নতুন বছরের পাঠ্যবইয়ে ভুল দেখা দেওয়ায় সেই বই প্রত্যাহার এবং কাগজ ও শিক্ষা উপকরণের দাম কমানোসহ তিনদফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ছাত্র ফেডারেশন।
শনিবার বিকেলে (৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ করেছে সংগঠনটি। তাদের অন্য আরেকটি দাবি হল মেট্রোরেলের ভাড়া কমানো এবং শিক্ষার্থীদের জন্য হাফপাশ নিশ্চিত করা।
এসময় ‘পাঠ্যবইকে দলীয়করণ বন্ধ কর’, ‘ভুলে ভরা পাঠ্যবই বাতিল কর’, ‘নির্ভুল পাঠ্যবই পুনরায় ছাপাও’, ‘শিক্ষা ব্যয় কমাও!’, ‘কাগজের দাম কমাও’, গণরুম গেস্টরুমে ছাত্র নির্যাতন বন্ধ কর’, ‘ভয়মুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই’, ‘ফেলানী হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি প্লেকার্ড হাতে দেখা যায় তাদের। সমাবেশ শেষে ক্যাম্পাসে সংক্ষিপ্ত মিছিল করেন তারা।
সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ।
মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, ‘নতুন বছরের বই দিয়েছে, সেই বইয়ে আমরা দেখেছি ভুলে ভরা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে৷ বইয়ে কাগজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের। সেই বই ৫ মাস চলার পর নষ্ট হয়ে যাবে৷ তাহলে বছরের বাকি সময় শিক্ষার্থীরা কোন বই পড়বে। কাগজ-শিক্ষা উপকরণের দাম এতটা বেড়েছে যে নিম্ন আয়ের মানুষ তো বটেই মধ্যবিত্তরাও শিক্ষা উপকরণ কিনতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে। মুদ্রণশিল্প, প্রকাশনা শিল্প ব্যাহত হচ্ছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি দাম কমানোর কিন্তু সরকার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। কাগজের দাম কমাতে আপনারা মনোযোগী না, আপনারা দুর্নীতিবাজিতে মনোযোগী। জিনিসপত্রে দামে আপনাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।’
তিনি আরো বলেন, আজকে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিচ্ছেন অথচ আপনারা সেইদিকে কোনো কাজই করতে পারেননি। আপনারা মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু দেখাচ্ছেন এগুলোতে কারা চড়বে। এক কিলোমিটারে ভাড়া কত! সব দেশে মেট্রোরেলের ভাড়া কম থাকে আর আপনারা যানজটের নিরসনের কথা বলে এত ভাড়া বাড়িয়ে দিলেন যেখানে সাধারণ মানুষ উঠতে পারছে না। আপনারা ‘উন্নয়ন’ খাওয়াতে চাচ্ছেন। অথচ মূল কাজ যানজটের কোনো উপকার হয়নি। এক ধরনের ধনিক শ্রেণী মেট্রোরেল ব্যবহার হচ্ছে। তারা একবার উত্তরা থেকে আগারগাঁও যাচ্ছে আবার আসতেছে। কিন্তু সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষের কি উপকার হলো। এটা একটি উপহাসের জিনিস হয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মেহেদী বলেন, বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে ১২ বছরেও ফেলানি হত্যার বিচার হয়নি। আজকে আওয়ামি লীগের পক্ষ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের যে ধৌঁয়া তোলা হচ্ছে এটা একটা ফাঁকা বুলি। যেদিন বাংলাদেশে গুম-খুন হবে না, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, বিনা বিচারে মানুষকে গুলি করা হবে না তখনই সত্যিকারের স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের বলব এসব ফাঁকা আওয়াজে কান দিবেন না।
শনিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৩
নতুন বছরের পাঠ্যবইয়ে ভুল দেখা দেওয়ায় সেই বই প্রত্যাহার এবং কাগজ ও শিক্ষা উপকরণের দাম কমানোসহ তিনদফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ছাত্র ফেডারেশন।
শনিবার বিকেলে (৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ করেছে সংগঠনটি। তাদের অন্য আরেকটি দাবি হল মেট্রোরেলের ভাড়া কমানো এবং শিক্ষার্থীদের জন্য হাফপাশ নিশ্চিত করা।
এসময় ‘পাঠ্যবইকে দলীয়করণ বন্ধ কর’, ‘ভুলে ভরা পাঠ্যবই বাতিল কর’, ‘নির্ভুল পাঠ্যবই পুনরায় ছাপাও’, ‘শিক্ষা ব্যয় কমাও!’, ‘কাগজের দাম কমাও’, গণরুম গেস্টরুমে ছাত্র নির্যাতন বন্ধ কর’, ‘ভয়মুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই’, ‘ফেলানী হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি প্লেকার্ড হাতে দেখা যায় তাদের। সমাবেশ শেষে ক্যাম্পাসে সংক্ষিপ্ত মিছিল করেন তারা।
সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ।
মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, ‘নতুন বছরের বই দিয়েছে, সেই বইয়ে আমরা দেখেছি ভুলে ভরা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে৷ বইয়ে কাগজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের। সেই বই ৫ মাস চলার পর নষ্ট হয়ে যাবে৷ তাহলে বছরের বাকি সময় শিক্ষার্থীরা কোন বই পড়বে। কাগজ-শিক্ষা উপকরণের দাম এতটা বেড়েছে যে নিম্ন আয়ের মানুষ তো বটেই মধ্যবিত্তরাও শিক্ষা উপকরণ কিনতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে। মুদ্রণশিল্প, প্রকাশনা শিল্প ব্যাহত হচ্ছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি দাম কমানোর কিন্তু সরকার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। কাগজের দাম কমাতে আপনারা মনোযোগী না, আপনারা দুর্নীতিবাজিতে মনোযোগী। জিনিসপত্রে দামে আপনাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।’
তিনি আরো বলেন, আজকে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিচ্ছেন অথচ আপনারা সেইদিকে কোনো কাজই করতে পারেননি। আপনারা মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু দেখাচ্ছেন এগুলোতে কারা চড়বে। এক কিলোমিটারে ভাড়া কত! সব দেশে মেট্রোরেলের ভাড়া কম থাকে আর আপনারা যানজটের নিরসনের কথা বলে এত ভাড়া বাড়িয়ে দিলেন যেখানে সাধারণ মানুষ উঠতে পারছে না। আপনারা ‘উন্নয়ন’ খাওয়াতে চাচ্ছেন। অথচ মূল কাজ যানজটের কোনো উপকার হয়নি। এক ধরনের ধনিক শ্রেণী মেট্রোরেল ব্যবহার হচ্ছে। তারা একবার উত্তরা থেকে আগারগাঁও যাচ্ছে আবার আসতেছে। কিন্তু সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষের কি উপকার হলো। এটা একটি উপহাসের জিনিস হয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মেহেদী বলেন, বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে ১২ বছরেও ফেলানি হত্যার বিচার হয়নি। আজকে আওয়ামি লীগের পক্ষ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের যে ধৌঁয়া তোলা হচ্ছে এটা একটা ফাঁকা বুলি। যেদিন বাংলাদেশে গুম-খুন হবে না, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, বিনা বিচারে মানুষকে গুলি করা হবে না তখনই সত্যিকারের স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের বলব এসব ফাঁকা আওয়াজে কান দিবেন না।