করোনার সংক্রমণ আরও বেড়ে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তবে এখনই সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলন উপলক্ষে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে যাতে ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়া যায়; সেটার প্রস্তুতি রাখার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয় সেখানে অ্যাসাইনমেন্টের ওপর নির্ভর করতে হবে।
তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা সব প্রতিষ্ঠানে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা। এটা করা হবে। উপজেলা পর্যায়ে হাইস্কুল ও কলেজগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কমিটিতে ডিসিদের রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৮৫ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে কম বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাবছি না। এমন হারে ছড়িয়ে পড়ছে, এটা তো সব জায়গায়। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থাকলেও তো সংক্রমিত হবে। আমাদের কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কিছু সংক্রমণ হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বা আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঠিক আছে, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি বলেন, আমরা কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আগেও বসেছি। হয়তো আগামী দুই-একদিনের মধ্যে আবার বসবো।
সংক্রমণের হার কত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ হার আমরা যেটা দেখি, কতগুলো পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে কতজন পাওয়া যাচ্ছে। আমরা তো কমিউনিটি রেটটা সেভাবে পাচ্ছি না। এখন অনেকেই মনে করছেন—ওমিক্রন, এটা তো কোনো বিষয় না, এটাতে মৃত্যু ঝুঁকি নেই, কাজেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশে ওমিক্রনের চেয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। এটিতে মৃত্যু ঝুঁকি আছে। কাজেই আমরা যেন স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলি।
ক্লাসরুমের বিকল্প ব্যবস্থা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট করে আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে বলা আছে। এখন আমাদের প্রচেষ্টা হলো জীবন যতখানি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব সেটা রেখে আমরা করোনা মোকাবিলা করবো। যদি এমন দেখা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, আমরা ক্লাস চালু রাখতে পারছি না, তাহলে আমাদের অনলাইনে যেতেই হবে। এখন অনলাইন বা অ্যাসাইমেন্ট আমরা চালু রাখছি কারণ সবাই তো আসতে পারছে না। অনেকের বাড়িতে অসুস্থতা আছে, কেউ নিজে অসুস্থ সে ক্ষেত্রে কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে। আমরা বিকল্প পদ্ধতিও চালু রাখছি।
মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
করোনার সংক্রমণ আরও বেড়ে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তবে এখনই সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলন উপলক্ষে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে যাতে ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়া যায়; সেটার প্রস্তুতি রাখার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয় সেখানে অ্যাসাইনমেন্টের ওপর নির্ভর করতে হবে।
তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা সব প্রতিষ্ঠানে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা। এটা করা হবে। উপজেলা পর্যায়ে হাইস্কুল ও কলেজগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কমিটিতে ডিসিদের রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৮৫ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে কম বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাবছি না। এমন হারে ছড়িয়ে পড়ছে, এটা তো সব জায়গায়। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থাকলেও তো সংক্রমিত হবে। আমাদের কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কিছু সংক্রমণ হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বা আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঠিক আছে, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি বলেন, আমরা কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আগেও বসেছি। হয়তো আগামী দুই-একদিনের মধ্যে আবার বসবো।
সংক্রমণের হার কত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ হার আমরা যেটা দেখি, কতগুলো পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে কতজন পাওয়া যাচ্ছে। আমরা তো কমিউনিটি রেটটা সেভাবে পাচ্ছি না। এখন অনেকেই মনে করছেন—ওমিক্রন, এটা তো কোনো বিষয় না, এটাতে মৃত্যু ঝুঁকি নেই, কাজেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশে ওমিক্রনের চেয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। এটিতে মৃত্যু ঝুঁকি আছে। কাজেই আমরা যেন স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলি।
ক্লাসরুমের বিকল্প ব্যবস্থা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট করে আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে বলা আছে। এখন আমাদের প্রচেষ্টা হলো জীবন যতখানি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব সেটা রেখে আমরা করোনা মোকাবিলা করবো। যদি এমন দেখা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, আমরা ক্লাস চালু রাখতে পারছি না, তাহলে আমাদের অনলাইনে যেতেই হবে। এখন অনলাইন বা অ্যাসাইমেন্ট আমরা চালু রাখছি কারণ সবাই তো আসতে পারছে না। অনেকের বাড়িতে অসুস্থতা আছে, কেউ নিজে অসুস্থ সে ক্ষেত্রে কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে। আমরা বিকল্প পদ্ধতিও চালু রাখছি।