যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে ‘পূর্ব বাংলা’র শিক্ষার্থীদের সূচিত সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের মহান শিক্ষা দিবস। ১৯৬২ সালের এই দিনে পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ নাম না-জানা অনেকেই। তাদের স্মরণে প্রতি বছর এই দিনকে শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
এ উপলক্ষে প্রতিবছর ছাত্র সংগঠনগুলো কর্মসূচি পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের ব্যানারে হাইকোর্টের মূল ফটকের বাইরে শিক্ষা অধিকার চত্ত্বরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
তবে প্রতিবছর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে শিক্ষা দিবসে শ্রদ্ধা জানালেও এ বছর শ্রদ্ধা কিংবা কোনো কর্মসূচি পালন করেনি সংগঠনটি।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শিক্ষা অধিকার চত্ত্বরে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
একই সময় সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের নেতৃতে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় ছাত্র বাংলাদেশ ইউনিয়নকেও। এছাড়া শিক্ষার বাণিজ্য ও শিক্ষার সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সমাবেশও করে সংগঠনটি।
দুপুরে ‘শ্রেণী বিভাজনের শিক্ষা নয়, মানুষ গড়ার শিক্ষা চাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোঃ ফয়েজ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের সঞ্চালণায় বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু।
সমাবেশে অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, যেই দাবিতে ৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন হয়েছিল তা এখনও পূরণ হয় নাই। সেদিন যারা এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারাই এখন সরকার পরিচালনা করছেন। তাদের কাছে প্রশ্ন রাখুন, আপনার কেনো শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করছেন। এখন আর কোন স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় নাই, সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গেছে। এখানে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয় সরকারি দলের বিবেচনায়। শিক্ষাখাতকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এখান থেকে ফিরে আসার পথ কঠিন। গণ আন্দোলন ছাড়া মুক্তির পথ নাই।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোঃ ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আমরা ছাত্র ইউনিয়ন ৬২র শিক্ষা আন্দোলনে যেমনভাবে লড়াই করেছিলাম শিক্ষার্থীবান্ধব একটি শিক্ষানীতির জন্য, আজও তেমনি লড়াই করে যাচ্ছি একই দাবিতে। সেদিনের সেই শহিদদের রক্তে রঞ্জিত রাজপথ আমাদের এখনো পথ দেখায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন চায় না ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ধারার রাজনৈতিক চর্চা হোক। দিনে দিনে এ সরকার শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করছে। একইসঙ্গে পাঠ্যপুস্তক থেকে প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বাদ দিয়ে শিক্ষাকে সাপ্রদায়িকীকরণ করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষার সাম্প্রদায়িকীকরণ এবং শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি।
এছাড়াও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, জাসদ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনকে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়।
এদিকে শ্রদ্ধা না জানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, আজ পার্টি অফিসে আমাদের মিটিং ছিল। তাই সম্ভবত কেন্দ্র থেকে তেমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, শিক্ষা দিবস উপলক্ষে আমরা আজ কোনো কর্মসূচী রাখিনি। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট মূলত এই দিবসটি পালন করে তবে নিয়মিত না। নতুন কমিটি হয়েছে মাত্র তাই তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে ‘পূর্ব বাংলা’র শিক্ষার্থীদের সূচিত সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের মহান শিক্ষা দিবস। ১৯৬২ সালের এই দিনে পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ নাম না-জানা অনেকেই। তাদের স্মরণে প্রতি বছর এই দিনকে শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
এ উপলক্ষে প্রতিবছর ছাত্র সংগঠনগুলো কর্মসূচি পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের ব্যানারে হাইকোর্টের মূল ফটকের বাইরে শিক্ষা অধিকার চত্ত্বরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
তবে প্রতিবছর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে শিক্ষা দিবসে শ্রদ্ধা জানালেও এ বছর শ্রদ্ধা কিংবা কোনো কর্মসূচি পালন করেনি সংগঠনটি।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শিক্ষা অধিকার চত্ত্বরে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
একই সময় সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের নেতৃতে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় ছাত্র বাংলাদেশ ইউনিয়নকেও। এছাড়া শিক্ষার বাণিজ্য ও শিক্ষার সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সমাবেশও করে সংগঠনটি।
দুপুরে ‘শ্রেণী বিভাজনের শিক্ষা নয়, মানুষ গড়ার শিক্ষা চাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোঃ ফয়েজ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের সঞ্চালণায় বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু।
সমাবেশে অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, যেই দাবিতে ৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন হয়েছিল তা এখনও পূরণ হয় নাই। সেদিন যারা এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারাই এখন সরকার পরিচালনা করছেন। তাদের কাছে প্রশ্ন রাখুন, আপনার কেনো শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করছেন। এখন আর কোন স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় নাই, সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গেছে। এখানে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয় সরকারি দলের বিবেচনায়। শিক্ষাখাতকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এখান থেকে ফিরে আসার পথ কঠিন। গণ আন্দোলন ছাড়া মুক্তির পথ নাই।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোঃ ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আমরা ছাত্র ইউনিয়ন ৬২র শিক্ষা আন্দোলনে যেমনভাবে লড়াই করেছিলাম শিক্ষার্থীবান্ধব একটি শিক্ষানীতির জন্য, আজও তেমনি লড়াই করে যাচ্ছি একই দাবিতে। সেদিনের সেই শহিদদের রক্তে রঞ্জিত রাজপথ আমাদের এখনো পথ দেখায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন চায় না ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ধারার রাজনৈতিক চর্চা হোক। দিনে দিনে এ সরকার শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করছে। একইসঙ্গে পাঠ্যপুস্তক থেকে প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বাদ দিয়ে শিক্ষাকে সাপ্রদায়িকীকরণ করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষার সাম্প্রদায়িকীকরণ এবং শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি।
এছাড়াও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, জাসদ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনকে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়।
এদিকে শ্রদ্ধা না জানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, আজ পার্টি অফিসে আমাদের মিটিং ছিল। তাই সম্ভবত কেন্দ্র থেকে তেমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, শিক্ষা দিবস উপলক্ষে আমরা আজ কোনো কর্মসূচী রাখিনি। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট মূলত এই দিবসটি পালন করে তবে নিয়মিত না। নতুন কমিটি হয়েছে মাত্র তাই তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।