১৫ দিনের মধ্যে দেশের সব ছাত্রছাত্রী নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই হাতে পারে বলে জানিয়েছেন ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের’ (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মাধ্যমিকের ৮২ শতাংশ এবং প্রাথমিক স্তরের ৭৮ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ বই জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ছাপা শেষে স্কুল পর্যায়ে পাঠানো সম্ভব বলে আশা করছেন এনসিটিবির এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
এনসিটিবি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বই ছাপা শেষে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল। কিন্তু দেশে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, কাগজ সঙ্কট ও দাম বেড়ে যাওয়া এবং কিছুটা দেরিতে দরপত্র আহ্বানের কারণে এবার পাঠ্যপুস্তক ছাপায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মোট চার কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮১ শিক্ষার্থী ধরে নিয়ে ৩৪ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপছে সরকার।
এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরে দুই কোটি ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৩৮ হাজার ২৪৫টি বই বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৮৪টি ‘আমার বই’ এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর মোট দুই লাখ ১২ হাজার ১৭৭টি পুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে।
এনসিটিবির উৎপাদন নিয়ন্ত্রক সাইদুর রহমান প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন।
তিনি সোমবার জানান, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরের মোট বইয়ের ৭৩ শতাংশ উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো হয়েছে। তার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বর নাগাদ সাড়ে সাত কোটির বেশি বই ছাপা শেষে স্কুল পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। দুই কোটিরও কম বই ছাপার বাকি রয়েছে। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত এই স্তরের ৭৮ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ হয়েছে বলে অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক (স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি) স্তরের শিক্ষার্থীর জন্য মোট ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪৫ কপি বই ছাপা হচ্ছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৮২ শতাংশ পাঠ্যবই উপজেলা পর্যায়ে পৌছে গেছে। এ হিসেবে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি বই ছাপা শেষে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
সবমিলিয়ে সোমবার পর্যন্ত প্রাথমিকের প্রায় দুই কোটি এবং মাধ্যমিক স্তরের প্রায় সোয়া চার কোটি বই ছাপার বাকি রয়েছে। এই সোয়া ছয় কোটি বই ছাপার কাজ কবে নাগাদ শেষ হতে পারে জানতে চাইলে ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব বই ছাপা শেষে স্কুলে পাঠিয়ে দিতে পারব।’ এসব বইয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোন শিক্ষার্থীর ক্ষতি হবে না। শিক্ষার্থীরা নতুন শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন বই দেবে স্কুলগুলো।’
আগের দিন ১ জানুয়ারি ঢাবি মাঠে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের সব বই কাগজের অভাবে প্রেস থেকে দিতে পারিনি। আগামী এক মাসের মধ্যে আমরা সব বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবো বলে আশা করি।’
সোমবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৩
১৫ দিনের মধ্যে দেশের সব ছাত্রছাত্রী নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই হাতে পারে বলে জানিয়েছেন ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের’ (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মাধ্যমিকের ৮২ শতাংশ এবং প্রাথমিক স্তরের ৭৮ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ বই জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ছাপা শেষে স্কুল পর্যায়ে পাঠানো সম্ভব বলে আশা করছেন এনসিটিবির এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
এনসিটিবি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বই ছাপা শেষে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল। কিন্তু দেশে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, কাগজ সঙ্কট ও দাম বেড়ে যাওয়া এবং কিছুটা দেরিতে দরপত্র আহ্বানের কারণে এবার পাঠ্যপুস্তক ছাপায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মোট চার কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮১ শিক্ষার্থী ধরে নিয়ে ৩৪ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপছে সরকার।
এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরে দুই কোটি ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৩৮ হাজার ২৪৫টি বই বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৮৪টি ‘আমার বই’ এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর মোট দুই লাখ ১২ হাজার ১৭৭টি পুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে।
এনসিটিবির উৎপাদন নিয়ন্ত্রক সাইদুর রহমান প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন।
তিনি সোমবার জানান, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরের মোট বইয়ের ৭৩ শতাংশ উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো হয়েছে। তার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বর নাগাদ সাড়ে সাত কোটির বেশি বই ছাপা শেষে স্কুল পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। দুই কোটিরও কম বই ছাপার বাকি রয়েছে। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত এই স্তরের ৭৮ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ হয়েছে বলে অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক (স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি) স্তরের শিক্ষার্থীর জন্য মোট ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪৫ কপি বই ছাপা হচ্ছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৮২ শতাংশ পাঠ্যবই উপজেলা পর্যায়ে পৌছে গেছে। এ হিসেবে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি বই ছাপা শেষে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
সবমিলিয়ে সোমবার পর্যন্ত প্রাথমিকের প্রায় দুই কোটি এবং মাধ্যমিক স্তরের প্রায় সোয়া চার কোটি বই ছাপার বাকি রয়েছে। এই সোয়া ছয় কোটি বই ছাপার কাজ কবে নাগাদ শেষ হতে পারে জানতে চাইলে ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব বই ছাপা শেষে স্কুলে পাঠিয়ে দিতে পারব।’ এসব বইয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোন শিক্ষার্থীর ক্ষতি হবে না। শিক্ষার্থীরা নতুন শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন বই দেবে স্কুলগুলো।’
আগের দিন ১ জানুয়ারি ঢাবি মাঠে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের সব বই কাগজের অভাবে প্রেস থেকে দিতে পারিনি। আগামী এক মাসের মধ্যে আমরা সব বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবো বলে আশা করি।’