাড়ী নির্মাণ করতে গিয়ে বিড়ম্বনার স্বীকার হবেন, গুটিকয়েক ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল)-এর নিকট তাদের দ্বারস্ত’ হতে হবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে।
এজন্য বিএনবিসি’তে বর্ণিত ক্যাটাগরি-২ অর্থাৎ ৫তলা পর্যন্ত বিল্ডিংয়ের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করার সুযোগ যৌক্তিক কারণে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধনী জারি করার এবং গ্রাম-গঞ্জের মানুষকে নির্মাণ কাজে সেবা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রকৌশলী এমএ হামিদ।
Mechanical (HVAC)/ Vertical Transportation Design এ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বাদ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মেকানিক্যাল ডিজাইনে অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধনী জারি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এমএ হামিদ।
তিনি বলেন, কনস্ট্রাকশন সুপারভিশনে ১০তলা ভবনের জন্য ডিগ্রী ও ডিপ্লোমা উভয়ের জন্য ৪ বছরের অভিজ্ঞতা রাখা হয়েছে। কিন্তু ১০ তলার উপর অর্থাৎ বহুতল ভবন সুপারভিশনের জন্য ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারদের অভিজ্ঞতা ৮ বছর এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য অযৌক্তিকভাবে অভিজ্ঞতা রাখা হয়েছে ২০বছর। যা নির্মাণ কাজে সুপারভিশনের ক্ষেত্রে অনাঙ্খিত জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। এ কারণে বহুতল ভবন সুপারভিশনে ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য অভিজ্ঞতা ৫ বছর এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য অভিজ্ঞতা সাত বছর করে সংশোধনী জারি করে নিমার্ণ কাজে জনগণের সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন আইডিইবি।
কস্ট্রাকশন অব অথরিটিতে অধিকতর স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকল্পে ডিগ্রি প্রকৌশলীদের সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এবং আইডিইবি’র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন আইডিইবি নেতারা।
তাদের অভিযোগ, সার্টিফিকেশন অব ওয়ার্কের ক্ষেত্রে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার, ডিগ্রি আর্কিটেক্ট ও প্ল্যানারদের রাখা হয়েছে। কিন্তু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের রাখা হয়নি। একটি নির্দিষ্ট উচ্ছতার ভবনের কনস্ট্রাকশন সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে সাটিফাইড ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের রাখা বাঞ্চনীয় বলে আইডিইবি নেতারা মনে করছেন।
এছাড়াও উপ-সহকারী প্রকৌশলী/সমমানের পদে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের চাকুরীর প্রাথমিক নিযুক্তিতে ১টি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট এবং পরিকল্পনা ও নকশা বিভাগে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ৩টি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট প্রদান, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিতে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী/সমমানের পদ থেকে সহকারী প্রকৌশলী/সমমানের পদে পদোন্নতির কোটা ৫০ শতাংশে উন্নীতকরণসহ সর্বোচ্চ পদ পর্যন্ত পদোন্নতি অবারিত করতে প্রধানমন্ত্রী বার বার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু ৮ বছরে একটিও বাস্তবায়ন হয়নি বলে দাবি আইডিইবি’র।
দেশে বর্তমানে ৫ লক্ষাধিক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও পলিটেকনিকের ৪ লক্ষাধিক ছাত্র-শিক্ষক রয়েছেন।