ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় ও ডাকসু নির্বাচনের প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে স্বারকলিপি দিয়েছে ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদ।
মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরের দিকে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি তুলে দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অনিরাপদ অবস্থা বিরাজ করছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের হামলা এবং তৎপরবর্তী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ছাত্রলীগের অস্ত্র মহড়ায় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত। এমনকি ক্যাম্পাস এলাকার ভেতরেই ভাড়া করা গুন্ডাদেরকে দিয়ে ছাত্রলীগকে গুলি চালাতে দেখা গেছে। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে ভয়-আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ন্যূনতম কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
শিক্ষার্থীদেরকে ছাত্রলীগ জোর করে হামলায় নামাচ্ছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, হলগুলোতে ছাত্রলীগের একচ্ছত্র আধিপত্যের ফলে হলে অবস্থানরত প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে ছাত্রলীগ জোর করে হামলায় নামাচ্ছে। হাতে তুলে দিচ্ছে দেশীয় অস্ত্র। অনেক ডিপার্টমেন্টেরই ফাইনাল ও মিডটার্ম পরীক্ষা চলমান রয়েছে। কিন্তু হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে নির্বিকার ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে।
স্মারকলিপিতে উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়: আপনি আরো অবগত আছেন যে, আগামী ৩ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসেনি। প্রতিদিনই হলগুলো থেকে অস্ত্রসহ মিছিল ও মহড়া চলমান আছে। এতে নবাগত শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরাও আতঙ্কে আছেন। পরীক্ষার দিন ঘিরেও তারা ভয়ে আছেন।
ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এতে বলা হয়, দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া ডাকসুর নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে সব দল ও মতের সহাবস্থান নিশ্চিতের একটা বাতাস বইছিল। ডাকসুর এই অর্জনকে ম্লান করে দিতে ও ডাকসু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল সব সময় সচেষ্ট ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগের এমন উগ্র আচরণ। বরাবরের মতোই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ঘটনায় ব্যর্থ ভূমিকা পালন করেছে। অবিলম্বে আমরা ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে অতিশিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায় ছাত্র অধিকার পরিষদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আসিফ মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান, সাহিত্য সম্পাদক জাহিদ আহসান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক স্মৃতি আফরোজ সুমি, নাট্য বিষয়ক সম্পাদক নুসরাত তাবাসসুম, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক নুসাইবা তাসনিম সাবা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পাদক আব্দুল কাদের।
মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় ও ডাকসু নির্বাচনের প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে স্বারকলিপি দিয়েছে ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদ।
মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরের দিকে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি তুলে দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অনিরাপদ অবস্থা বিরাজ করছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের হামলা এবং তৎপরবর্তী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ছাত্রলীগের অস্ত্র মহড়ায় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত। এমনকি ক্যাম্পাস এলাকার ভেতরেই ভাড়া করা গুন্ডাদেরকে দিয়ে ছাত্রলীগকে গুলি চালাতে দেখা গেছে। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে ভয়-আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ন্যূনতম কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
শিক্ষার্থীদেরকে ছাত্রলীগ জোর করে হামলায় নামাচ্ছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, হলগুলোতে ছাত্রলীগের একচ্ছত্র আধিপত্যের ফলে হলে অবস্থানরত প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে ছাত্রলীগ জোর করে হামলায় নামাচ্ছে। হাতে তুলে দিচ্ছে দেশীয় অস্ত্র। অনেক ডিপার্টমেন্টেরই ফাইনাল ও মিডটার্ম পরীক্ষা চলমান রয়েছে। কিন্তু হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে নির্বিকার ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে।
স্মারকলিপিতে উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়: আপনি আরো অবগত আছেন যে, আগামী ৩ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসেনি। প্রতিদিনই হলগুলো থেকে অস্ত্রসহ মিছিল ও মহড়া চলমান আছে। এতে নবাগত শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরাও আতঙ্কে আছেন। পরীক্ষার দিন ঘিরেও তারা ভয়ে আছেন।
ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এতে বলা হয়, দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া ডাকসুর নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে সব দল ও মতের সহাবস্থান নিশ্চিতের একটা বাতাস বইছিল। ডাকসুর এই অর্জনকে ম্লান করে দিতে ও ডাকসু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল সব সময় সচেষ্ট ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগের এমন উগ্র আচরণ। বরাবরের মতোই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ঘটনায় ব্যর্থ ভূমিকা পালন করেছে। অবিলম্বে আমরা ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে অতিশিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায় ছাত্র অধিকার পরিষদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আসিফ মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান, সাহিত্য সম্পাদক জাহিদ আহসান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক স্মৃতি আফরোজ সুমি, নাট্য বিষয়ক সম্পাদক নুসরাত তাবাসসুম, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক নুসাইবা তাসনিম সাবা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পাদক আব্দুল কাদের।