রাজধানি ঢাকায় শুরু হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২০তম আসর। নয় দিনের এই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সত্তরটি দেশের সোয়া দুইশ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হবে।
শনিবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সব সময়ই নান্দনিক। বাঙালি পরিচালকরা তাদের চলচ্চিত্রে বিচিত্র জীবনবোধের ছাপ রেখে গেছেন। এমন অসংখ্য বাংলা চলচ্চিত্র রয়েছে যা বিশ্ব নন্দিত। এছাড়া বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকেই সারাবিশ্বে শিক্ষনীয়। এ উৎসবের মাধ্যমে সৃজনশীল মানুষদের মিলনমেলা হয়। অন্য দেশের সংস্কৃতি, সমাজ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও বাংলাদেশও তাদের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। বিশেষ করে চলচ্চিত্রে এখন অনেক তরুণ সম্পৃক্ত হচ্ছেন এবং আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি তুলে ধরে বিশ্বের কাছে দেশকে আরও পরিচিত করে তুলছেন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।
রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘বেটার ফিল্ম, বেটার অডিয়েন্স, বেটার সোসাইটি’।
লেবানন ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ও মারিয়া ইভানোভা জেড পরিচালিত ‘দ্যা অ্যাংগার’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে এ উৎসব শুরু হয়।
২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত উৎসবে ১২৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ফিচার ফিল্ম এবং ৯৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে, যেখানে ১৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ফিচার ফিল্ম ও ২২টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা হবে।
তবে দেশের দর্শকদের কাছে সবচেয়ে প্রতীক্ষিত বিভাগটি বাংলাদেশ প্যানোরমা। এবছর এই বিভাগে মোট ৯টি সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে। এ শাখায় দেখা যাবে বাংলাদেশের বেশ কিছু আলোচিত ও নতুন ছবি। এরমধ্যে আছে নূরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’, প্রসূন রহমানের ‘ঢাকা ড্রিম’, সাইদুল আনাম টুটুলের ‘কালবেলা’, এন রাশেদ চৌধুরীর ‘চন্দ্রাবতী কথা’, শবনম ফেরদৌসীর ‘আজব কারখানা’ ইত্যাদি।
গণগ্রন্থাকার মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্যানারোমা শাখার সিনেমাগুলো দর্শক দেখতে পারবেন প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায়।
এছাড়া চলচ্চিত্র উৎসবে ১৬-১৭ জানুয়ারি ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জে “অষ্টম ঢাকা আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস্ কনফারেন্স ২০২২” এবং ১৬-১৯ জানুয়ারি ২০২২ অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ মিলনায়তনে ওয়েস্ট মিট ইস্ট: চিত্রনাট্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২
রাজধানি ঢাকায় শুরু হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২০তম আসর। নয় দিনের এই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সত্তরটি দেশের সোয়া দুইশ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হবে।
শনিবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সব সময়ই নান্দনিক। বাঙালি পরিচালকরা তাদের চলচ্চিত্রে বিচিত্র জীবনবোধের ছাপ রেখে গেছেন। এমন অসংখ্য বাংলা চলচ্চিত্র রয়েছে যা বিশ্ব নন্দিত। এছাড়া বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকেই সারাবিশ্বে শিক্ষনীয়। এ উৎসবের মাধ্যমে সৃজনশীল মানুষদের মিলনমেলা হয়। অন্য দেশের সংস্কৃতি, সমাজ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও বাংলাদেশও তাদের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। বিশেষ করে চলচ্চিত্রে এখন অনেক তরুণ সম্পৃক্ত হচ্ছেন এবং আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি তুলে ধরে বিশ্বের কাছে দেশকে আরও পরিচিত করে তুলছেন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।
রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘বেটার ফিল্ম, বেটার অডিয়েন্স, বেটার সোসাইটি’।
লেবানন ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ও মারিয়া ইভানোভা জেড পরিচালিত ‘দ্যা অ্যাংগার’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে এ উৎসব শুরু হয়।
২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত উৎসবে ১২৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ফিচার ফিল্ম এবং ৯৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে, যেখানে ১৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ফিচার ফিল্ম ও ২২টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা হবে।
তবে দেশের দর্শকদের কাছে সবচেয়ে প্রতীক্ষিত বিভাগটি বাংলাদেশ প্যানোরমা। এবছর এই বিভাগে মোট ৯টি সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে। এ শাখায় দেখা যাবে বাংলাদেশের বেশ কিছু আলোচিত ও নতুন ছবি। এরমধ্যে আছে নূরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’, প্রসূন রহমানের ‘ঢাকা ড্রিম’, সাইদুল আনাম টুটুলের ‘কালবেলা’, এন রাশেদ চৌধুরীর ‘চন্দ্রাবতী কথা’, শবনম ফেরদৌসীর ‘আজব কারখানা’ ইত্যাদি।
গণগ্রন্থাকার মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্যানারোমা শাখার সিনেমাগুলো দর্শক দেখতে পারবেন প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায়।
এছাড়া চলচ্চিত্র উৎসবে ১৬-১৭ জানুয়ারি ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জে “অষ্টম ঢাকা আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস্ কনফারেন্স ২০২২” এবং ১৬-১৯ জানুয়ারি ২০২২ অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ মিলনায়তনে ওয়েস্ট মিট ইস্ট: চিত্রনাট্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।